আলোকিত সকাল পত্রিকার রিপোর্টার মোখলেছুর রহমান গ্রেপ্তার
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের সক্রিয় এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রবিবার (১৩ মার্চ) উত্তরা পূর্ব থানা এলাকার আব্দুল্লাহপুর বেড়ীবাঁধ এলাক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার (১৪ মার্চ) র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, উত্তরার আফজাল হোসেনের মালিকানাধীন মা ভবনের ষষ্ঠ তলা ভবনের চতুর্থ তলায় “দৈনিক আজকের আলোকিত সকাল” নামে একটি সংবাদপত্রের অফিসে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য মো. মোখলেছুর রহমান ওরফে মাসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোখলেছুর রহমান ওই পত্রিকার একজন রিপোর্টার।
এসময় আসামির কাছ থেকে বিভিন্ন চাকরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি প্রবেশপত্রের ফটোকপি, বিভিন্ন পদে নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি আবেদনকারীর কপি, এক পাতা গ্রীণওয়ে অল বাংলাদেশ লিমিটেড প্যাকেজ মূল্য তালিকা, একটি বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর অর্ডার বুক, একটি ভাউচার বই, একটি ডায়েরি, তিনটি ডিজিটাল সিল, ছয়টি জীবনবৃত্তান্ত ফরম, পাঁচটি ব্যাংকের চেক বই, দুটি সই করা ফাঁকা চেক ২ লাখ টাকার, দুটি মোবাইল ফোন ও তিনটি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়।
কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, ২০১৮ সালে মো. আবু হাসান মিয়া ঢাকার পূর্বাচল এলাকায় রাজউকে চাকরি করার সময় দৈনিক আজকের আলোকিত সকাল সংবাদপত্রের প্রকাশক মো. মোখলেছুর রহমান মাসুমের সঙ্গে পরিচয় হয়। হাসান মিয়ার ছোট ভাইকে চাকরি দেওয়ার জন্য মোখলেছুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর মোকলেস চাকরি দেওয়ার নামে তার কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা দাবি করেন। ২০২০ ও ২০২১ সালে ভিন্ন ভিন্ন সময় তাকে মোট ৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকা দেন। পরে আরও ১ লাখ টাকা দেন। কিন্তু তার ছোট ভাইয়ের চাকরির জন্য যোগাযোগ করলে তিনি বিভিন্ন টালবাহানামূলক কথাবার্তা বলতে থাকেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী জানতে পারেন মোখলেছুর একজন প্রতারক। তিনি বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে তাদের চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী র্যাবের কাছে একটি অভিযোগ করেন এবং আইনগত সহায়তা চান। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রতারক চক্রটিকে আইনের আওতায় আনতে র্যাব-১ গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায় এবং তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
কেএম/এসএন