রাজধানীতে ডাকাতি মামলার ৫ আসামি গ্রেপ্তার

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতি মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ থানা পুলিশ।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) লালবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম. এম মুর্শেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- শাকিল, রাজু এবং অন্য তিনজন কিশোর হওয়ায় তাদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। এসময় তাদের হেফাজত থেকে ১টি এন্টিকাটার (ব্লেড) ও লুণ্ঠিত দুই হাজার টাকা উদ্ধারমূলে জব্দ করা হয়।
ওসি এম. এম মুর্শেদ বলেন, আমাদের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ আসে। এরপর থানা পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়। কবির নামের একজন একটি কোম্পানির ডেলিভারি ম্যান হিসেবে চাকরি করেন। গত ১৩ এপ্রিল কোম্পানির কাজ শেষ করে তার সহকর্মীদের সঙ্গে চকবাজার এলাকা থেকে বাসার দিকে যাচ্ছিল। রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে লালবাগ থানার আজিমপুর এতিমখানার ভাতের গলির বাস কাউন্টারের সামনে আসলে দুষ্কৃতিকারীরা দেশীয় অস্ত্রসহ তাদের ঘেরাও করে। এসময় ওই ব্যক্তির সহকর্মীরা পালিয়ে গেলেও দুষ্কৃতিকারীরা তাকে আটকিয়ে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি, চর-লাথি মারতে থাকে। দুষ্কৃতিকারীদের মধ্যে একজন ভোক্তভুগীর পরিহিত প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা ও অপর একজন প্যান্টের অন্য পকেটে থাকা ১টি মোবাইল সেট (যার মূল্য অনুমান ২৫ হাজার টাকা) ছিনিয়ে নেয়। এসময় ওই ব্যক্তি দুষ্কৃতিকারীদের বাধা প্রদান করতে গেলে তাদের একজন ধারালো চাকু দ্বারা তার ডান পায়ের উরুতে ও ডান হাতের মধ্য আঙ্গুলে সজোরে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে লালবাগ থানায় একটি মামলা করেন।
তিনি বলেন, মামলার পর ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করা হয়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দুষ্কৃতিকারীদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে শাকিল, রাজু ও ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত অন্য তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
কেএম/টিটি
