শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জন্মস্থান সুইজারল্যান্ড থেকে চলে যাচ্ছে টোবলেরওয়ান চকলেট

সুইজারল্যান্ডের খুব বিখ্যাত এবং প্রবল জনপ্রিয় চকলেট ‘টোবলেরওয়ান’। দুধে তৈরি বলে নাম কামিয়েছে খুব। ১১৫ বছরের পুরোনো এই চকলেটটি শিশুদের খুব প্রিয় মুখরোচক খাবার।
এই বিশেষ উপহারসামগ্রীটি সুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত কনফেকশনারি সামগ্রী নির্মাতা থিওডোর টোবলেরের তৈরি। তার নামেই তার চকলেটের নামটি রাখা হয়েছে। পরিবারগুলোতে একটি বিশেষ ব্র্যান্ডের চকলেট হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে।

মোট নয় ধরনের টোবলেরওয়ান বিশ্বজুড়ে পাওয়া যায়। ৩৫ গ্রাম, ৫০ গ্রাম, ৭৫ গ্রাম, ১০০ গ্রাম, ১৫০ গ্রাম, ২০০ গ্রাম, ৩৬০ গ্রাম, ৭৫০ গ্রাম ও সাড়ে ৪ কেজি ওজনের। সাদা, কালো, মিল্ক টোবলেরওয়ান চকলেট আছে।
২০০৮ সালে ইতিহাস গড়ে প্রথম ১শ কেজি ওজনের বিশেষ অর্ডারি চকলেট বানিয়েছেন তারা।
এখন জন্মস্থান সুইজারল্যান্ডের বাইরে তৈরির জন্য নতুন একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের প্রস্তুতকারী র্ফাম ম্যাটারহন থেকে চকলেটটি আর বানানো হবে না এবং প্রতিষ্ঠানটির লোকসান কমানোর জন্য এর মোড়কে সুইস-তৈরি বিশেষ বাক্যটিও আর সুইজারল্যান্ডের পতাকার মধ্যে রাখা হবে না।
মার্কিন যুক্তরাষ্টভিত্তিক টোবলেরওয়ানের প্রস্তুতকারী মন্ডেলেজ সুইজারল্যান্ডের জন্য বিপুলভাবে তৈরি করা বাদ দিয়েছে সম্প্রতি। তার বদলে তারা স্লোভাকিয়াতে চলে গিয়েছেন। এর কারণ হলো তারা হৃদয়ঙ্গম করেছেন, মানদন্ডের বিচারে এই চকলেটকে আগের মতো সুইসরা একে আর রাখছেন না।
এই কোম্পানিটির পুরো নাম হলো মোন্ডেলেজ ইন্টারন্যাশনাল অব ডেরফিল্ড, ইলেনয়। তবে সুইজারল্যান্ডে জন্ম নেওয়া ব্র্যান্ড এর মালিক।
তারা জানিয়েছেন, টোবলেরওয়ান সুইজারল্যান্ডে তার পণ্যগুলোকে কঠোর মানের মাধ্যমে তৈরি করাকে আত্মীকরণ করছে। এ পথে তাদের অনেক উন্নতি ঘটেছে।
একটি আধুনিক ও প্রবাহমান পাহাড়ের লোগো গ্রহণ করছে মোড়কে টেবলেরওয়ান এবং সেটি স্থানটি আরো ভালোভাবে নান্দনিকতার সঙ্গে উপস্থাপন করবে বলেছেন মোন্ডেলেজের মুখপাত্র লিভিয়া কোলমিনটজ তাদের ই-মেইলে।
তিনি আরো জানিয়েছেন, “আইনগত কারণে সুইজারল্যান্ডের আইনগুলোর অধীনে আমাদের মোড়কায়নকে নতুনভাবে নিয়ে আসতে হচ্ছে। এর ফলে আমরা সুইজারল্যান্ডে তৈরি এই দাবীটি আমাদের মোড়কের সামনে থেকে তুলে দিয়েছি ও সুইজারল্যান্ডের বদলে ‘এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল’ আমাদের বিবরণে প্রকাশ করেছি।”
গত বছরের জুন মাসে এই কোম্পানিটি ঘোষণা করেছিল যে, তারা টোবলেরওয়ান চকলেট স্লোভাকিয়ার রাজধানী ব্রাটিসলাভা থেকেও তৈরি করার পরিকল্পনা করছেন। এর কারণ হলো, সুইজারল্যান্ড থেকে অনেক কম সেখানে মজুরি এবং জীবনযাপনের জন্য খরচও অত্যন্ত কম।
টোবলেরওয়ানের ৩৫ ও ৫০ গ্রাম ওজনের চকলেটগুলো স্লোভাকিয়া থেকে তৈরি করা হবে। আর ১শ গ্রাম ট্যাবলেটগুলো দেশের রাজধানী বেরনে থেকেই তৈরির কার্যক্রম চলবে।
সুইজারল্যান্ড ২০১৭ সালে পণ্যগুলো নির্মাণের বিষয়ে একটি নতুন আইনকে গ্রহণ করেছে ও সুইসদের নির্মাণের বিশেষ চিহ্নগুলোকে সুরক্ষা দেবার অঙ্গীকার করেছে। এর ফলে যখন খাবার তৈরির বিষয় আসবে ফলে দুটি অবশ্যই শর্ত পূরণ করতে হবে-কাঁচামালের চার-পঞ্চমাংশ যেগুলো পণ্যটি তৈরি করতে লাগবে সেগুলো অবশ্যই সুইজারল্যান্ড থেকে আসতে হবে এবং পণ্যটিকে তার চরিত্র প্রদান করতে যে কাঠামো অনুসরণ করতে হবে সেগুলো অবশ্যই সুইসের হতে হবে।
এই চকলেট বারগুলো মধু ও চিনি এবং বাদামের সঙ্গে দুধ মিলিয়ে তৈরি করা হয়। টোবলেরওয়ান খুব বেশি বিক্রি হয় বিভিন্ন দেশে ও বিশ্বের শুল্কমুক্ত দোকানগুলোতে।
গত শতাব্দী থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশে উল্লেখযোগ্য টোবলেরওয়ান চকলেট তৈরি করা হচ্ছে। ব্রিটেনে এই চকলেট ‘সিংকফ্লেইশন’ নামেও তৈরি করা হয়।
টোবলেরওয়ান আইসক্রিমও আছে।
বিশেষ উপলক্ষে তারা বিশেষ চকলেট তৈরি করেন। ভালোবাসা দিবস এর মধ্যে অন্যতম।
একটি নতুন ও চিরকালীন মোড়ক এবং লোগো ও থিওডোর টোবলের স্বাক্ষর থাকবে নতুন টোবলেরওয়ান চকলেটের গায়ে।


ওএফএস/ডিএসএস

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক