মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারে আটকে ছিল বর্ষবরণের ৩৮ ফানুস
মেট্রোরেলের তারে আটকে থাকা ফানুস অপসারণ। ছবি: সংগৃহীত
থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ওড়ানো ফানুস এবারও মেট্রোরেলের তারে আটকেছে। তবে কর্তৃপক্ষ সতর্ক থাকায় কোনো সমস্যা হয়নি। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে রাতেই দীর্ঘ ২০ কিলোমিটার রুটে তারে আটকে থাকা ফানুসগুলো অপসারণ করেন ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কর্মীরা।
ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত রুটে মেট্রোরেলের তারে আটকে পড়া ফানুস রাত জেগে পরিষ্কার করা হয়েছে। কর্মীরা পায়ে হেঁটে পুরো রুট থেকে ৩৮টির বেশি ফানুস অপসারণ করেছেন। রাত ৩টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত টহল দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মেট্রোরেলের তারে আটকে থাকা এসব ফানুস সরানো হয়। এ কারণে পরদিন মেট্রোরেল নির্দিষ্ট সময়ে চলাচলে কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি হয়নি।
সোমবার (১ জানুয়ারি) মেট্রোরেল পরিচালনকারী ডিএমটিসিএলের ম্যানেজার (সিভিল অ্যান্ড পি-ওয়ে) মাহফুজুর রহমান জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পুরো পথে মেট্রোরেলের তারে ফানুস আটকা পড়েছিল। রাতভর আমাদের কর্মীরা এগুলো অপসারণ করেছে। ফলে সোমবার সকালে মেট্রোরেল চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। আমরা বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও মেট্রোরেল রুট সংলগ্ন এলাকায় ফানুস উড়ানো হয়, এটি খুবই দুঃখজনক। মেট্রোরেল আমাদের জাতীয় সম্পদ। এর প্রতি সবার যত্নবান হওয়া জরুরি।
ডিএমটিসিএল জানায়, ইংরেজি নতুন বছর বরণের উৎসবে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে, এমন আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল। এজন্য মেট্রোর পুরো রুটকে ছয়টি সেকশনে ভাগ করে পেট্রলিং করা হয়। আটকে থাকা ৩৮টি ফানুস অপসারণ করা হয়। বৈদ্যুতিক তারে কোনো ধরনের বস্তু বিশেষ করে মেটালিক কিছু থাকলে তা সমস্যা তৈরি করতে পারে। স্পার্কিং হলে রেল চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।
গত বছরও থার্টি ফার্স্ট নাইটে মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারের ওপর ফানুস আটকে যায়। এতে দুর্ঘটনা এড়াতে মেট্রোর চলাচল শুরু হয়েছিল দুই ঘণ্টা দেরিতে।
গত ২৮ ডিসেম্বর ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে মেট্রোরেলের এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ফানুস উড়ানো বা আতশবাজি না করতে নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এছড়া ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকেও থার্টি ফার্স্ট নাইটে এ বিষয়ে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছিল।