রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

১০ হাজার টাকায় ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স-এনআইডি বানাতো তারা

ভুয়া এনআইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডর জাল সার্টিফিকেট তৈরি এবং জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা গোলাম মোস্তফাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

সোমবার (২১ মার্চ) রাতে রাজধানীর মালিবাগ, বাসাবো, শাহজাহানপুর ও কোতয়ালী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এই প্রতারণা চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মূলহোতা মো. গোলাম মোস্তফা (৬০), মো. জালাল বাশার (৫৪), মো. মুসলিম উদ্দিন (৬৫), মো. মিনারুল ইসলাম (মিন্নি) (২২), এবং মো. তারেক মৃধা (২১)।

এ অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ২ টি কম্পিউটার, ২ হাজার ৪৬০ টি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের জাল প্রাপ্তি স্বীকার রশিদ, ২৬ টি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, ১ টি ল্যাপটপ, ১ টি ডিজিটাল ক্যামেরা, ১৮ টি ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, ৮০ টি সাদা রঙের প্লাস্টিকের ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরীর ব্লাঙ্ক কার্ড, ৫০ টি স্বচ্ছ কার্ড হোল্ডার, ২ রিল সিকিউরিটি লেমিনেটিং পেপার যা দিয়ে জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স ও জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরী করা যায়, ১ টি কার্ড প্রিন্টার, ৪ টি সফটওয়্যারের সিডি, ৪ টি পেনড্রাইভ, ৫ টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ২ হাজার ৮০০টাকা জব্দ করা হয়।

র‍্যাব বলছে, চক্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইক আইডির মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে চটকদার বিজ্ঞাপন পোস্ট করত। দ্রুত সময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও এনআইডি কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ক্ষেত্র বিশেষে তারা ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা দাবি করত। এক্ষেত্রে তারা বাইক রাইডার, লাইসেন্স বিহীন বিভিন্ন গাড়ির চালক যারা দ্রুত সময়ের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স-এনআইডি পেতে আগ্রহী অথবা যারা অবৈধভাবে লাইসেন্স-এনআইডি প্রত্যাশী তাদের টার্গেট করত।

এছাড়াও রোহিঙ্গা, জঙ্গি সদস্য, দীর্ঘদিনের পলাতক আসামীরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য ভিন্ন নামে ভুয়া এনআইডি কার্ড, পাসপোর্ট তৈরি করে পালিয়ে বিভিন্ন দেশে গিয়ে আত্মগোপন করত।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং এর পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় , তারা ৫-৭ জনের একটি চক্র। তারা গত ৮/১০ বছর ধরে ভুয়া এনআইডি কার্ড, ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জাল সার্টিফিকেট ও অন্যান্য জাল নথিপত্র তৈরি করে আসছে।

খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার মোস্তফা এই চক্রের মূলহোতা ও বাকিরা তার সহযোগী। এই চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন নির্বাচন অফিস ও বিআরটিএ অফিসের সামনে অবস্থান করে গ্রাহকদের টার্গেট করত। পরবর্তীতে তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দিয়ে প্রতারণা করত। বিশ্বাস যোগ্যতা অর্জনে তারা হুবহু জাল প্রাপ্তি স্বীকার পত্র ও মানি রিসিটটি বিআরটিএ ও বিভিন্ন ব্যাংকসহ ভুয়া সীল ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে গ্রাহককে দিতো।

র‍্যাব জানায়, একইভাবে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে চটকদার বিজ্ঞাপন পোস্ট করত। পরবর্তীতে কোন গ্রাহক তাদের সাথে এনআইডি-ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য যোগাযোগ করলে তারা তাদের মধ্যে কেউ গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুততম সময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও এনআইডি অফার দিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করার ক্ষেত্রে তার ফেইক আইডি ব্যবহার করত।

র‍্যাব মুখপাত্র বলেন, চক্রটি প্রতিটি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য গ্রাহকদের কাছে ৩-৪ হাজার টাকা দাবি করত। এছাড়া দ্রুত এনআইডি, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের জন্য ক্ষেত্র বিশেষে তারা ৮-১০ হাজার টাকা দাবি করত।

