সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘১০ ডিসেম্বরের আগেই নয়াপল্টনের নিয়ন্ত্রণ নেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’

আগামী ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ঢাকা বিভাগের সমাবেশকে কেন্দ্র করে শক্ত অবস্থানে রয়েছে সরকার। সরকারের গোয়েন্দা বাহিনীর তথ্য মতে জানা যায়, সরকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। বিএনপি যদি নয়াপল্টনের সমাবেশ করে সেই ক্ষেত্রে আগে থেকেই সমাবেশস্থল দখলে নেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সম্প্রতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

গণসমাবেশের স্থান নয়াপল্টনে ব্যাপারে বিএনপি অনড় থাকলে ১০ তারিখের আগেই সেটি নিয়ন্ত্রণ নেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে বিএনপি'র পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছে নয়াপল্টন নয় আরামবাগে সমাবেশের অনুমতি দিলে বিশেষ বিবেচনা করে দেখবেন তারা। অন্যদিকে, পুলিশের পক্ষে বলা হচ্ছে-আগামিকাল ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে তারা। এ সময়ের মধ্যে গণসমাবেশের স্থান পরিবর্তন না হলে নয়াপল্টনসহ আশপাশের পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট।

ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী-এ কারণে প্রস্তুতিও গ্রহণ করেছে। ডিএমপি সবগুলো ইউনিট ডিবি, সোয়াট, কাউন্টার টেরোরিজমসহ বেশ কয়েকটি ইউনিটকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি র‌্যাবও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।

এদিকে, বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশকে ঘিরে উদ্ভূত যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে র‍্যাব।

এ বিষয়ে র‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন-আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ করবে বিএনপি। এই সমাবেশ ঘিরে উদ্ভূত যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে র‍্যাব।

তিনি বলেন, র‍্যাবের সঙ্গে প্রস্তুত বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, স্পেশাল ফোর্স, স্পেশাল ডগ স্কোয়াড ও হেলিকপ্টার ইউনিট। নাশকতার পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, সেজন্য সাদা পোশাকে থাকবে র‍্যাবের গোয়েন্দা সদস্যরা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, মাঠ ছাড়া রাস্তায় সমাবেশ করার অনুমতি পাবে না বিএনপি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, মাঠ ছাড়া রাস্তা-ঘাটে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বাদে অন্য কোনো স্থানের নাম প্রস্তাব এখনো করেনি বিএনপি।

ডিএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বুধবার (৭ ডিসেম্বর) পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। এরই মধ্যে বিএনপি তাদের সিদ্ধান্ত না বদলালে অর্থাৎ অনুমোদিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ব্যাপারে স্পষ্ট ঘোষণা না দিলে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হবে। অর্থাৎ পল্টনে কোনোভাবেই সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। পুলিশের অনুমতির বাইরে সমাবেশ করতে গেলে পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, জনগণের কোনো ক্ষতি হোক এমন কোনো কার্যক্রম করবে না বাংলাদেশ পুলিশ।

তিনি বলেন, তা ছাড়া বেআইনি সমাবেশ বা জমায়েত হতে দেবে না পুলিশ। এক্ষেত্রে ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর থেকেই নয়াপল্টনের নিয়ন্ত্রন নিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হবে। পুরো নয়াপল্টনসহ আশপাশের পুরো এলাকা নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে কর্ডন করে ফেলা হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে ডিএমপি।

নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, সমাবেশ শুরুর দিনে ডিএমপির রিজার্ভ ফোর্সের সঙ্গে সোয়াট, সিটিটিসি এমনকি র‌্যাবও থাকবে নয়াপল্টন জুড়ে। কোনো জমায়েত সেখানে হতে দেয়া হবে না। এক্ষেত্রে পুলিশের কাজে বাধা দিতে কেউ আসলে পুলিশ পুরোপুরি অ্যাকশনে যাবে।

