জবির সামনে ছাত্রদল-ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, আহত ৯
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রধান ফটকের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও সূত্রাপুর ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ৯ জন নেতা-কর্মী আহত হন।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশ উপলক্ষে পুরান ঢাকায় লিফলেট বিতরণ ও শোডাউন করছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির এক নম্বর সদস্য ও মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন এবং সূত্রাপুর শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। শোডাউনের একপর্যায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ছাত্রদলের কর্মীরা সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে লিফলেট বিতরণকালে জবি ছাত্রলীগের কর্মীরা এতে বাধা দেয়। এসময় ছাত্রদলের কর্মীরা জবি ছাত্রলীগের কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে অবস্থানরত শতাধিক ছাত্রলীগ কর্মী দৌড়ে গিয়ে ছাত্রদলের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।
এতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৭ জন ও সূত্রাপুর শাখা ছাত্রদলের ২ নেতা-কর্মী আহত হন। এসময় সূত্রাপুর থানা পুলিশ একজন ছাত্রদল নেতাকে ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ একজনকে আটক করে নিয়ে যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) হাসান মাতব্বর বলেন, ‘বিএনপি নেতা ও ছাত্রদল কর্মীরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এসে সরকারবিরোধী স্লোগান দিলে জবি ছাত্রলীগের কর্মীরা বাধা দিলে একপর্যাযে সংঘর্ষে জড়ায়। পুলিশ ছাত্রদলের দুইজনকে আটক করে একজনকে সূত্রাপুর থানায় এবং আরেকজনকে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়।’
আটকের সময় এক ছাত্রদল কর্মী বলেন, ‘আমরা ইশরাক ভাইয়ের সঙ্গে লিফলেট বিতরণ করতে আসছিলাম। বিতরণ শেষে ইশরাক ভাইকে বিদায় দেওয়ার সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মীরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস. এম আকতার হোসাইন বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা লিফলেট বিতরণের সময় সরকারবিরোধী স্লোগান দেয়। আমাদের নেতা-কর্মীরা বাধা দিতে গেলে তারা আমাদের আক্রমণ করে। এতে আমাদের ৭ জন নেতা কর্মী আহত হয়।’
এসজি