ফেইসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার প্ররোচনায় ৪ আসামি গ্রেপ্তার
রংপুর জেলার পীরগাছার যুবকের ফেইসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলার এজাহারনামীয় ৪ জন আসামিকে সাভার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) ঢাকা জেলার সাভার হেমায়েতপুর একতা হাউজিং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এ চাঞ্চল্যকর আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. শাহজাহান ইসলাম ওরফে বাদল (৫০), মো. ইমদাদুল হক (৩৫), মোছা. শামীমা ইয়াসমিন ওরফে সাথী (২৩), মোছা. বিথী আক্তার (৩০)।
শনিবার (১৯ মার্চ) র্যাব-৪ এর অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মোজাম্মেল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মোজাম্মেল বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রংপুরের পীরগাছা থানা এলাকায় জনৈক ইমরোজ হোসেন রনি (৩০) নামক এক যুবক ফেসবুক লাইভে গিয়ে বিষ পান করে আত্মহত্যা করেন। ফেসবুক লাইভে তিনি তার আত্মহত্যার জন্য স্ত্রী, শ্বশুর, চাচা শ্বশুর ও ভায়রা ভাইসহ শ্বশুরবাড়ির আরও কিছু সদস্যকে দায়ী করেন।
র্যাব-৪ জানায়, এ ঘটনা তদন্তে জানা যায় যে, গত ৪ বছর পূর্বে একই উপজেলার পশ্চিম হাগুরিয়া হাশিম গ্রামের দিনমজুর বাদল মিয়ার মেয়ে শামীমা ইয়াসমিন সাথীকে ভালোবেসে বিয়ে করেন ভিকটিম ইমরোজ হোসেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে এক ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু বেশ কয়েকদিন যাবৎ তাদের মাঝে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। মনোমালিন্যের সূত্র ধরে দেনমোহরের ৫ লাখ টাকা ও ভরণপোষণ দাবি করে আসছিলেন সাথী। এক পর্যায়ে কাউকে না বলে ভিকটিমের স্ত্রী তার চাচা মুকুল মিয়ার বাড়িতে চলে যান। ভিকটিম তার স্ত্রীকে আনতে গেলে শশুর বাড়ির লোকজন তাকে বিভিন্নভাবে অপমান-অপদস্ত করে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সে ফেসবুক লাইভে আসলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। এরপর র্যাব এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের পাশাপাশি তদন্ত শুরু করে এবং অবশেষে চারজনকে ধরতে সক্ষম হয়।
ডিআইজি মোহাম্মদ মোজাম্মেল আরও বলেন, গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তারদের রংপুর জেলার পীরগাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
কেএম/টিটি