শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বছরজুড়ে আলোচনায় ওয়াসা এমডি, মশার বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশনের যুদ্ধ 

যুক্তরাষ্ট্রে বসে অফিস করা, ১৩ বছরে প্রায় ৬ কোটি টাকা বেতন নেওয়াসহ ২০২২ সালের পুরোটা সময় আলোচনায় ছিলেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। অন্যদিকে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বছর পার করেছে মশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তাকসিম এ খান ২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে নিযোগ পান।

তারপর সরকার তার মেয়াদ ৫ দফা বাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনি ঢাকা ওয়াসার এমডি। ২০২৩ সালে তার মেয়াদ আবারও শেষ হচ্ছে।

তাকসিম এ খানের পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে। নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই তিনি বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় পরিবারের সঙ্গে কাটানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র যান। এভাবে নিয়মিত যুক্তরাষ্ট্রে গেলেও ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে বসেই অনলাইনে অফিস করেন। সর্বশেষ ২০২২ সালেও বরবারের মতোই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসে অফিস করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সরকার এবার তাকে সেই অনুমতি না দিয়ে ৬ সপ্তাহের ছুটি মঞ্জুর করে।

গত বছর তাকসিম এ খান ছুটিতে থেকেও নথিপত্রে স্বাক্ষর করেন। অন্যদিকে, তার ছুটির সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এমডির দায়িত্ব পাওয়া ওয়াসার পরিচালক (উন্নয়ন) আবুল কাশেমও নথিপত্রে স্বাক্ষর করেন। একসঙ্গে দুজন এমডির দায়িত্ব পালন নিয়ে সমালোচনা হয়। এ কারণে এবার ওয়াসা বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয়, তাকসিম এ খান পূর্ণ ছুটিতে থাকবেন, ভার্চ্যুয়ালি কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া, তার ব্যাংক হিসাবও তলব করে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ (বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

এর বাইরে এ বছরই গত ১৩ বছরে বেতনবাবদ তাকসিম এ খান কত টাকা নিয়েছেন সেটা হাইকোর্ট ওয়াসা বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চান। পরে জানা গেল ওয়াসা এমডি ১৩ বছরে প্রায় ৬ কোটি টাকা বেতন নিয়েছেন। আদালতে ঢাকা ওয়াসার দাখিল করা প্রতিবেদনেই ৬ কোটি টাকা বেতন নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

এসব ঘটনায় পুরনো বিষয়গুলো নতুন করে আলোচনায় আসে। জানা যায়, ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল টিআইবির এক প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তাকসিম ওয়াসার সরবরাহকৃত পানিকে শতভাগ সুপেয় বলে দাবি করেন। বিষয়টি বিদায়ী বছরেও ব্যাপক  আলোচিত হয়।  

জনসাধারণের পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিও ওয়াসা এমডির এ মন্তব্যের সমালোচনা করেছিল। ২০১৯ সালে তিনি বুড়িগঙ্গা নদীতে কোনো পয়ঃনিষ্কাশন লাইন নেই বলে মন্তব্য করলে হাইকোর্ট তার মন্তব্যের সমালোচনা করেন।

২০১১ সালে দূষণ কমাতে বুড়িগঙ্গায় প্রবাহিত সব পয়ঃনিষ্কাশন লাইন বন্ধ করতে ওয়াসাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। এ নির্দেশনা অমান্য করায় এবং আদালতে মিথ্যা বলায় ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এসব বিষয়ও বিদায়ী বছরে নতুন করে আলোচনায় আসে।

মশার বিরুদ্ধে যুদ্ধে বছর পার করল সিটি করপোরেশন এবার ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনেরই ২০২২ সাল গেছে মশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। যদিও এই যুদ্ধে সিটি করপোরেশন কতটুকু জয়ী হয়েছে সেটা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকেই। বছরজুড়েই মশার উপদ্রব ছিল। জুলাইয়ের আগে যুদ্ধ করতে হয়েছে কিউলেক্স মশার বিরুদ্ধে। মশা কখনোই নিয়ন্ত্রণে ছিল না।

