চোরাই পণ্যসহ রাজধানীতে ১০ ভারতীয় গ্রেপ্তার
অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর একটি বাসা থেকে বিপুল ভারতীয় পোশাক ও কসমেটিক্সসহ ১০জন ভারতীয় ও ১ বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে মেরুল বাড্ডার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবির লালবাগ জোনের উপকমিশনার মশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মশিউর রহমান জানান, এ সময় তাদের কাছ থেকে ভারতে চুরি হওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২১টি স্মার্টফোন, পাঁচটি ভারতীয় পাসপোর্ট, নগদ হাজার টাকাসহ বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও জেল, কসমেটিক্স, থ্রি পিস, শার্ট, জুতা ও স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ভারতীয় নাগরিকরা হলেন, রাজা শাও (৩৯), পঙ্খজ বিশ্বাস (৩৫), উৎপল মাইটি (২৫), সোনু বর্মন (২১), দীপঙ্কর ঘোষ (২৪), রাজু দাস (২২), সুজন দাস (২৭), এস কে আজগর আলী (২১), লারাইব আশ্রাব (২১) এবং সমরজিৎ দাস (৩০)। এরা সবাই দেশটির পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের বাসিন্দা। আর গ্রেপ্তার বাংলাদেশী ব্যবসায়ীর নাম মোঃ মুরাদ গাজী (২৮)।
মশিউর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশি মুরাদ গাজী তার বোন ববিকে নিয়ে মধ্য বাড্ডায় নিজস্ব বাসায় দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে ভারতীয় কাপড়-চোপড়, জুতা স্যান্ডেল, তেল, সাবান, কসমেটিক্স, সেক্স পীল ও জেল বিক্রি করে আসছে। নিম্নমানের এই সমস্ত সামগ্রীগুলো বিক্রয় সংক্রান্ত বহু রশিদ এবং রশিদ বই পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার ভারতীয় এবং বাংলাদেশী ব্যবসায়ী স্বীকার করেছে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে যে সমস্ত মালামাল গুলো জব্দ করেছে তার কোনটাই বৈধ পথে আনা হয়নি।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘কলকাতা থেকে ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে যে আন্তঃদেশীয় ট্রেন চলাচল করে সেই ট্রেনে করে তারা দীর্ঘদিন ধরে কোন ট্যাক্স পরিশোধ না করে এই ভারতীয় মালামাল গুলো চোরাই পথে বাংলাদেশ আনে এবং বিক্রি করে থাকে। তারা স্বীকার করেছে আগে কাপড়ের গাট্টির মধ্যে শত শত চোরাই মোবাইল, শত শত বোতল মদ এবং বিয়ার বাংলাদেশে এনে বিক্রি করেছে। রমজান মাস ও ঈদের পূর্বে মদ–বিয়ার না এনে কোন শুল্ক–ভ্যাট পরিশোধ না করে অবৈধভাবে শুধু কসমেটিক্স, কাপড়-চোপড়, জুতা স্যান্ডেল, সেক্স পিল জেল এনে তারা মজুদ করছিল।’
বাংলাদেশ থেকে চুরি হওয়া দামি ফোনগুলো কোথায় যায়, মূলত সেগুলোর তদন্ত করতে গিয়েই এই চক্রের খোঁজ পায় তারা। এই আসামিরা চোরাই ফোনের আইএমই নাম্বার পরিবর্তন করে ভারতে পাঠিয়ে দিতো বলেও জানান ডিএমপির ডিবি প্রধান। যে বাসায় তাদের গোডাউন, সেটির মালিক অনলাইনে এসব পণ্য বিক্রি করতেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।