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের উপ-কমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, বিএনপিকে কিছু শর্ত দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত সেটাই সিদ্ধান্ত হয়ে আছে। সেই অনুপাতে আমাদের পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে। তবে যদি এই নিয়মের বাইরে কোনো ঘটনা হয় বা ঘটানোর চেষ্টা করা হয় তাহলে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সরকারি যে নির্দেশনা আসে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফারুক হোসেন আরও বলেন, যেকোনো ধরনের নাশকতা রোধে পুলিশ সতর্ক থাকবে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না। রাজধানী জুড়ে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। প্রতিটি ডিভিশনের মাধ্যমে প্রত্যেকটি থানাকে এ ব্যাপারে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেকোনো বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ করতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। নগরবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করা হবে।

লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে সুষ্ঠু-স্বাভাবিক রাজনৈতিক অবস্থা বিরাজ করছে। সরকারি ও বিরোধী দল তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে। র‌্যাব সাধারণত জঙ্গি দমন, মাদক কারবারি, অস্ত্রধারী ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে আস্থা অর্জন করেছে।

তিনি আরও বলেন, রাজধানী ঢাকায় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু স্থাপনা রয়েছে। কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে, বিদেশি স্থাপনা ও অ্যাম্বাসি রয়েছে। ঢাকা শহরের নিরাপত্তার ব্যাপারে আমরা সবসময় সতর্ক রয়েছি। শুধুমাত্র এই জনসমাবেশ ঘিরে নয়, আমরা সবসময় জননিরাপত্তা, দেশীয় ভাবমূর্তি রক্ষা, বিদেশীদের কাছে যেন দেশীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না হয় সেজন্য সচেষ্ট রয়েছি। যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, স্পেশাল ফোর্স, স্পেশাল ডগ স্কোয়াড, হেলিকপ্টার ইউনিট প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপির জনসমাবেশ ঘিরে র‌্যাবের পক্ষ থেকে রুটিন পেট্রোল থাকবে, চেকপোস্ট থাকবে, সাইবার ওয়ার্ল্ডে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। যাতে কোনো ধরনের উসকানিমূলক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে নাশকতার চেষ্টা না হয়, সেজন্য র‌্যাবের সদস্যরা সাদা পোশাকে মোতায়েন থাকবে।

এদিকে, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুরের মতো নাশকতার শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টরা। তাই যেকোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে।

তথ্য মতে জানা যায়, ইতোপূর্বে দায়েরকৃত নাশকতা ও বিভিন্ন মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি ও পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে এ অভিযান পরিচালনা করছে তারা।

এদিকে, দই জঙ্গি আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গত ২৯ ডিসেম্বর পুলিশ সদরদপ্তর থেকে আগামি ১৫ দিন সারাদেশে বিশেষ অভিযান পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ মোতাবেক রাজধানীসহ সারাদেশেই পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে। প্রথমদিনের অভিযানে রাজধানীতে ৪৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানতে চাইলে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ রয়েছে। সেখানে অনেক পুলিশ সদস্য কাজ করবেন। কোনো অসাধুচক্র কোনো ধরনের সমস্যা যেন না করতে না পারে, সেজন্য আমরা কাজ করছি। রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কেউ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছে কি না, সে বিষয়েও আগাম তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

সমাবেশের আগে সমাবেশস্থলে এসে বিএনপির নেতা-কর্মীদের জড়ো হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেরকম কিছু করা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।

হারুন বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল কর্মসূচি পালন করলে, সেই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ। আমরা সেভাবেই বিএনপির সমাবেশ সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছি। তারপরও কেউ যদি নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে আমরা তাকে ছাড় দেব না। তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যেকোনোভাবে সমাবেশ সফল করবে দলটি। হামলা মামলা সহ কোন আতঙ্ক বিএনপিকে দমিয়ে রাখতে পারবে না।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ও দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শাহ আলম বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, একই দিনে আদালতের আরেকটি আদেশে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি ভাঙচুর করার মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন তোফাজ্জল হোসেন এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

