রাজধানীতে শতাধিক ছিনতাইয়ের হটস্পট
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘন ঘন ছিনতাই হয় এমন জায়গাকে ছিনতাইয়ের হটস্পট বা বিপজ্জনক এলাকা বলা হয়েছে। এমন স্পট ঢাকাজুড়ে ১০০-এর বেশি রয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
ছিনতাইয়ে এসব জায়গায় বেশিরভাগ ব্যবহার করা হয় মোটরসাইকেল অথবা ব্যক্তিগত গাড়ি। চলন্ত অবস্থায় হ্যাচকা টান দিয়ে ছিনতাই করার এসব ঘটনায় প্রাণহানি ছাড়াও অনেকে গুরুতর জখম হচ্ছেন।
রাজধানীর মিরপুরে ও মোহাম্মদপুরে বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় স্থানীয়রা অনেকেই আতঙ্কিত থাকেন। রাজধানীর চিহ্নিত ছিনতাইয়ের হটস্পটগুলোর বেশিরভাগ মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও তেজাগাঁও এলাকায়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ বিষয়ক এক পর্যালোচনায় এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
ছিনতাইয়ের হটস্পট চিহ্নিত করার বিষয়ে ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন বলেছেন, পুলিশ সদস্যরা আগে নিজে নিশ্চিত হয় যে, কোন এলাকায় ছিনতাইয়ের পরিমাণ বেশি। তারপর সেই স্থানে রেড মার্ক দিয়ে পয়েন্ট আউট করে সেখানে পুলিশ টহল বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সাদা পোশাকেও পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা দিয়ে থাকেন।
তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার জানিয়েছেন, আমরা দুই স্তর বিশিষ্ট সুপারভাইজিং কমিটি গঠন করে দিয়েছি। রাতের বেলা যে টিমগুলো কাজ করছে তারা সবসময়ই সক্রিয় থাকে।
ছিনতাইকারীরা নানাভাবে ছিনতাই করে থাকে। তবে ছিনতাইয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় মোটরসাইকেল। তাদের টার্গেট থাকে রিকশার যাত্রী বা পথচারী। এরপরই রয়েছে প্রাইভেটকার ব্যবহার করে ছিনতাইয়ের ঘটনা।
সাধারণত চলন্ত অবস্থায় হ্যাচকা টানে মৃত্যুঝুঁকি তৈরি হয় ভুক্তভোগীর। পায়ে হেঁটে যারা ছিনতাই করে তাদের একটি বড় অংশের টার্গেট থাকে বাসের জানালা দিয়ে মোবাইল ফোন বা মূল্যবান অন্যকিছু ছিনিয়ে নেওয়ার। আর বেশি ছিনতাই হয় মধ্যরাতের আগে ও ভোরে।
এদিকে, ডিএমপি কমিশনার বলছেন, ছিনতাইপ্রবণ এলাকা ঘিরে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ডিএমপিতে মামলার রেকর্ড পর্যালোচনা করে যারা ছিনতাইয়ের কাজে আগেও গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের পুনরায় গ্রেপ্তার করার অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া আমাদের টহল ডিউটি যেগুলো ছিল তা পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। তদারকি ও চেকপোষ্ট বাড়ানো হয়েছে।
ছিনতাই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যমের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ছিনতাইকারীরা মোটরসাইকেলের মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে রিকশার যাত্রীদের কাছ থেকে ছিনতাই করে থাকেন। অনেক সিএনজি চালক বিভিন্ন ছদ্মবেশে সিএনজি চালানোর নামে এসব অপকর্ম করে থাকেন।
তিনি বলেন, এসব ছিনতাইকারীদের ধরতে আমরা গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করেছি। যাতে দ্রুত সময়ে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা যায়।
কেএম/টিটি