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে তারা বাইক রাইডার, লাইসেন্স বিহীন বিভিন্ন গাড়ির চালক যারা দ্রুত সময়ের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স, এনআইডি পেতে আগ্রহী অথবা যারা অবৈধভাবে লাইসেন্স, এনআইডি প্রত্যাশী তাদের টার্গেট করে থাকে।

খন্দকার মঈন বলেন, গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য তারা সাধারণত বিভিন্ন বিআরটিএ অফিস, নির্বাচন কমিশন অফিস বা সংশ্লিষ্ট অফিসের আশেপাশে দেখা করত। পরবর্তীতে তারা ৩-৭ দিনের মধ্যে ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা এনআইডি সরবরাহ করত। জরুরি ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে তারা একদিনের মধ্যেই সরবরাহ করে থাকে। তারা মোবাইল ব্যাংকিং বা সরাসরি অর্থ লেনদেন করে।

তিনি আরও বলেন, চক্রের মূলহোতা গোলাম মোস্তফা এইচএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। ৩০ বছর আগে সে ঢাকায় আসে। ঢাকায় এসে সে ডেন্টাল মেডিকেল কলেজ থেকে এক্সরে মেশিন টেকনিশিয়ান এর ১ বছরের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। পরবর্তীতে সে একটি ক্লিনিকে ৫-৭ বছর এক্সরে মেশিন টেকনিশিয়ান হিসেবে চাকরি করে। আনুমানিক ২০০০ সালে সে নিজে একটি এক্সরে মেশিন নিয়ে ছোট দোকান দেয়। ২০১০ সালে তিনি প্রতারণার সঙ্গে জড়িত হন। তার একাধিক লেগুনা গাড়ি রয়েছে। একই ধরণের প্রতারণায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে এবং এর আগেও একাধিকবার তিনি জেল খেটেছেন।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার মিনারুল ২০২০ সালে জামালপুরের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে টেক্সটাইল ডিপ্লোমা সম্পন্ন করে। সে গত ১ বছর ধরে এই চক্রের সাথে কাজ করছে। সে কম্পিউটার এক্সপার্ট এবং ভুয়া এনআইডি কার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ জাল সার্টিফিকের তৈরির ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ও ডিজাইনের কাজ করত।

খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার মুসলিম জন্ম থেকেই ঢাকায় বসবাস করছে। তিনি প্রাথমিকভাবে লেগুনাসহ বিভিন্ন সিএনজি এর চালক হিসেবে কাজ করছে। গত ৮-১০ বছর ধরে সে পুরাতন মটর সাইকেল কেনা বেচাসহ বিআরটিএ ও নির্বাচন অফিসের সামনে থেকে গ্রাহক সংগ্রহ, যোগাযোগ ও কার্ড তৈরির পর সরবরাহসহ বিভিন্ন প্রতারণার কাজ করত।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার জালাল গত ১৫ বছর ধরে ঢাকায় বসবাস করছে। সে প্রথমে প্রিন্টিং প্রেসে কাজ করত। পরবর্তীতে আদালতের সামনে দালালি করত। গত ৫-৭ বছর সে এই প্রতারণার সাথে যুক্ত হয়। গ্রাহক সংগ্রহ, যোগাযোগ ও কার্ড তৈরির পর সরবরাহসহ বিভিন্ন প্রতারণার কাজ করত।

গ্রেপ্তার তারেক পেশায় গত ১ বছর ধরে এই চক্রের সাথে জড়িত। আগে সে ২-৩ বছর বিভিন্ন চিপস্ কোম্পানীর মার্কেটিং এর কাজ করেছে। গ্রাহক সংগ্রহ, যোগাযোগ ও কার্ড তৈরির পর সরবরাহসহ বিভিন্ন প্রতারণার কাজ করত বলেও জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

কেএম/এএস

Header Ad
Header Ad

আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী

বৈভব সূর্যবংশী। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের মেগা নিলামে দল পাওয়ার পরই হৈ-চৈ ফেলে দিয়েছিলেন বৈভব সূর্যবংশী। কারণ ওই সময়ে তার বয়স মাত্র ১৩ বছর। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে অভিষেক হতে হতে যা ১৪ পূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু ব্যাটিংয়ে বুঝতেই দেননি অন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে বয়সের ফারাকটা। প্রথম বলেই কাভার অঞ্চলের ওপর দিয়ে যেভাবে বলটাকে সীমানাছাড়া করলেন, তাতে চোখ জুড়ানো নেটিজেনরা বলে বসলেন ‘অ্যা স্টার ইজ বর্ন’!