হামলা মামলা ও আতঙ্ক বিএনপিকে এবার দমাতে পারবে না এমনটা জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন-সম্প্রতি জানতে পারলাম সরকার আদালত দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিকভাবে আমরা বয়কট করছি। কোন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আমাদের সমাবেশকে আটকাতে পারবে না। সকল বাধা অতিক্রম করে সমাবেশ সফল করবে বিএনপি।

কেএম/এমএমএ/

Header Ad

চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়

চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁয়। সকালে নওগাঁর বদলগাছীতে সর্বনিম্ন ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দেখা গেছে সন্ধ্যা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত শীতের প্রকোপ থাকছে বেশি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমের দাপট থাকছে বেশ।

নওগাঁ সবজি উৎপাদনে বৃহৎ জেলা। এ জেলায় উৎপাদিত সবজি জেলার চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রপ্তানি হয় দেশের বিভিন্ন বাজারে।

চাষিরা বলছেন, শীত আগমনে সকালের দিকে মাঠে কাজ করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।

অন্যদিকে শীত আগমনে জেলার হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্ক মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে এই সময়টাতে শিশু এবং বয়স্কদের প্রতি বাড়তি নজর রাখতে বলা হচ্ছে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে।

Header Ad

নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান

সাধারণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভিন্ন মতকে শত্রুতা বা নির্লজ্জ দলাদলিতে পরিণত করলে কী পরিণতি হতে পারে তা দেশবাসী দেখেছে। আওয়ামী লীগ আর স্বাধীনতা একসঙ্গে যায় না। এরইমধ্যে নানান ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। পতিত স্বৈরাচাররা দেশ ও দেশের বাহিরে থেকে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত জনগণের রায়ই চূড়ান্ত।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, আওয়ামীলীগ আর গণতন্ত্র একে অপরের শত্রু। আমাদের চলমান গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে এই মুহূর্তে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গিয়েছে। বিতাড়িত অপশক্তি আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না।

তিনি বলেন, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। সাগর-রুনির বিচারের বিষয়ে রাষ্ট্র উদাসীন থাকবে না- এমন ব্যবস্থা চাই। এছাড়া স্বৈরাচার আমলে যে সাংবাদিকরা চাকরি হারিয়েছেন, তাদের চাকরিতে ফেরত নিতে কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠতা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি দাবি করেন, বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী ঘরছাড়া। হাজারো হতাহত ছাত্রজনতার ত্যাগের মাধ্যমে ঐক্য গড়ে উঠেছে। শহীদদের ঋণ পরিশোধ করা আমাদের দায়িত্ব। পলাতক মাফিয়াদের পুনর্বাসন ঠেকাতে জনগণের ইচ্ছা তাদের বিচার প্রয়োজন। বিএনপি মনে করে, সংস্কার কার্যক্রমের পাশাপাশি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রয়োজন। শুধু নির্বাচনের জন্যই আন্দোলন হয়নি। তবে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন অবশ্যই দরকার।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এমন হওয়া প্রয়োজন যে ইউনিয়ন থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত ভোট ছাড়া কেউ প্রতিনিধি হতে পারবেন না। ক্ষমতাসীনকে জনগণের কাছে যতটা দায়বদ্ধ রাখা যাবে রাষ্ট্র ততই শক্তিশালী হবে। সেজন্য সংসদ প্রয়োজন। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে বৈষম্যহীন অধিকার প্রয়োগের সুযোগ থাকতে হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে সরকার, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে আমরা মনে করি।

‘সংস্কার কাজ নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপির বিরোধ নেই। সংস্কার আগে না, নির্বচন আগে এ কথা বলে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে অন্যজন চলমান রাখবে’, যোগ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ইকবাল সেবহান চৌধুরী মনে হয় সেদিন পুলিশ ডেকে এনে মহাসচিবকে প্রেস ক্লাব থেকে গ্রেফতার করিয়েছিলেন। প্রেস ক্লাবের ভেতরে ফ্যাসিবাদের থাবা ছিল। শ্যামল দত্তরা আন্দোলনের সময় টকশোতে বলেছেন ছাত্ররা ভুল আন্দোলন করছেন।

