রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বেড়েছে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডসহ খুনের ঘটনা

সম্প্রতি রাজধানীসহ সারা দেশেই বেড়ে গেছে খুনের ঘটনা। ব্যক্তিগত বিরোধ, পারিবারিক কলহ, আধিপত্য বিস্তার, মাদক বাণিজ্য ও চুরি-ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় ঘটছে এসব হত্যাকাণ্ড। পাশাপাশি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও বেড়েছে ভয়াবহভাবে।

২৪ মার্চ রাত ১০ টার দিকে শাহজাহানপুরে ব্যস্ত সড়কে মাইক্রোবাসে করে বাসায় ফেরার পথে গুলি করে হত্যা করা হয় আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে। এ ঘটনায় গুলিতে প্রীতি নামে রিকশাযাত্রী এক কলেজছাত্রীও নিহত হন। 

২৭ মার্চ ভোরে নোয়াখালী যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন দন্ত্য চিকিৎসক আহমেদ মাহী বুলবুল। পরে রাজধানীর শেওড়াপাড়ার বাসা থেকে বের হয়ে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে খুন হন তিনি।

২৬ মার্চ বিকালে রাজধানীর সবুজবাগ থানার দক্ষিণগাঁও বেগুনবাড়ি এলাকায় এসি মেরামতের কথা বলে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ঘরে ঢুকে ডাকাতির চেষ্টা করে। এতে তানিয়া আফরোজ মুক্তা বাধা দিলে ওই নারীকে নিজ ঘরে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সবুজবাগ থানা পুলিশ। পরে তারা জানতে পারে স্কচটেপে তার দুই সন্তানের মুখ বেঁধে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করে দুর্বৃত্তরা।

ডিএমপির সূত্র জানায়, এ বছরের জানুয়ারিতে শুধমাত্র ঢাকাতে হয়েছে ৯ খুন। ফেব্রুয়ারিতে ১২টি খুন। এর মধ্যে ৫ টি খুনের ঘটনাই মিরপুর এলাকায়। চলতি মাসের (২৮ মার্চ) প্রযর্ন্ত আলোচিত একাধিক খুনের ঘটনা ঘটেছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তথ্যমতে, ২০০৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৪ বছরে রাজধানীতে ৩ হাজার ৩৭৫টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। বছরে গড়ে ২৫০টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে এ সময়ে।

আবার পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যে দেখা যায়, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সারা দেশে ১৫ হাজার ৩০৫টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। গড়ে প্রতিবছর ৩ হাজার ৮২৬টি হত্যাকাণ্ড ঘটে।

অন্যদিকে বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৬ বছরে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ৬৭৬টি। এ হিসাবে প্রতিবছর গড়ে ১১২টি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটে। ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কমলেও ২০২১ সালে তা আবার কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ওই বছর ১৫৭টি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটে, যা পূর্ববর্তী চার বছরের গড় সংখ্যার তিনগুণেরও বেশি।

এদিকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পুলিশ সদর দপ্তরের ওয়েবসাইটে অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য দেওয়া হতো। ২০১৯ সালে আংশিক তথ্য দেওয়া হলেও এর পর থেকে চলতি বছর পর্যন্ত আর কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। এতে কী পরিমাণ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে এবং কতগুলোর বিচার সম্পন্ন হয়েছে সে তথ্য পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এতে অপরাধের প্রকৃত চিত্রও জানা সম্ভব হচ্ছে না। একে এক ধরনের ‘লুকোচুরি’ বলছেন অনেকে। তবে এটি লুকোচুরি নয় দাবি করে তথ্য অধিকার আইনে নিয়ম মেনে আবেদন করলে নির্দিষ্ট সময়ে প্রকাশযোগ্য সব তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

এছাড়া, ডিএমপির একটি তথ্য বলছে, চলতি বছরের গত দুই মাস ২৭ দিনে রাজধানীতে ৩৪টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৯ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১২ জন ও মার্চ মাসের প্রথম ২৭ দিনে ১৩ জন খুন হয়। এর মধ্যে কতগুলো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সেটির হিসাব নেই।

তবে আসকের তথ্যে দেখা গেছে, এ বছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে সারা দেশে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ৩৯টি। শুধু জানুয়ারিতেই এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ২৯টি। ২০২১ সালে প্রতিমাসে এই হত্যাকাণ্ডের গড় সংখ্যা ছিল ১৩। এ হিসাবে গত জানুয়ারিতে তিনগুণ বেড়েছে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।

আসকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২১ সালে সারা দেশে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটে ১৫৭টি, ২০২০ সালে ৩১টি, ২০১৯ সালে ৩৯টি, ২০১৮ সালে ৬৭টি, ২০১৭ সালে ৫২টি, ২০১৬ সালে ১৭৭টি ও ২০১৫ সালে ১৫৩টি। এতে আরও দেখা যায়, ২০১৬ সালে ১৭৭টি হত্যাকাণ্ড ঘটলেও ২০১৭ সালে হত্যার ঘটনা কমে ৫২টি তে দাঁড়ায়। পরে ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালেও এ সংখ্যা কম ছিল। এই তিন বছর গড়ে ৪৫টি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটে। এর মধ্যে হঠাৎ ২০২১ সালে আবারও রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ওই বছর ১৫৭টি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটে, যা পূর্ববর্তী তিন বছরের গড় সংখ্যার তিনগুণেরও বেশি।

এ বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক নূর খান লিটন জানান, সারাদেশে হত্যাকাণ্ড বাড়ছে নাকি কমছে সেটা তথ্য নির্ভর সংখ্যাগত একটি বিষয়। তবে বলা যায়, হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সামগ্রিকভাবে আগের মতোই আছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি দেশকে গ্রাস করায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মো. কামরুজ্জামান বলেন, তথ্য লুকোচুরির কোনো সুযোগ নেই। প্রত্যেকটি ঘটনার পর সেটি স্থানীয় বা জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। তবে পুলিশ সদর দপ্তরের ওয়েবসাইট আপডেট হওয়ায় সেখানে তথ্য দেওয়ার অপশনটি নেই। এ ছাড়া তথ্যগুলো যেখান থেকে একত্রিতভাবে আসত, সেটি না আসায় হয়তো এমনটি হয়েছে। কেউ তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করলে নির্দিষ্ট সময়ে তথ্য পাবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালক (মিডিয়া) কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আমরা সব সময় বিভন্ন হত্যাকান্ডের আসামিদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে বহুল আলোচিত এবং চাঞ্চল্যকর মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, সাম্প্রতি রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় জাহিদুল ইসলাম টিপু ও সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড এবং টিপুকে অনুসরণকারীসহ ৪ জনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। এ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি মুসা টিপু হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করে দেশের বাইরে চলে যায় এবং সেখানে বসে সে এটি বাস্তবায়ন করে। তছাড়া অনেকেই এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে অনেকে জড়িত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হত্যাকাণ্ডের মোটিভ বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানিয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ ভিকটিম ও হত্যার পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে বিরোধ বিদ্যমান ছিল। মতিঝিল এলাকার চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, স্কুল-কলেজের ভর্তি বাণিজ্য, বাজার নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিয়ে এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক ভাবে মিল্কী হত্যার প্রতিশোধ নিতে টিপুকে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তিনি বলেন, মাত্র ১৫ লাখ টাকায় টিপুকে হত্যা করা হয়। তবে এ ঘটনার মূল আসামি দেশের বাইরে থাকায় তাকে ধরতে পারেনি গোয়েন্দারা।

খন্দকার মঈন বলেন, মানুষ যখন বিভিন্ন ধরণের ঝামেলায় পড়ে বা মনে করে তখন তাকে আইনের অনুসারী হওয়া উচিত। অনুসারী এবং সর্তক হলে অনেক ধরণের অপরাধ কমে আসবে।

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক সমাজ ও অপরাধ গবেষক তৌহিদুল হক বলেন, সারাদেশে হঠাৎ করে খুনের ঘটনা বেড়ে গেছে। এগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায় রাজনৈতিক ও পারিবারিক কলহের কারণে এসব ঘটনা ঘটছে। রাজনৈতিক ও স্বার্থগত দ্বন্দ্বের কারণে খুনোখুনিসহ সব ধরনের অপরাধ বেশি হচ্ছে।

তিনি বলেন, নাগরিকদের নিরাপত্তা রাষ্ট্রের নাগরিক বিবেচনায় না হয়ে অবস্থানের ভিত্তিতে হয়ে গেছে। একইভাবে রাজনীতি ‘আদর্শের’ বদলে ‘ক্ষমতাকেন্দ্রিক’ হওয়ায় দেশ অপরাধীর সংখ্যা বাড়ছে। তার মতে, অপরাধের সঠিক তথ্য জানা নাগরিকদের অধিকার। এর ফলে অপরাধের প্রকৃত চিত্র জানাসহ বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ করণীয় ঠিক করা সম্ভব হবে। কিন্তু এটা নিয়ে ‘লুকোচুরি’ করা হলে অপরাধীরাই বেশি সুযোগ পাবে।

