রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ঈদের আগে চাঁদাবাজদের খপ্পরে ব্যবসায়ীরা

ঈদের আগে চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি হতে শুরু করেছে বিভিন্ন শ্রেণির ব্যবসায়ীরা। ফুটপাতের ব্যবসায়ী থেকে উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী সবাইকে গুনতে হচ্ছে চাঁদা। চাঁদাবাজরা এখন মোবাইল ফোনে চাঁদা চায়না। এক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো, ভাইবার, টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে তারা। যার কারণে চাঁদা দেওয়ার তথ্য প্রমাণ থাকছে না ব্যবসায়ীদের কাছে।

বনানীতে কথা হয় রিয়েল এস্টেট কম্পানি 'শরীফ প্রপার্টিজ' এর ডিরেক্টর শরীফ আহমেদের সঙ্গে। এসময় শরীফ আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, 'আমার অফিস বনানী হাওয়া ভবনের অপজিটে। রমজানের শুরু থেকেই আশেপাশের অনেক পাতি নেতা থেকে শুরু করে স্থানীয় কলেজ ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা কৌশলে ইফতার পার্টি, সেহরী পার্টিসহ নানা কথা বলে সাহায্য সহযোগিতা চাচ্ছে। বাধ্য হয়ে যা পারছি সেটাই তাদের দিচ্ছি।'

কথা হয় মিরপুরের রাজধানী ফার্নিচার ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'রোজা আর ঈদ আসলে স্থানীয় নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি বেড়ে যায়। রমজানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত কয়েকটি ইফতার পার্টিতে অংশগ্রহণের জন্য স্থানীয় লোকজন আমার কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা নিয়েছে। মোটকথা এটাকে চাঁদা বলা যায়, তবে রমজান মাসের জন্য আমি ওই টাকাটা দান করেছি।'

মিরপুর পল্লবী ট্রাভেলস কোম্পানির মালিক ফয়সাল আহমেদ বলেন, 'স্থানীয় কিছু পাতিনেতা প্রায় প্রতিদিন আমার অফিসে আসে এবং বলে আমরা অসহায়দের মাঝে ইফতার বিতরণ করব, কেউ আবার বলে সেহরি বিতরণ করব এ উপলক্ষে আপনি আমাদের সঙ্গে কিছু শরিক হতে পারেন। কৌশলে তারা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছে।'

কথা হয় রাজধানীর কাফরুলের বাসিন্দা মোরশেদ আলমের সঙ্গে। তিনি একজন খুচরা কাপড় বিক্রেতা। রাস্তার পাশে তিনি কাপড় বিক্রি করেন, ছাত্রলীগের এক নেতার সহযোগিতায় ব্যবসা করছেন। যা রোজগার করেন তার কিছু টাকা তাকে ভাগ দেন।

মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় ভ্যানগাড়িতে কাপড় বিক্রেতা কিবরিয়া বলেন, পথে-ঘাটে বেপরোয়া চাঁদাবাজি ব্যবসা কঠিন করে তুলেছে তারা।

কাওরান বাজারের সবজি বিক্রেতা মাহমুদ বলেন, চাঁদাবাজির কারণে বাড়ছে সবজির দাম। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে ক্রেতার ওপর। এতে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ও অস্বাভাবিক মাত্রায় ঊর্ধ্বমুখী।

সবজি বিক্রেতা হানিফ বলেন, কাওরান বাজার পাইকারি মার্কেট থেকে সবজি কিনে আগারগাঁও সঙ্গীত কলেজের সামনে ‘ভোরের বাজারে’ তুলতে পথেই তিন স্পটে গুনতে হয় চাঁদার টাকা। এরপর বাজারে বিক্রি শেষে লাইনম্যানদের দিতে হয় চাঁদা। চাঁদাবাজদের এমন দৌরাত্ম্য রাজধানীর সর্বত্র।