তিনি বলেন, টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কারণ সব টাকা যাবে শেখ পরিবারের কাছে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, দ্রুততম সময়ে জনগণের দাবি নিষ্পত্তি করবেন-এটা আমাদের দাবি। আরেকটি কঠিন পথ আমাদের পাড়ি দিতে হবে।

Header Ad

হামলার পেছনে ইউসিবি গ্রুপ

মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ

অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজসহ বেশ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীদের হামলায় ডেমরার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) প্রায় ৭০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফকালে তিনি এ দাবি করেন।

অধ্যক্ষ নয়ন বলেন, শিক্ষার্থীদের হামলায় আমাদের ১২তলা ভবনের কোনো কাঁচ আর অক্ষত নেই। ৫টি লিফট, কম্পিউটার ও সায়েন্স ল্যাব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হামলাকারী শিক্ষার্থীরা নগদ টাকা, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, সার্টিফিকেট, ৩ শতাধিক ফ্যান, প্রায় ৩০টির মতো ল্যাপটপ, অসংখ্য কম্পিউটারসহ মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস লুট করেছে। এতে করে প্রায় ৭০ কোটির মতো ক্ষতি হয়েছে।

এ সময় তিনি ঘটনার জন্য ন্যাশনাল মেডিকেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে বলে দাবি করেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইউসিবি নামের একটি গ্রুপ থেকে হামলার উসকানি ও ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ নয়ন।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এমন করতে পারে আমরা ভাবিনি। আমাদের সব ধ্বংস করে দিয়েছে। দ্বন্দ্ব-সংঘাত থেকে ফেরাতে শিক্ষার্থীদের কলেজমুখী করার বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের পুঁজি করে কুচক্রী মহল কাজ করছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দেশ অন্যদিকে চলে যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা আমরা চাই না।

হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ভূমিকা রাখেনি বলেও অভিযোগ করেন ডিএমআরসি অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, সকাল থেকেই পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু হামলার সময় তারা দূরে থেকে পরিস্থিতি দেখেছেন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

ঘটনাস্থলে থাকা ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ওয়ারী বিভাগ) মো. ছালেহ উদ্দিন বলেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ছাত্ররা দেশের ভবিষ্যৎ। আমরা চাই না দেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এভাবে আক্রান্ত হোক। কলেজ ভার্সাস কলেজ প্রতিযোগিতা হোক, মারপিট হোক এটা কিন্তু আমরা কখনো চাই না। আমি সব কলেজের গভর্নিং বডি এবং অভিভাবককে বলব, আপনাদের সন্তানকে বাসায় রাখুন। এটা আলোচনার মধ্যে সমাধান হবে। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি, এই জাতীয় সমস্যা যাতে ভবিষ্যতে না হয় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিকেল চারটায় তাদের সঙ্গে বসেছি। আমরা চেষ্টা করছি আলাপ-আলোচনার মধ্যে যেন সমাধান হয় সে প্রচেষ্টা আমরা রাখব। সর্বশক্তি দিয়ে আমরা এটা অব্যাহত রাখব। বর্তমানে আমাদের সঙ্গে র‍্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আছেন। সবার প্রচেষ্টায় এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়
নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান
মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ
ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার
সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত
সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড জয় ভারতের
বদলগাছীতে বাসের ধাক্কায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত, আহত ২
মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
বিগ ব্যাশ খেলার অনুমতি পেলেন রিশাদ
শাকিব খানের সঙ্গে আইটেম গানে নুসরাত
রাজধানীর মোল্লা কলেজে হামলা-ভাঙচুর, শিক্ষার্থীদের দখলে সড়ক
ওয়ানডে সিরিজেও অনিশ্চিত মুশফিক
জানুয়ারিতে আসছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল
বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা
বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর
কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার
ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার