‘নতুন দোকান নিমিষেই পুড়ে শেষ’

নতুন দোকান। এক মাসের মধ্যেই পুড়ে শেষ। কিছু মাল বের করতে পারলেও দোকানের সব মাল বের করতে পারি নাই। এভাবেই অসহায়ের মতো নিজের কষ্টের কথা ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান মনির হোসেন। তিনি বঙ্গবাজারের লেডিস গার্মেন্টস দোকানের মালিক।
তিনি বলেন, নতুন দোকানে কিছু দিন আগে ১০ লাখ টাকার মাল উঠিয়ে ছিলাম। মার্কেটের পাশের থাকি। সকালে আগুনের খবর পেয়ে আমি চলে আসি। কিছু মালামাল বের করে বাইরে রেখেছিলাম। অধিকাংশই দোকানে পুড়ে যায়। রাস্তায় যা রেখেছিলাম সেগুলোও বাঁচাতে পারিনি, পুড়ে গেছে।
মনির আরও বলেন, খারাপের মধ্যে ভালো হচ্ছে ক্যাশ থেকে এক লাখ টাকা বের করতে পেরেছি। কত টাকা ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জীবনে যত টাকা আয় করেছি, তা এখানে ইনভেস্ট করেছিলাম। আমি এখন সম্পূর্ণ নিঃস্ব।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে ৫১ ইউনিট কাজ করে। ফায়ার সার্ভিসের ৫১ ইউনিটের পাশাপাশি কাজ করেছে সেনা, নৌ, বিমান ও বিজিবির ফায়ার ইউনিট। আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে গিয়ে বেশ কয়েকজন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বেশিরভাগ উৎসুক জনতাই মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে ব্যস্ত
সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গবাজারের টিনশেড দোতলা মার্কেট পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মহানগর শপিং কমপ্লেক্স। আগুনের ভয়াবহতায় নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয়েছে দমকল বাহিনীকে। উৎসুক জনতার ভিড়ে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে। উৎসুক জনতার কেউ কেউ সাহায্য করলেও বেশিরভাগ মানুষই মোবাইল ফোনে ভিডিও করায় ব্যস্ত। এ পরিস্থিতিতে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে দূরে অবস্থান করতে স্থানীয় মসজিদের মাইক ছাড়াও বিভিন্ন হ্যান্ড মাইকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। মাইকে বার বার বলা হচ্ছে, আল্লাহর ওয়াস্তে আপনারা ভিডিও না করে পানির ব্যবস্থা করেন। কিন্তু বারবার মাইকে বলার পরও কারও মধ্যে কোন ভ্রুক্ষেপ দেখা যায়নি। তারা যে যার মত সড়কে অবস্থান করে নিজেদের মোবাইলে ছবি তুলতে ব্যস্ত।
এমএইচ/এসজি