জুলাইয়ে এলো ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার মৌসুম। ২০০০ সালে প্রথম বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়। কিন্তু মৃত্যুতে গত ২৩ বছরের মধ্যে বিদায়ী বছর রেকর্ড করেছে। এ বছর ২৮১ জন মারা গেছেন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ হাজার ১৮৯ জন।

অবস্থা এমন যে খোদ সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেকেই বলাবলি করেন মশা নিধন অভিযান ফলপ্রসূ হলে এডিসের বিস্তার এত মারাত্মক পর্যায়ে যেত না। তার মানে মশা নিধনে গলদ রয়েছে সিটি করপোরেশনের। খোদ সরকারের আরেকটি দপ্তর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরই বলছে, মশা নিধনে গলদ আছে বলেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসছে না। ডেঙ্গু নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ অভিযোগ করেন।

বছরজুড়েই মশা নিধনে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম, চিরুণি অভিযান  প্রভৃতি বাহারী নামে কার্যক্রম চালিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) তো মশক নিধনে ড্রোন পর্যন্ত ব্যবহার করেছে। কিন্তু নগরবাসীর অভিযোগ, এত মহাযজ্ঞে মশা মরেছে খুব সামান্যই। তার প্রমাণ ডেঙ্গুতে মৃত্যুর রেকর্ড। মশার বিরুদ্ধে যুদ্ধের আরেকটা অস্ত্র ছিল বছরজুড়েই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা। দুই সিটি করপোরেশনই শুধু মশা নিধনের উদ্দেশেই বছরজুড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে। এসব আদালত থেকে বিভিন্ন ভবন মালিককে জরিমানা করা হয়েছে।

এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়টি নিয়েও সমালোচনায় সোচ্চার ছিল নগরবাসী। তাদের অভিযোগ, মশক নিধন বাবদ দুই সিটি করপোরেশন ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেলেও তাদের কাজ না করে তারা উল্টো নগরবাসীকে জরিমানা করছে।

আরইউ/এমএমএ/

 

 

 

Header Ad

ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ

ছবি: সংগৃহীত

ভূমি এবং বেসামরিক বিমান, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশিদের জন্য কবে থেকে ভিসা উন্মুক্ত করে দিবে, তা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার, এটা নিয়ে সরকারের কোনো বক্তব্য দেয়ার কিছু নেই।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুর নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসান আরিফ বলেন, দেশের পর্যটন বিকাশে তার মন্ত্রণালয় বিশদ পরিকল্পনা নিয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সাংবাদিকদের জানানো হবে।

এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের দানকৃত জমিতে গড়ে তোলা হবে হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সমাজে অবস্থার কারণে বিভিন্নভাবে রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। ওয়ামী তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। তবে শিক্ষার পাশাপাশি যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে ওয়ামি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। অন্যতম মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি উপস্থিত সৌদি রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান,ওয়ামী সচিবালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ড. আব্দুল হামিদ ইউসুফ আল মাজরু, ওয়ামী কার্যালয়ের বৈদেশিক অফিস ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ডিরেক্টর সাআ’দ আব্দুল্লাহ বিন জাবর ও ত্রাণ বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল মালেক আল আমের প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহামেদ, উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার দিল আফরোজ।

এর আগে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের পর ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্স ভবনে রয়েছে দ্বিতল বিশিষ্ট সুপরিসর মসজিদ, ১০০ জন এতিম শিশুর জন্য উন্নত মানসম্পন্ন আবাসন ব্যবস্থা, ১টি ক্যাডেট মাদ্রাসা, ১টি নুরানী ও হিফজ মাদরাসা, ১টি লাইব্রেরি হল, ১টি হলরুম ও কনফারেন্স রুম, তরুণ শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল লার্নিং জন্য একটি আইটি প্রশিক্ষণ সেন্টার ও ডাইনিং হল। এ ছাড়াও কমপ্লেক্স এর অবশিষ্ট পরিকল্পনার মধ্যে একটি হাসপাতাল, স্কুল, ভোকেশনাল সেন্টার, প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ডরমিটরি ও প্লে গ্রাউন্ড নির্মাণের বিষয় তিনি উল্লেখ করেন।

Header Ad

জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু

জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর জুরাইন রেলক্রসিং থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা সরে গেছেন। এর ফলে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে এ ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বেলা তিনটার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ এবং পদ্মা সেতু হয়ে রাজশাহী ও খুলনাগামী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

এর আগে আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ব্যাটারিচালিত রিকশা সড়কে চলতে দেওয়ার দাবিতে রেললাইন অবরোধ করেন রিকশাচালকেরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা ১১টার দিকে রিকশাচালকরা জুরাইন রেলক্রসিং অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে আশপাশের সড়কগুলোয় যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা ১টার দিকে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে সরে যাওয়ার অনুরোধ করে। তবে তারা বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন। একপর্যায়ে রিকশাচালক ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে রেললাইনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর রেল চলাচল শুরু হয়।

শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে পুলিশ। একপর্যায়ে লাঠিপেটা করতে বাধ্য হয়েছে। বেলা দেড়টার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার মহাখালী রেলগেট এলাকায় অটোরিকশাচালকদের অবরোধে সোয়া ৬ ঘণ্টা বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। এতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ে রেলযাত্রীরা।

এর আগে গত সোমবার তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা মহাখালীর আরজতপাড়ায় রেলপথ অবরোধ করে। এ সময় আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা।

আন্দোলন চলাকালে সম্প্রতি ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে ওই ট্রেনের নারী-শিশুসহ অনেক যাত্রী আহত হয়। ওই ঘটনায় উপকূল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ ছয়টি বগি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে।

Header Ad

পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা

পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

বিশ্বের পাঁচটি দেশে যেতে চাওয়া বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। ওই পাঁচটি হলো: থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া।

মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা বার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবাসী কিছু অসাধু ব্যক্তি ও এসব দেশে গড়ে ওঠা বেশ কিছু স্ক্যাম প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার অপারেটর, টাইপিস্ট, কল সেন্টার অপারেটরসহ বিভিন্ন পদে আকর্ষণীয় বেতনের প্রলোভন দিয়ে নিয়োগের লক্ষ্যে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে (ভুয়া ওয়েবসাইট, ই-মেইল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি) প্রচার কার্যক্রম/নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করছে। এসব ক্ষেত্রে স্ক্যাম সেন্টারগুলো বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সঙ্গে বাংলাদেশিদেরও সুকৌশলে স্ক্যাম সেন্টারের ভেতরে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক জিম্মি করে স্ক্যামের কাজে নিয়োজিত করছে।

ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাস মিয়ানমার ও কম্বোডিয়ায় গড়ে ওঠা স্ক্যাম সেন্টারগুলো থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত/পালিয়ে আসা বেশ কিছু বাংলাদেশিকে ইতোমধ্যে দেশে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারসমূহকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

সতর্কতা বার্তায় আরও বলা হয়েছে, এসব দেশে সাইবার স্ক্যাম নিয়ে কাজ করছে এরূপ এনজিওসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাস সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।

বিদেশে চাকরির উদ্দেশ্যে গমনেচ্ছু বাংলাদেশিদের এসব দেশে কম্পিউটার পরিচালনা সংক্রান্ত চাকরির প্রস্তাব পেলে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।

প্রয়োজনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা অথবা জনশক্তি, কর্মস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর সংশ্লিষ্ট শাখার মাধ্যমে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর সহযোগিতায় নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য যাচাই করে নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ ছাড়াও স্ক্যাম সেন্টার থেকে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ আইডির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে/বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের টার্গেট করে আর্থিকভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে। দেশে/বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করলে প্রতারক চক্রটি তাৎক্ষণিকভাবে এসব লেনদেনের অ্যাকাউন্ট বন্ধের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে জানিয়েছে বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে দেশে/বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’