অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ শতাধিক পোশাক কারখানা
ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি মজুরি বোর্ড পোশাক শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা ঘোষণা করে। শ্রমিকেরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করে। সকাল থেকে আশুলিয়ার টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জামগড়া, নরশিংহপুর, ছয়তলা, জিরাবো এলাকার দুই পাশে থাকা পোশাক কারখানাগুলো বন্ধ রয়েছে। কারখানাগুলোর সামনে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে নোটিশ। কারখানার শ্রমিকরা সকালে এসে আবার যার যার বাসায় চলে গেছেন। তবে এসব অঞ্চলের পরিবেশ শান্ত রয়েছে।
মজুরি বাড়ানোর দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনের জেরে শিল্পাঞ্চল সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে প্রায় ১৩০টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে শুধু শিল্পাঞ্চল আশুলিয়াতেই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ১০০ কারখানা।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া শিল্পায়ন পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম।
তিনি বলেন, ‘যেসব কারখানা শ্রমিকরা কাজ করতে আগ্রহী সেগুলোতে কাজ চলছে। তাদের কাজ চলমান থাকবে। তবে বেশ কয়েকটি কারখানা বন্ধ। এসব কারখানার শ্রমিকরা চলে যায় এবং বিভিন্ন উচ্ছৃঙ্খলতা প্রকাশ করে। এমন ১৩০ কারখানা তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য শ্রম আইনে ১৩ এর ১ ধারায় বন্ধ রয়েছে। সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই মিলে এখানে ১৭৯২ টি কারখানার ভেতর ১৩০ টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যে কিছু কিছু কারখানা সাধারণ ছুটি ছিলো এগুলো আগামীকাল খুলে দেবে।’
তবে সাভার ও আশুলিয়ার সামগ্রিক পরিবেশ-পরিস্থিতি ভালো বলে জানান পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, খোলা কারখানাগুলোর শ্রমিকরা কাজ করছেন। আর কাজের পরিবেশ ধরে রাখার জন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব সময় তৎপর রয়েছি।
গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য লীগের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘১৩০টি কারখানায় কমপক্ষে দুই লাখ শ্রমিক কর্মরত আছেন। ১৩/১ ধারায় কারখানা বন্ধ হওয়ায় আমরা শ্রমিক নেতারা উদ্বিগ্ন। আমরা চাই শিল্পের চাকাও ঘুরুক, শ্রমিকেরাও বাঁচুক। দ্রুত সমস্যার সমাধান করে কারখানা খুলে দেওয়া হোক।’