বৈভব সূর্যবংশীর জন্ম হয়েছিল ২০১১ সালের ২৭ মার্চ, ততদিনে আইপিএলের দুটি আসর শেষে তৃতীয়টির অপেক্ষা। আর তার জন্মের বছরেই মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। সেই ক্রিকেটার আইপিএলের অষ্টাদশ আসরেই সুযোগ পেয়ে যাবেন এমনটা হয়তো কেউ ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেনি। বৈভবকে আইপিএলের মেগা নিলামে ১.১ কোটি রুপিতে দলে ভিড়িয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস।

বৈভবের জন্য আরও আনন্দের বিষয় কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তিকে পাওয়া। যদি আইপিএলের চলতি আসরে তাকে খেলানোর সম্ভাবনা কমই ছিল। কিন্তু রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের ইনজুরি তার অভিষেকের ক্ষণটা এগিয়ে আনে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে গতকালই অভিষেক হয়ে গেল বিহারের এই বিস্ময়-বালকের। তবে ম্যাচটিতে তাকে ফিল্ডিং করতে হয়নি। ইম্প্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে কেবল ব্যাটিংয়েই নামেন বৈভব, অভিষেকেই খেললেন ২০ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ক্যামিও ইনিংস।

আইপিএলের প্রথম ম্যাচে বৈভবের যত রেকর্ড-

আইপিএলের মঞ্চে বয়স যে কেবল একটি সংখ্যা, সেটাই প্রমাণ করলেন ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী। ব্যাট হাতে অভিষেকেই ঝড় তুলেছেন এই কিশোর। প্রথম বলেই হাঁকালেন ছক্কা, গড়লেন একাধিক রেকর্ড—আর তাতেই ক্রিকেটবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে "অ্যা স্টার ইজ বর্ন" জ্বর!

রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছে বিহারের এই বিস্ময়বালকের। মাত্র ১৪ বছর ২৩ দিন বয়সে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে মাঠে নামা খেলোয়াড় হিসেবে নাম লেখান বৈভব। এর আগে রেকর্ডটি ছিল প্রয়াস রায় বর্মণের (১৬ বছর ১৫৭ দিন) দখলে।

কিন্তু বৈভব এসেই যেন দেখালেন, তিনি এসেছেন ইতিহাস গড়তে। ইনিংসের প্রথম বলেই শার্দুল ঠাকুরকে কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারেন ছক্কা—যা তাকে বানিয়েছে আইপিএলের সবচেয়ে কম বয়সে ছয় মারা ক্রিকেটার। এতোদিন রেকর্ডটি ছিল রাজস্থান রয়্যালসেরই রিয়ান পরাগের (১৭ বছর ১৬১ দিন) নামে।

শুধু এখানেই থামেননি বৈভব। আইপিএলে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকানো ক্রিকেটারদের ক্লাবে তিনিই দশম সদস্য। সেই তালিকায় আছেন আন্দ্রে রাসেল, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, মহেশ থিকশানা, রব কুইনিসহ আরও অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।

২১ মার্চ ২০১১ জন্ম নেওয়া বৈভব যখন এই ইনিংস খেলেন, তখন হয়তো অনেকেই ভুলে গিয়েছিলেন তার বয়স মাত্র ১৪। কারণ তার ব্যাটিংয়ে ছিল পরিপক্বতা, ছিল আত্মবিশ্বাস। ২০ বলে ৩ চার ও ২টি বিশাল ছক্কায় ৩৪ রানের ইনিংস খেলে স্ট্রাইক রেট ছুঁয়েছেন ১৭০।

যদিও ইনিংসের শেষ দিকে একটি ভুল শটে স্টাম্পড হয়ে বিদায় নেন এই কিশোর তারকা। ফেরার সময় চোখে জল লেগে ছিল—যা তার খেলায় আবেগ ও দায়বদ্ধতার পরিচয় দেয়।