এসব পেশাদার চক্রের বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি, ফুটপাতের হকার থেকে শুরু করে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। পুলিশ ও স্থানীয় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের বলয়ে থাকা কতিপয় ব্যক্তিই এই চাঁদাবাজিতে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্থানীয় পুলিশ ও পেশাদার চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা এখন অতিমাত্রায় সক্রিয়। তবে কিছু পুলিশ চাঁদাবাজির কৌশল পরিবর্তন করেছে তারা স্থানীয় নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহার করছে। এরা এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন খাত থেকে নিত্যদিন চাঁদা তুলছে। এসব খাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-অস্থায়ী কাঁচাবাজার, অস্থায়ী খাবার দোকান, বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ যানবাহন, রাস্তা ও ফুটপাত দখলে নিয়ে বসানো দোকানপাট। ঈদ সামনে রেখে এলাকাভিত্তিক প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে অনেক জায়গায় চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা মুখোমুখি অবস্থান করছে। গোয়েন্দাদের কাছেও এমন তথ্য রয়েছে।

আজিমপুরে সবজি বিক্রেতা হানিফ বলেন, আমি অস্থায়ীভাবে তিন বৎসর ধরে ব্যবসা করছি। ছাত্রলীগের এক নেতাকে নিয়মিত টাকা দিয়ে আসছি। এক কনস্টেবল এসে প্রতিদিন থানা খরচ নিয়ে যায়।

এদিকে জানা গেছে, প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত চলে শান্তিনগর ভোরের বাজার। শান্তিনগর মোড় থেকে মালিবাগ মোড় যেতে মূল সড়কের একাংশ ও ফুটপাত দখল করে বসে কাঁচাবাজার। এই বাজারে মাছ, মাংস, ডিম থেকে শুরু করে সব ধরনের শাকসবজি পাওয়া যায়। দুই ঘণ্টার এই বাজারে কয়েক লাখ টাকার বেচাকেনা হয়। এ বাজারে পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসতে প্রতি দোকানদারকে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা চাঁদা দিতে হয়। এই বাজার থেকে প্রতিদিন মোটা টাকা চাঁদা তোলা হয়। চাঁদার টাকা কতিপয় পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় কয়েক ব্যক্তির মধ্যে ভাগাভাগি হয়।

তবে চাঁদাবাজির বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ অনেক ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীদের দাবি, ঈদের আগে ব্যবসায়ে অনেক লাভ হয় আর এই সময়ে মিডিয়ার সামনে এসব বললে চাঁদাবাজরা তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দিতে পারে এজন্য তারা কিছুই বলতে চান না।

শান্তিনগর বাজারের আশেপাশে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের থেকে চাঁদা তোলার বেশকিছু চক্র রয়েছে। তারা পুলিশকে ম্যানেজ করেই মূলত এসব কাজ করছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, থানার খরচ বাবদ কয়েকজন কনস্টেবল এসে টাকা নিয়ে যায়। তারা স্থানীয় চাঁদাবাজ নেতাদের কাছ থেকে এসব টাকা সংগ্রহ করে ‌।

যাত্রাবাড়ী থানার সামনে ও পেছনে মহাসড়ক দখল করে কাঁচাবাজার বসে প্রতিদিন। আছে অবৈধ লেগুনা, ট্রাক ও পিকআপ স্ট্যান্ড। এখান থেকে দৈনিক কয়েক লাখ টাকা চাঁদা তোলা হয়। এছাড়া যাত্রাবাড়ী মাছ, ফল ও কাঁচাবাজারে ট্রাক-পিকআপে মাছ নিয়ে এলেই বেপারিদের গুনতে হচ্ছে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা। বিভিন্ন নামে-বেনামে এসব চাঁদা আদায় করা হয়।

এছাড়া যাত্রাবাড়ী মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে অবৈধ দোকান ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত শনির আখড়া, রায়েরবাগ, মাতুয়াইল, তুষারধারা, সাদ্দাম মার্কেট, মহাসড়কের ওপর ফুটপাত দখল করে অবৈধ সিএনজি, ইজিবাইক ও অটোরিকশা, প্রাইভেট কার স্ট্যান্ড এবং সড়কের দুইপাশে দোকান বসিয়ে চলছে বেপরায়া চাঁদাবাজি।

