ট্রাফিক মামলার রশিদ তদন্তে মিলল বিকাশ প্রতারক ও ৩ চোরের সন্ধান
চুরি করা মোটরসাইকেল ব্যবহার করে একের পর এক বিকাশ প্রতারণার পর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় তিনজন। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে, ট্রাফিক পুলিশের একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সন্ধান পাওয়া যায় এই চক্রটির।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) একটি সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিটিটিসি জানায়, বিকাশ প্রতারক খুঁজতে গিয়ে মিলল মোটরসাইকেল চোরের সন্ধান। মোটরসাইকেল চুরি করে, পরে সেটা দিয়ে বিভিন্ন বিকাশ দোকান থেকে নম্বর সংগ্রহ করত এবং কৌশলে টাকা বের করে ফেলত এ প্রতারক চক্র।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রটি। প্রতারিত যুবক বিষয়টি জানান পুলিশের কাউন্টার টেরিরিজম ও সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে। পরে অভিযোগের তদন্ত শুরু করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশ এলাকার কয়েকটি বিকাশের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তারা। সন্ধান মিলে দোকানের রহস্যজনক একজন মোটরসাইকেল চালকের।
সিটিটিসি বলছে, নম্বর প্লেটের সূত্র ধরে বের করা হয় মালিককে। কিন্তু জানা যায়, ২০১৬ সালে উত্তরার তুরাগ থেকে তার এই মোটরসাইকেলটি চুরি হয়। পরে শুরু হয় মোটরসাইকেলটি সম্পর্কে তদন্ত। এক পর্যায়ে তথ্য মেলে ট্রাফিক আইন ভাঙায় মোটরসাইকেলটির বর্তমান ব্যবহারকারী বেশ কয়েকবার মামলার মুখোমুখি হয়েছিল।
ট্রাফিক পুলিশের মামলার রশিদের সূত্র ধরে, খুঁজতে শুরু হয় মোটরসাইকেলের ব্যবহারকারীকে। এক পর্যায়ে ঢাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) উপকমিশনার এ এফ এম আল কিবরিয়া বলেন, 'প্রত্যেকটা পয়েন্টেই এক মোটরসাইকেল এসেছে। সেই মোটরসাইকেলের নম্বর নিয়ে আমরা আসল মালিকের খোঁজ পাই। পরে জানতে পারি যে, এই মোটরসাইকেলটি ২০১৬ সালে চুরি হয়েছিল।'
উপ কমিশনার কিবরিয়া আরও বলেন, আমরা ট্রাফিক ডাটাবেজ থেকে খুঁজে বের করতে থাকি যে মোটরসাইকেলটি কোনো পুলিশি মামলার সম্মুখিন হয়েছে কি না এবং যথারীতি আমরা একটা সূত্র পেয়ে গেলাম। প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা খুঁজে পাই যে, দোষী কোন নম্বরটি ব্যবহার করে ও কোথায় অবস্থান করছে। পরে ঢাকা থেকে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি।'
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার জিজ্ঞাসাবাদের পর মাগুরায় অভিযান চালিয়ে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা মোটরসাইকেল চুরি ও বিকাশ প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
কেএম/টিটি