এসব অপরাধ দমনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আরও তৎপর হতে হবে। এবং ভুক্তভোগীদের তথ্য আমলে নিয়ে তাদের কাজ করতে হবে তাহলে এসব অপরাধ অনেকটা কমে আসবে মনে করেন এই অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।

কেএম/কেএফ/

 

Header Ad
Header Ad

আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী

বৈভব সূর্যবংশী। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের মেগা নিলামে দল পাওয়ার পরই হৈ-চৈ ফেলে দিয়েছিলেন বৈভব সূর্যবংশী। কারণ ওই সময়ে তার বয়স মাত্র ১৩ বছর। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে অভিষেক হতে হতে যা ১৪ পূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু ব্যাটিংয়ে বুঝতেই দেননি অন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে বয়সের ফারাকটা। প্রথম বলেই কাভার অঞ্চলের ওপর দিয়ে যেভাবে বলটাকে সীমানাছাড়া করলেন, তাতে চোখ জুড়ানো নেটিজেনরা বলে বসলেন ‘অ্যা স্টার ইজ বর্ন’!

বৈভব সূর্যবংশীর জন্ম হয়েছিল ২০১১ সালের ২৭ মার্চ, ততদিনে আইপিএলের দুটি আসর শেষে তৃতীয়টির অপেক্ষা। আর তার জন্মের বছরেই মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। সেই ক্রিকেটার আইপিএলের অষ্টাদশ আসরেই সুযোগ পেয়ে যাবেন এমনটা হয়তো কেউ ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেনি। বৈভবকে আইপিএলের মেগা নিলামে ১.১ কোটি রুপিতে দলে ভিড়িয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস।

বৈভবের জন্য আরও আনন্দের বিষয় কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তিকে পাওয়া। যদি আইপিএলের চলতি আসরে তাকে খেলানোর সম্ভাবনা কমই ছিল। কিন্তু রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের ইনজুরি তার অভিষেকের ক্ষণটা এগিয়ে আনে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে গতকালই অভিষেক হয়ে গেল বিহারের এই বিস্ময়-বালকের। তবে ম্যাচটিতে তাকে ফিল্ডিং করতে হয়নি। ইম্প্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে কেবল ব্যাটিংয়েই নামেন বৈভব, অভিষেকেই খেললেন ২০ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ক্যামিও ইনিংস।

আইপিএলের প্রথম ম্যাচে বৈভবের যত রেকর্ড-

আইপিএলের মঞ্চে বয়স যে কেবল একটি সংখ্যা, সেটাই প্রমাণ করলেন ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী। ব্যাট হাতে অভিষেকেই ঝড় তুলেছেন এই কিশোর। প্রথম বলেই হাঁকালেন ছক্কা, গড়লেন একাধিক রেকর্ড—আর তাতেই ক্রিকেটবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে "অ্যা স্টার ইজ বর্ন" জ্বর!

রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছে বিহারের এই বিস্ময়বালকের। মাত্র ১৪ বছর ২৩ দিন বয়সে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে মাঠে নামা খেলোয়াড় হিসেবে নাম লেখান বৈভব। এর আগে রেকর্ডটি ছিল প্রয়াস রায় বর্মণের (১৬ বছর ১৫৭ দিন) দখলে।

কিন্তু বৈভব এসেই যেন দেখালেন, তিনি এসেছেন ইতিহাস গড়তে। ইনিংসের প্রথম বলেই শার্দুল ঠাকুরকে কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারেন ছক্কা—যা তাকে বানিয়েছে আইপিএলের সবচেয়ে কম বয়সে ছয় মারা ক্রিকেটার। এতোদিন রেকর্ডটি ছিল রাজস্থান রয়্যালসেরই রিয়ান পরাগের (১৭ বছর ১৬১ দিন) নামে।

শুধু এখানেই থামেননি বৈভব। আইপিএলে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকানো ক্রিকেটারদের ক্লাবে তিনিই দশম সদস্য। সেই তালিকায় আছেন আন্দ্রে রাসেল, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, মহেশ থিকশানা, রব কুইনিসহ আরও অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।

২১ মার্চ ২০১১ জন্ম নেওয়া বৈভব যখন এই ইনিংস খেলেন, তখন হয়তো অনেকেই ভুলে গিয়েছিলেন তার বয়স মাত্র ১৪। কারণ তার ব্যাটিংয়ে ছিল পরিপক্বতা, ছিল আত্মবিশ্বাস। ২০ বলে ৩ চার ও ২টি বিশাল ছক্কায় ৩৪ রানের ইনিংস খেলে স্ট্রাইক রেট ছুঁয়েছেন ১৭০।