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ-কতিপয় পুলিশ সদস্যের যোগসাজশে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা নামধারীরা এখান থেকে চাঁদা তোলে।

সরেজমিনে দেখা যায়, যাত্রাবাড়ী থানার সামনে ও পেছনে হিউম্যান হলার ও লেগুনা পরিবহণ স্ট্যান্ড রয়েছে। মহাসড়কে লেগুনা পরিবহণ নিষিদ্ধ হলেও ২ শতাধিক লেগুনা মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়ায়। প্রতি লেগুনা পরিবহণ থেকে জিপির নামে দৈনিক ৫৫০ টাকা, লাইনম্যানের নামে ২০ টাকা করে আদায় করা হয়। যাত্রাবাড়ী ট্রাফিক পুলিশ বক্স থেকে সুফিয়া প্লাজা পর্যন্ত সড়ক ও ফুটপাতে ৩০টি দোকান বসিয়ে প্রতি দোকান থেকে দৈনিক ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা করে আদায় করেন জনৈক সোনামিয়া।

৫০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুম মোল্লার কথা বলে যাত্রাবাড়ী মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে শতাধিক তরকারি, মাছ কাটার বডি, বরফের দোকানসহ হরেকরকমের দোকান বসানো হয়েছে। এসব দোকান থেকে দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে আদায় করেন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নামধারী কয়েক নেতা। এছাড়া যাত্রাবাড়ী টিএন্ডটি অফিসের সামনে বাস কাউন্টার, সিএনজি স্ট্যান্ড ও দোকান থেকে দৈনিক ২-৩শ টাকা করে চাঁদা তোলা হয়। এছাড়া কুতুবখালী বউবাজারের সামনে ট্রাক থামলে ২০০ টাকা চাঁদা নেয় ৫০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুম মোল্লার ভাগ্নে জামাই। তাছাড়া কুতুবখালী বউবাজারের সামনে দিয়ে রিকশা বা ভ্যানগাড়িতে করে মালামাল নিয়ে যেতে ১০-২০ টাকা করে চাঁদা আদায় করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নামধারী নেতা শাহাদাত হোসেনের লোকজন।

আরও জানা গেছে, শনির আখড়া ফুটওভার ব্রিজের দক্ষিণ পাশে দনিয়া কলেজ থেকে শনির আখড়া ব্রিজের পশ্চিমপাশের ঢাল পর্যন্ত চা, কফি, ফাস্টফুডসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর শতাধিক দোকান রয়েছে। ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করে নিয়ে প্রতিটি দোকান বসানো হয়েছে। আর প্রতিটি দোকান থেকে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করেন যুবলীগের নামধারী কয়েক নেতা। রায়েরবাগ ফুটওভার ব্রিজের উত্তরপাশে ফল, ফুচকা, চা, বাদাম, ডাবসহ হরেকরকমের প্রায় ৮০টি দোকান রয়েছে। প্রতিটি দোকান বসাতে অগ্রিম নেওয়া হয়েছে ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা। দৈনিক ২-৩শ টাকা করে চাঁদা আদায় করেন যুব ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্থানীয় দুই নেতা। এই চাঁদার টাকায় ভাগ পান স্থানীয় ট্রাফিক ও থানা পুলিশের কয়েকজন সদস্য।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, মহাখালী, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, মতিঝিল, বাড্ডা, মালিবাগ, মুগদা, ডেমরা-যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা-রামপুরা সড়কের দুপাশ দখল করে অবৈধভাবে বসানো হয়েছে শত শত স্থায়ী-অস্থায়ী দোকানপাট। মূলত ঈদকে সামনে রেখে এসব করা হচ্ছে।

