শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্তা: সিএনজি চালক সেজে অপরাধীকে গ্রেপ্তার

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করা সিএনজি চালক সুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেল ১০ মার্চ রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডে ওই ছাত্রীকে হয়রানির ঘটনা ঘটে, যা ধরা পড়ে সিসি ক্যামেরায়। পরে মামলা হলে সিএনজি চালক সেজে অপরাধী চালককে শুক্রবার (৮ এপ্রিল) রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শনিবার (৯ এপ্রিল) কলাবাগান থানায় উপ-পরিদর্শক সাইদুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আশার দাবি, হেনস্তাকারী ওই সিএনজি চালকের যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।
ঘটনাটি ঘটে রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডে ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের সামনে। ১০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার পথে শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করে এক সিএনজি চালক। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সিএনজি থেকে নেমেই অভিযুক্ত তার গায়ে হাত দেয়। ওই শিক্ষার্থী চিৎকার করলে আশপাশের কয়েকজন ছুটে আসে। এসময় পালিয়ে যায় সিএনজি চালক।
ভুক্তভোগী জানান, ঘটনার পর ৯৯৯ কল করে সাড়া না পেয়ে তিনি যান ধানমন্ডি থানায়। সেখান থেকে পাঠানো হয় কলাবাগান থানায়। প্রথমে অভিযোগ নেয় তারা। পরে ফুটেজ দেখে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেয় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সিএনজির নম্বর শনাক্ত করা হয়। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা সিএনজির চালক সেজে বিভিন্ন গ্যারেজে ঘুরে প্রথমে গাড়ি চিহ্নিত করে এবং পরে ওই চালককে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে কলাবাগান থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সাইদুর রহমান বলেন, এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে গাড়ির নম্বর পেলে মালিককেও পাওয়া যায়। পরে মালিকের মাধ্যমে একপর্যায়ে কৌশলে অভিযুক্ত সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বলেন, আজ তাকে আদালতে নেওয়া হবে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা জানান, অনেকদিন ধরেই ব্যাপারটির কোনো মীমাংসা হচ্ছিল না। তা নিয়ে প্রথমে শঙ্কা ছিল। দেরিতে হলেও আসামিকে গ্রেপ্তার হয়েছে এতেই আমরা খুশি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) ফারুক হোসেন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, অপরাধ করে কেউ পার পাওয়ার সুযোগ নেই। বিশেষ করে ঢাকা মহানগর এলাকায় কেউ অপরাধ করলে তাকে ছাড় দেওয়া হয় না।
কেএম/টিটি
