মোটরসাইকেল কিনতে বন্ধুদের পরামর্শে ‘প্রেমিকাকে’ অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি

রাজধানীর মুগদা এলাকায় মোটরসাইকেল কিনতে প্রেমিকাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করেছেন এক যুবক। ওই প্রেমিকের নাম খন্দকার সাকিব সাদমান। অনেকদিন ধরে সে মোটরসাইকেল কেনার পরিকল্পনা করছিল। কিন্তু টাকা জোগাড় করতে পারছিল না।
সাকিবকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার (৮ এপ্রিল) ডিএমপির ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশ্যাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আশরাফ উল্লাহ এসব তথ্য জানান।
উপকমিশনার আশরাফ উল্লাহ বলেন, একপর্যায়ে দুই বন্ধুর প্ররোচনায় টাকার জন্য নিজের ‘প্রেমিকাকে’ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে অপহরণ করেন প্রেমিক সাদমান।
তিনি বলেন, এজন্য মেয়েটির বাবার কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন প্রেমিক সাদমান। এ ঘটনায় মেয়ের মামার অভিযোগের ভিত্তিতে মেয়েটিকে উদ্ধারের পর এসব তথ্য জানা যায়।
ডিবি পুলিশ বলছে, গত ২৭ মার্চ রাজধানীর মুগদা এলাকায় এই অপহরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন ২৮ মার্চ মেয়েটির মামা বাদী হয়ে মুগদা থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।
মামলার দিনই ডিএমপির ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশ্যাল ক্রাইম বিভাগ মুগদার কাঠেরপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এসব তথ্য জানতে পারে পুলিশ।
ডিবি জানায়, মেয়েটির বাবাকে ফোন করে সাদমান বলে, তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। দাবি অনুযায়ী টাকা দিলে তার মেয়েকে জীবিত ফেরত দেওয়া হবে। টাকা না দিয়ে পুলিশকে জানালে মেয়েকে মেরে ফেলা হবে। তবে মেয়ের কোনো ক্ষতি করেনি প্রেমিক।
গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সাদমান বলেন, অনেকদিন ধরে একটি মোটরসাইকেল কিনতে চেয়েছি কিন্তু পারিনি। এরপর বন্ধুবান্ধব পরামর্শ দিল প্রেমিকাকে অপহরণ করার জন্য।
এ বিষয়ে ডিএমপির ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশ্যাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আশরাফ উল্লাহ মুঠোফোনে বলেন, তারা তিন বন্ধু মিলে মেয়েটিকে অপহরণের ফাঁদে ফেলেন। একটি মোটরসাইকেল কেনাসহ কিছু ধারের টাকা পরিশোধ করতে তারা মেয়েটিকে মূলত অপহরণ করে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তার দুই বন্ধু। তবে বন্ধুদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তাদের আইনের আওতায় আনতে কাজ চলছে।
কেএম/টিটি