এদিকে জানা গেছে, ডেমরার হাজীনগর, সারুলিয়া বাজার, বড়ভাঙ্গা, ডগাইর বাজার, ফার্মের মোড়, কোনাপাড়া, মাতুয়াইল, বাদশা মিয়া রোড, বাঁশেরপুল, রানীমহল, গলাকাটা, আমুলিয়া, ঠুলঠুলিয়া, ধিৎপুরা, তাম্বুরাবাদ, মেন্দিপুর, পাইটি, শূন্যা টেংরা ও ডেমরা বাজার এলাকাসহ সর্বত্রই অবৈধ দোকানপাট বসানো হয়েছে। প্রায় প্রতিটি এলাকায় যানবাহন স্ট্যান্ড ও বাজার বসানো হয়েছে অবৈধভাবে।

এসব এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূল সড়কের পাশে স্থাপন করা হচ্ছে অস্থায়ী দোকানপাট। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এসব ব্যবসায়ের পরিকল্পনা করা হচ্ছে যার যোগসূত্রে রয়েছে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ও পুলিশের কিছু অসাধু সদস্য। তবে এসব বিষয়ে নিয়মিত ব্যবসায়ীরা চাঁদা দিলেও চাঁদাবাজদের নাম বলতে অনেকে ভয় পাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি করোনাভাইরাস এর পরে তারা এই ঈদে ব্যবসা করে অধিক মুনাফা অর্জন করতে চান, এজন্য তারা চুপচাপ যাতে ব্যবসা করতে পারে সেজন্য এসব চাঁদাবাজির বিষয়ে বলতে নারাজ। তবে বেশ কিছু এলাকার চাঁদাবাজদের নাম জানিয়েছেন কিছু ব্যবসায়ীরা।

ঈদকে সামনে রেখে যাত্রাবাড়ী এলাকায় স্থানীয় নেতা ও কিছু অসাধু পুলিশের সদস্য চাঁদাবাজি চক্রে সোচ্চার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ডেমরা জোন) মো. শাহ ইফতেখার আহম্মেদ বলেন, অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে অবৈধ দখল ও অব্যবস্থাপনা এখন বাস্তবতা। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক মহলের সজাগ দৃষ্টি প্রয়োজন। তবে চাঁদাবাজির সঙ্গে পুলিশের জড়িত থাকার বিষয়টি অনেক সময় লাইনম্যানরা বলে বেড়ায়। তারপরও চাঁদাবাজির সঙ্গে কতিপয় অসাধু পুলিশ, রাজনীতিক ও প্রভাবশালী মহলের সমন্বয় থাকতে পারে। যদি কোনো পুলিশের সম্পৃক্ততা থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাবুবাজার সেতুর নিচে সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে আওয়ামী হকার্স লীগ কোতোয়ালি থানা শাখার কার্যালয়। ওই অফিসে বসে এলাকার চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করছেন সংগঠনটির সভাপতি পিন্সু হাজি ও সাধারণ সম্পাদক আনসার ভূঁইয়া। তারা দুজনে মামাতো-ফুপাতো ভাই। এদের মদদে বাদামতলী ফলের আড়তে ফল নিতে আসা পরিবহণ থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া বাবুবাজার সেতুর নিচে আওয়ামী হকার্স লীগের অফিসের পেছনের সরকারি জায়গার একটি অংশ দখল করে আরেকটি চাঁদাবাজচক্র সেখানে দোকান বসিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পাইকারি ফলের বাজারকে টার্গেট করে গড়ে উঠেছে পেশাদার চাঁদাবাজ চক্র। বাদামতলীর সীমানায় গাড়ির চাকা ঘুরতে হলে বাবুবাজার ব্রিজের নিচে তাদের সিন্ডিকেটকে চাঁদা দিতেই হয়।

জানতে চাইলে পিন্সু হাজি ও আনসার ভূঁইয়া প্রায় একই ধরনের কথা বলেছেন। তারা বলেন, কিছুদিন ধরে তারা বাবুবাজার ব্রিজের নিচে অফিস নিয়ে বসেছেন। মোটা অঙ্কের চাঁদাবাজির কথা অস্বীকার করলেও এখানে চাঁদাবাজির কথা স্বীকার করেছেন দুজনেই।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, চাঁদাবাজির ব্যাপারে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