রাজস্থানের ইনিংস থেমেছে ১৭৮ রানে, ১৮০ রানের লক্ষ্যে। ২ রানের হার সঙ্গী হলেও, এই ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন বৈভবই।

Header Ad
Header Ad

৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের

হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৩ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন ইস্যু সামনে রেখে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।

রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।

বৈঠকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বেশকিছু দাবির কথা বেলেন। তিনি ব‌লেন, ফ্যা‌সিবা‌দী আম‌লে হেফাজ‌তের বিরু‌দ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ২০১৩ সা‌লে শাপলা চত্বরে গণগত্যার বিচার করতে হবে। নারী সংষ্কার ক‌মিশ‌নের ধর্মীয় বিধান, ইসলামী উত্তরা‌ধিকার আইন ও পা‌রিবা‌রিক বৈষম্য প্রস্তাব ও ক‌মিশন বা‌তিল করতে হবে। তা না হলে ৩ মে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ ছাড়া ভারতীয় ওয়াকফ আইন ও ফি‌লিস্তান‌রে গণহত্যার প্র‌তিবাদে আগামী মঙ্গলবার থে‌কে ১ সপ্তাহ গণসং‌যোগ ও আগামী ২৫ এপ্রিল বাদ জুমআ প্রতি জেলা উপ‌জেলায় বি‌ক্ষোভ করবে বলে ঘোষণা দেয় দলটি।

Header Ad
Header Ad

আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন

প্রতীকী ছবি

প্রতি বছর এপ্রিলের তৃতীয় শনিবার বিশ্বজুড়ে উদযাপন করা হয় ‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ বা স্বামী প্রশংসা দিবস। স্বামীর প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য দিনটি পালন করা হয়—যার মূল উদ্দেশ্য পারিবারিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করা।

স্বামীদের অবদানকে সম্মান জানাতেই এই বিশেষ দিনের প্রচলন। যদিও দিবসটির সূচনা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে পারিবারিক জীবনে স্বামীর ত্যাগ, দায়িত্ব ও ভালোবাসা স্বীকার করতেই দিনটি উপলক্ষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশেষ করে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে, যেখানে স্বামীরা শুধু উপার্জনের দায়িত্বই পালন করছেন না, পাশাপাশি ঘরের কাজ, সন্তান লালন-পালনসহ পারিবারিক নানা দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন—তাদের জন্য এমন একটি দিন আয়োজনের যৌক্তিকতাও বাড়ছে।

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, কাউকে সামান্যভাবে প্রশংসা করলেও তার ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং পারস্পরিক সম্পর্ক হয় আরও মজবুত। বিশেষ করে দাম্পত্য সম্পর্কে এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

এই দিনে স্বামীকে একটি চিরকুট, শুভেচ্ছা বার্তা বা ছোট্ট কোনো উপহার দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানানো যেতে পারে। এমনকি শুধু মৌখিকভাবে “তুমি অনেক ভালো করছো” বলাটাও হতে পারে প্রশংসার অনন্য উপায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিবার গঠনের পথে যেমন স্ত্রীর অবদান রয়েছে, তেমনি স্বামীদের ভূমিকাও কম নয়। কাজেই সম্পর্কের ভারসাম্য ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে এমন দিনে সামান্য ভালোবাসা ও স্বীকৃতিই হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তি।

প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জানানো কোনো বিলাসিতা নয়, বরং সম্পর্ক রক্ষার এক চমৎকার অভ্যাস। তাই আজকের দিনটি হতে পারে আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে বিশেষভাবে জানানোর এক দারুণ সুযোগ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
হাতিরঝিলে যুবদল নেতার ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে
আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
বিয়ের আসরে কনের বেশে শাশুড়ি, থানায় হাজির বর
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, রাস্তায় হাজারো মানুষ
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রাও
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত
গাজায় আরও ৫২ জন নিহত, হামলা জোরদারের নির্দেশ নেতানিয়াহুর
উত্তরায় প্রকাশ্যে যুবককে তুলে নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক অপু