প্রায় ৯ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে ডেমরার আগুন, ভেঙে পড়তে পারে ভবনটি
ডেমরার ক্রীড়া সামগ্রীর গোডাউনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর ডেমরার ক্রীড়া সামগ্রীর গোডাউনে লাগা আগুন ৯ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) সাড়ে ৮টার পর ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি যোগ দিয়েছিল বাংলাদেশ নৌবাহিনীও। এদিকে, আগুন লাগা ভবনটিকে ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস।
ভবনটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ইনসিডেন্ট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম বলেন, এখানকার ভবনগুলো একটার সঙ্গে একটা লাগোয়া। পূর্ব পাশের ভবনটির সঙ্গে এক ইঞ্চিও ফাঁকা নাই। যে কারণে আমরা ভবনটির পূর্ব পাশ দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে পানি দেওয়াসহ কোনো কাজই করতে পারিনি। তার ওপর ভবনটির সিঁড়ি খুবই সংকীর্ণ। সেই সিঁড়িতেও মালামাল স্তূপ করে রাখা। ভবনের পর্যাপ্ত এক্সিট রুট নাই, বিকল্প কোনো সিঁড়ি নেই, বিকল্প এক্সিট রুটও রাখা হয়নি।
ভবনটির নিচে ওয়াটার রিজার্ভার তো নাই, আশপাশে ভবনগুলোতেও নাই পানির রিজার্ভার। এইসব কারণে আমাদের আগুন নেভাতে অনেক সময় লেগেছে। তিনি বলেন, গোডাউন তৈরির কোনো নীতিমালা মানা হয়নি। ফায়ার ফাইটারদেরকে একটা একটা করে জিনিস সরিয়ে ভেতরে ঢুকে কাজ করতে হচ্ছে।
দীর্ঘক্ষণ আগুন জ্বলায় ভবনটির অবস্থা নাজুক হয়ে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ভবনটি। একটি ছাদ ফেটে গেছে। যে কারণে যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভবনটি কাঠামোগত শক্তি একেবারেই হারিয়েছে বলে দাবি করেন এ ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ইনসিডেন্ট কমান্ডার।
এদিকে, প্রায় ৯ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে, আগুন পুরোপুরি নেভাতে কাজ চলছে এখনও।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ১১ টায় ডেমরার প্রেস এলাকায় এ আগুনের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের শিকার গোডাউনটিতে খেলাধুলার পোশাকসামগ্রী রাখা ছিল বলে জানা গেছে।
আগুনের খবর পেয়ে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে ডেমরা, পোস্তগোলা ও সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের ১০টি ইউনিট। কিন্তু তাদের ৫ ঘণ্টার চেষ্টাতেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না এলে যোগ দেয় নৌবাহিনীও।