এদিকে সরেজমিন দেখা যায়, ব্যস্ততম মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংকের গলি, দৈনিক বাংলার মোড়, দিলকুশা রোড, আইডিয়াল স্কুলের সামনে শত শত অবৈধ দোকানপাট। এসব দোকানপাট থেকে নিয়মিত চাঁদা তোলা হচ্ছে। এসব দোকানপাটের কারণে তীব্র যানজটে আটকে যায় রাজধানী।

এ বিষয়ে মতিঝিল থানা পুলিশ বলছে, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেনি। তবে চাঁদাবাজি রোধে আমরা যথেষ্ট সোচ্চার রয়েছি। অভিযোগ পেলে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিব।

এদিকে মহাখালীর একজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা কয়েক বছর ধরে ব্যবসা করছি। নিয়মিত কম বেশি চাঁদা দিলেও রমজান এবং ঈদকে সামনে রেখে চাঁদাবাজরা খুবই ভয়ংকর হয়ে উঠে। তারা আরো বেশি চাঁদা চায়। মহাখালী এলাকায় সবচেয়ে বড় চাঁদাবাজ হলো, যুব মহিলা লীগের নেত্রী তাসলিমা আক্তার, মোস্তফা, সাত্তার, আওয়ামী লীগ নেতা ফারুকসহ বেশ কয়েকজন এই চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা স্থানীয় কাউন্সিলরের নাম বলে সকাল-সন্ধ্যা চাঁদাবাজি করে। প্রায় ১০ বছর ধরে অত্র এলাকায় চাঁদাবাজি করছে তারা।

জানতে চাইলে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, যুব মহিলা লীগের তাসলিমা আক্তার মোস্তফা এবং ছাত্তারের বিরুদ্ধে থানায় কেউ অভিযোগ করে নাই। যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এবিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মো. ফারুক হোসেন বলেন, ঈদের আগে চাঁদাবাজি, চুরি ছিনতাই ঠেকাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ মাঠে থেকে কাজ করছে। যদি কোন পুলিশের সদস্য এসব চাঁদাবাজদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে এমন তথ্য পাওয়া যায় তাহলে ওই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, আমাদের মেট্রোপলিটন পুলিশ কে নির্দেশনা দেওয়া আছে যদি কোন ব্যবসায়ী হয়রানির শিকার হয় অথবা চাঁদাবাজদের খপ্পরে পড়ে তাহলে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করলেই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে থানা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ঈদের আগে চাঁদাবাজদের ধরতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ। কোন ব্যবসায়ীকে হয়রানি করা যাবে না যদি কেউ হয়রানি হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট থানায় তাকে অভিযোগ করতে হবে। থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া আছে সে বিষয়ে তারা আইনগত পদক্ষেপ নিবে। ঈদের আগে রাজধানীতে কোন প্রকার চাঁদাবাজদের আশ্রয় দেওয়া হবে না।

সারাদেশে চাঁদাবাজি রোধে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এমন তথ্য জানিয়ে অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এম খুরশীদ হোসেন বলেন, পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজি রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।

তিনি বলেন, আমাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ বা তথ্য ছাড়া মহাসড়ক অথবা সড়কে চলাচলকারী পণ্যবাহী কোন গাড়ি থামানো যাবে না। ঈদকে কেন্দ্র করে শপিং মল, মার্কেটের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার বা গুজব ছড়িয়ে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারে তৎপর পুলিশ। পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া আছে কোন ব্যবসায়ী যেন হয়রানির শিকার না হয়। যদি কোন ব্যবসায়ী চাঁদাবাজদের দ্বারা হয়রানির শিকার হয় তাহলে ওই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কেএম/কেএফ/

 

Header Ad
Header Ad

আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী

বৈভব সূর্যবংশী। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের মেগা নিলামে দল পাওয়ার পরই হৈ-চৈ ফেলে দিয়েছিলেন বৈভব সূর্যবংশী। কারণ ওই সময়ে তার বয়স মাত্র ১৩ বছর। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে অভিষেক হতে হতে যা ১৪ পূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু ব্যাটিংয়ে বুঝতেই দেননি অন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে বয়সের ফারাকটা। প্রথম বলেই কাভার অঞ্চলের ওপর দিয়ে যেভাবে বলটাকে সীমানাছাড়া করলেন, তাতে চোখ জুড়ানো নেটিজেনরা বলে বসলেন ‘অ্যা স্টার ইজ বর্ন’!

বৈভব সূর্যবংশীর জন্ম হয়েছিল ২০১১ সালের ২৭ মার্চ, ততদিনে আইপিএলের দুটি আসর শেষে তৃতীয়টির অপেক্ষা। আর তার জন্মের বছরেই মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। সেই ক্রিকেটার আইপিএলের অষ্টাদশ আসরেই সুযোগ পেয়ে যাবেন এমনটা হয়তো কেউ ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেনি। বৈভবকে আইপিএলের মেগা নিলামে ১.১ কোটি রুপিতে দলে ভিড়িয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস।

বৈভবের জন্য আরও আনন্দের বিষয় কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তিকে পাওয়া। যদি আইপিএলের চলতি আসরে তাকে খেলানোর সম্ভাবনা কমই ছিল। কিন্তু রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের ইনজুরি তার অভিষেকের ক্ষণটা এগিয়ে আনে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে গতকালই অভিষেক হয়ে গেল বিহারের এই বিস্ময়-বালকের। তবে ম্যাচটিতে তাকে ফিল্ডিং করতে হয়নি। ইম্প্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে কেবল ব্যাটিংয়েই নামেন বৈভব, অভিষেকেই খেললেন ২০ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ক্যামিও ইনিংস।

আইপিএলের প্রথম ম্যাচে বৈভবের যত রেকর্ড-

আইপিএলের মঞ্চে বয়স যে কেবল একটি সংখ্যা, সেটাই প্রমাণ করলেন ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী। ব্যাট হাতে অভিষেকেই ঝড় তুলেছেন এই কিশোর। প্রথম বলেই হাঁকালেন ছক্কা, গড়লেন একাধিক রেকর্ড—আর তাতেই ক্রিকেটবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে "অ্যা স্টার ইজ বর্ন" জ্বর!

রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছে বিহারের এই বিস্ময়বালকের। মাত্র ১৪ বছর ২৩ দিন বয়সে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে মাঠে নামা খেলোয়াড় হিসেবে নাম লেখান বৈভব। এর আগে রেকর্ডটি ছিল প্রয়াস রায় বর্মণের (১৬ বছর ১৫৭ দিন) দখলে।

কিন্তু বৈভব এসেই যেন দেখালেন, তিনি এসেছেন ইতিহাস গড়তে। ইনিংসের প্রথম বলেই শার্দুল ঠাকুরকে কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারেন ছক্কা—যা তাকে বানিয়েছে আইপিএলের সবচেয়ে কম বয়সে ছয় মারা ক্রিকেটার। এতোদিন রেকর্ডটি ছিল রাজস্থান রয়্যালসেরই রিয়ান পরাগের (১৭ বছর ১৬১ দিন) নামে।

শুধু এখানেই থামেননি বৈভব। আইপিএলে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকানো ক্রিকেটারদের ক্লাবে তিনিই দশম সদস্য। সেই তালিকায় আছেন আন্দ্রে রাসেল, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, মহেশ থিকশানা, রব কুইনিসহ আরও অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।

২১ মার্চ ২০১১ জন্ম নেওয়া বৈভব যখন এই ইনিংস খেলেন, তখন হয়তো অনেকেই ভুলে গিয়েছিলেন তার বয়স মাত্র ১৪। কারণ তার ব্যাটিংয়ে ছিল পরিপক্বতা, ছিল আত্মবিশ্বাস। ২০ বলে ৩ চার ও ২টি বিশাল ছক্কায় ৩৪ রানের ইনিংস খেলে স্ট্রাইক রেট ছুঁয়েছেন ১৭০।

যদিও ইনিংসের শেষ দিকে একটি ভুল শটে স্টাম্পড হয়ে বিদায় নেন এই কিশোর তারকা। ফেরার সময় চোখে জল লেগে ছিল—যা তার খেলায় আবেগ ও দায়বদ্ধতার পরিচয় দেয়।

