সাংবাদিক মহিউদ্দিন হত্যা: প্রধান আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

কুমিল্লায় সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রাজু র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলার গোলাবাড়ি সীমান্তে এই ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে।
র্যাব সদর দপ্তরের একটি বিশ্বস্ত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, রাজু একজন মাদক ব্যবসায়ী। সীমান্তবর্তী এলাকায় তার সঙ্গে র্যাবের গোলাগুলি হলে সে নিহত হয়।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজু কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অস্ত্র, মাদক, চোরাচালানের মামলা রয়েছে।
এর আগে হত্যার ঘটনায় ১৪ এপ্রিল বুড়িচং থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত মহিউদ্দিনের মা নাজমা আক্তার। রাজুসহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও পাঁচ জনের নামে এ মামলা দায়ের করা হয়। সেদিনই ১১টার দিকে মহিউদ্দিন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি মো. ফরহাদ মৃধা ও মো. পলাশ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ছাড়া সন্দেহভাজন আরও দু’জনকে আটক করা হয়।
গত ১৩ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের হায়দ্রাবাদনগরে ওই সাংবাদিককে এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করা হয়।
নিহত মহিউদ্দিন সরকার নাঈম (২৮) ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের অলুয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মোশারফ হোসেন সরকারের ছেলে। তিনি আগে আনন্দ টেলিভিশনের ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। এছাড়া দৈনিক কুমিল্লার ডাক নামে স্থানীয় একটি সংবাদপত্রে স্টাফ রিপোর্টার পদে কর্মরত ছিলেন। নিহতের বাবা মোশাররফ হোসেন বাংলাদেশ পুলিশে দীর্ঘ ৩৪ বছর চাকরি শেষে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি অবসরে যান। তিনি পুলিশের এএসআই ছিলেন।
নিহতের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত মহিউদ্দিন পুলিশ, র্যাব ও মাদকদ্রব নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে তথ্য দিয়ে মাদকদ্রব্য জব্দ করতে সহায়তা করতেন। মাদক ব্যবসা নিয়ে তিনি ফেসবুকে লেখালেখিসহ গণমাধ্যমে প্রতিবেদন করায় মাদক ব্যবসায়ীরা মহিউদ্দিনের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। এ কারণেই মাদক ব্যবসায়ীরা বুধবার রাতে ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় গুলি করে তাকে হত্যা করে।
কেএম/এএস
