আসলের মোড়কে নকল প্রসাধনী তৈরি ও বিক্রি, গ্রেপ্তার ৫
রাজধানীর পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় আসল পণ্যের মোড়ক ব্যবহার করে নকল পণ্য তৈরি ও বিক্রির অভিযোগে চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারি বিভাগ। এ সময় তাদের কাছ থেকে নকল প্রসাধনী তৈরির মেশিন ও সরঞ্জাম এবং দেশি-বিদেশি বিভিন্ন স্বনামধন্য কোম্পানির নামী-দামি ব্র্যান্ডের ইতালিয়ান স্কিন অলিভার তেল, মেহেদী, লুজ ওলিভ ওয়েল, কাস্টার তেল, গ্লিসারিন, লোম রিমুভার ক্রিম, ডক্টরস ক্রিমসহ বিভিন্ন পণ্য জব্দ করা হয়। জব্দকৃত এসব প্রসাধনীর বাজার মূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-মো. মহিউদ্দিন ওরফে সাগর (৩৪), মো. নাজিম হোসেন (২৫), এমকে পারভেজ (৫২), মো. আনোয়ার হোসেন (২৪) ও মো. উজ্জ্বল হোসেন মুকুল (৩০)।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এ সকল প্রসাধনী তৈরি করে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিক্রি করত তারা। ফলে আসল পণ্য বিক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হতো এবং চক্রের সদস্যরা বিপুল পরিমাণে টাকা হাতিয়ে নিত।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর মুগদা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নকল প্রসাধনী উৎপাদন চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ চক্রটি অধিক মুনাফা লাভের আশায় দেশের নামকরা বিভিন্ন নামী-দামি ব্র্যান্ডের মোড়কে ভেজাল প্রসাধনী দ্রব্য উৎপাদন ও বিপণন করত। এতে করে স্বনামধন্য কোম্পানিগুলোর সুনাম নষ্ট ও আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, নকল প্রসাধনী বাজারে ছাড়ার সময়ে চক্রটি ভেজাল প্রসাধনীগুলো অনিবন্ধিত ট্রেডমার্ক, নকল প্রতীক, নকল বিএসটিআই (লোগো) মোড়ক ব্যবহার করে তৈরি ও বিপণন করত। ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহারের ফলে সাধারণ ভোক্তাদের স্কিন ক্যান্সারসহ নানা রোগ ছড়াচ্ছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মুগদা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
কেএম/এসআইএইচ