রাজস্থানের ইনিংস থেমেছে ১৭৮ রানে, ১৮০ রানের লক্ষ্যে। ২ রানের হার সঙ্গী হলেও, এই ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন বৈভবই।

Header Ad
Header Ad

৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের

হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৩ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন ইস্যু সামনে রেখে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।

রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।

বৈঠকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বেশকিছু দাবির কথা বেলেন। তিনি ব‌লেন, ফ্যা‌সিবা‌দী আম‌লে হেফাজ‌তের বিরু‌দ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ২০১৩ সা‌লে শাপলা চত্বরে গণগত্যার বিচার করতে হবে। নারী সংষ্কার ক‌মিশ‌নের ধর্মীয় বিধান, ইসলামী উত্তরা‌ধিকার আইন ও পা‌রিবা‌রিক বৈষম্য প্রস্তাব ও ক‌মিশন বা‌তিল করতে হবে। তা না হলে ৩ মে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ ছাড়া ভারতীয় ওয়াকফ আইন ও ফি‌লিস্তান‌রে গণহত্যার প্র‌তিবাদে আগামী মঙ্গলবার থে‌কে ১ সপ্তাহ গণসং‌যোগ ও আগামী ২৫ এপ্রিল বাদ জুমআ প্রতি জেলা উপ‌জেলায় বি‌ক্ষোভ করবে বলে ঘোষণা দেয় দলটি।

Header Ad
Header Ad

আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন

প্রতীকী ছবি

প্রতি বছর এপ্রিলের তৃতীয় শনিবার বিশ্বজুড়ে উদযাপন করা হয় ‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ বা স্বামী প্রশংসা দিবস। স্বামীর প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য দিনটি পালন করা হয়—যার মূল উদ্দেশ্য পারিবারিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করা।

স্বামীদের অবদানকে সম্মান জানাতেই এই বিশেষ দিনের প্রচলন। যদিও দিবসটির সূচনা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে পারিবারিক জীবনে স্বামীর ত্যাগ, দায়িত্ব ও ভালোবাসা স্বীকার করতেই দিনটি উপলক্ষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশেষ করে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে, যেখানে স্বামীরা শুধু উপার্জনের দায়িত্বই পালন করছেন না, পাশাপাশি ঘরের কাজ, সন্তান লালন-পালনসহ পারিবারিক নানা দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন—তাদের জন্য এমন একটি দিন আয়োজনের যৌক্তিকতাও বাড়ছে।

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, কাউকে সামান্যভাবে প্রশংসা করলেও তার ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং পারস্পরিক সম্পর্ক হয় আরও মজবুত। বিশেষ করে দাম্পত্য সম্পর্কে এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

এই দিনে স্বামীকে একটি চিরকুট, শুভেচ্ছা বার্তা বা ছোট্ট কোনো উপহার দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানানো যেতে পারে। এমনকি শুধু মৌখিকভাবে “তুমি অনেক ভালো করছো” বলাটাও হতে পারে প্রশংসার অনন্য উপায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিবার গঠনের পথে যেমন স্ত্রীর অবদান রয়েছে, তেমনি স্বামীদের ভূমিকাও কম নয়। কাজেই সম্পর্কের ভারসাম্য ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে এমন দিনে সামান্য ভালোবাসা ও স্বীকৃতিই হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তি।

প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জানানো কোনো বিলাসিতা নয়, বরং সম্পর্ক রক্ষার এক চমৎকার অভ্যাস। তাই আজকের দিনটি হতে পারে আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে বিশেষভাবে জানানোর এক দারুণ সুযোগ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
হাতিরঝিলে যুবদল নেতার ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে
আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
বিয়ের আসরে কনের বেশে শাশুড়ি, থানায় হাজির বর
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, রাস্তায় হাজারো মানুষ
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রাও
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত
গাজায় আরও ৫২ জন নিহত, হামলা জোরদারের নির্দেশ নেতানিয়াহুর
উত্তরায় প্রকাশ্যে যুবককে তুলে নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক অপু