যদিও ইনিংসের শেষ দিকে একটি ভুল শটে স্টাম্পড হয়ে বিদায় নেন এই কিশোর তারকা। ফেরার সময় চোখে জল লেগে ছিল—যা তার খেলায় আবেগ ও দায়বদ্ধতার পরিচয় দেয়।

রাজস্থানের ইনিংস থেমেছে ১৭৮ রানে, ১৮০ রানের লক্ষ্যে। ২ রানের হার সঙ্গী হলেও, এই ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন বৈভবই।

Header Ad
Header Ad

৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের

হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৩ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন ইস্যু সামনে রেখে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।

রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।

বৈঠকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বেশকিছু দাবির কথা বেলেন। তিনি ব‌লেন, ফ্যা‌সিবা‌দী আম‌লে হেফাজ‌তের বিরু‌দ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ২০১৩ সা‌লে শাপলা চত্বরে গণগত্যার বিচার করতে হবে। নারী সংষ্কার ক‌মিশ‌নের ধর্মীয় বিধান, ইসলামী উত্তরা‌ধিকার আইন ও পা‌রিবা‌রিক বৈষম্য প্রস্তাব ও ক‌মিশন বা‌তিল করতে হবে। তা না হলে ৩ মে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ ছাড়া ভারতীয় ওয়াকফ আইন ও ফি‌লিস্তান‌রে গণহত্যার প্র‌তিবাদে আগামী মঙ্গলবার থে‌কে ১ সপ্তাহ গণসং‌যোগ ও আগামী ২৫ এপ্রিল বাদ জুমআ প্রতি জেলা উপ‌জেলায় বি‌ক্ষোভ করবে বলে ঘোষণা দেয় দলটি।

Header Ad
Header Ad

আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন

প্রতীকী ছবি

প্রতি বছর এপ্রিলের তৃতীয় শনিবার বিশ্বজুড়ে উদযাপন করা হয় ‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ বা স্বামী প্রশংসা দিবস। স্বামীর প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য দিনটি পালন করা হয়—যার মূল উদ্দেশ্য পারিবারিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করা।

স্বামীদের অবদানকে সম্মান জানাতেই এই বিশেষ দিনের প্রচলন। যদিও দিবসটির সূচনা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে পারিবারিক জীবনে স্বামীর ত্যাগ, দায়িত্ব ও ভালোবাসা স্বীকার করতেই দিনটি উপলক্ষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশেষ করে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে, যেখানে স্বামীরা শুধু উপার্জনের দায়িত্বই পালন করছেন না, পাশাপাশি ঘরের কাজ, সন্তান লালন-পালনসহ পারিবারিক নানা দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন—তাদের জন্য এমন একটি দিন আয়োজনের যৌক্তিকতাও বাড়ছে।

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, কাউকে সামান্যভাবে প্রশংসা করলেও তার ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং পারস্পরিক সম্পর্ক হয় আরও মজবুত। বিশেষ করে দাম্পত্য সম্পর্কে এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

এই দিনে স্বামীকে একটি চিরকুট, শুভেচ্ছা বার্তা বা ছোট্ট কোনো উপহার দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানানো যেতে পারে। এমনকি শুধু মৌখিকভাবে “তুমি অনেক ভালো করছো” বলাটাও হতে পারে প্রশংসার অনন্য উপায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিবার গঠনের পথে যেমন স্ত্রীর অবদান রয়েছে, তেমনি স্বামীদের ভূমিকাও কম নয়। কাজেই সম্পর্কের ভারসাম্য ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে এমন দিনে সামান্য ভালোবাসা ও স্বীকৃতিই হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তি।

প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জানানো কোনো বিলাসিতা নয়, বরং সম্পর্ক রক্ষার এক চমৎকার অভ্যাস। তাই আজকের দিনটি হতে পারে আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে বিশেষভাবে জানানোর এক দারুণ সুযোগ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
হাতিরঝিলে যুবদল নেতার ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে
আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
বিয়ের আসরে কনের বেশে শাশুড়ি, থানায় হাজির বর
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, রাস্তায় হাজারো মানুষ
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রাও
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত
গাজায় আরও ৫২ জন নিহত, হামলা জোরদারের নির্দেশ নেতানিয়াহুর
উত্তরায় প্রকাশ্যে যুবককে তুলে নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক অপু