সুলতান'স ডাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীরা কোথায়?
কাচ্চিতে খাসির বদলে অন্য প্রাণীর মাংস দেয়ার অভিযোগ ওঠে রাজধানীর অভিজাত রেস্তোরাঁ সুলতান'স ডাইনের বিরুদ্ধে। আর এই অভিযোগটি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে। যা নিয়ে গত চার দিন ধরে চলছে সমালোচনার ঝড়। তবে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ বলছে, এসব বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। তাদের দাবি, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগকারী কে পাইনি। অভিযোগকারীরা কোথায় সেটাও তারা জানেননা। অভিযোগ এলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে ওই অভিযোগের পর রাজধানীর গুলশানে সুলতান'স ডাইন রেস্তোরাঁয় দুই দফা অভিযান চলে। প্রথমে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও পরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সেখানে অভিযান চালায়।
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তৈরি হওয়া বিতর্কের শুনানি সোমবার (১৩ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
এ ঘটনার ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে ওইদিন সকাল ৯টায় ভোক্তা অধিকারের কারওয়ান বাজার অফিসে মাংস সরবরাহকারীসহ সুলতান'স ডাইন কর্তৃপক্ষকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভোক্তা অধিদপ্তরের একটি বিশ্বস্ত তথ্য মতে এসব জানা গেছে।
এর আগে, গত ২ মার্চ কানক রহমান খান নামের এক নারী গুলশানে সুলতান'স ডাইন থেকে ৭ প্যাকেট খাবার কিনেন। খাবার নিয়ে মহাখালী যাওয়ার পর ফোন করে সুলতান’স ডাইনের ম্যানেজারকে ডাকেন। তিনি অভিযোগ করেন কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসির পরিবর্তে বিড়ালেন মাংস দেয়া হয়েছে।
একই রকম অভিযোগ করেন আব্দুল হাকিম নামের এক ভোক্তা। গুলশান শাখার ম্যানেজার কামাল আহমেদের অভিযোগ হাকিম নামের ওই ভোক্তা তাদের কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করছেন। তিনি দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ৫ মার্চ অভিযোগকারীরা একটি ভিডিও পোস্ট করেন ফেসবুকে। যা সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটিতে দাবি করা হয় সুলতান ডাইনে বিড়ালের মাংস খাওয়ানো হয়। যদিও পরবতীর্তে ভিডিওটি সরিয়ে ফেলা হয়।
আব্দুল হাকিম ও কানক রহমান খানকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ওই চ্যানেলটি থেকে কল দিলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। মেসেজ করেও উত্তর পাওয়া যায়নি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বনানী থানার দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা বলেন, এই ঘটনায় আমাদের সংশ্লিষ্ট থানায় কোন অভিযোগ বা মামলা হয়নি। তবে আমরা শুনেছি বিষয়টি ভোক্তা অধিদপ্তর দেখছে। আরো কিছু জানার থাকলে আপনি আমাদের এলাকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ফোন দিয়ে জানতে পারেন।
কেএম/এএস