পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ডিএনসিসির অভিযান

খাবারের দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, নিত্যপণ্যের দোকানে মূল্য তালিকা না থাকা, নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানা এবং ফুটপাতের অবৈধ দোকান উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) ডিএনসিসির বিভিন্ন অঞ্চলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অঞ্চল-১ এর আওতাধীন উত্তরা সেক্টর-৩,৭,৯ এ সুপারসপ, ইফতারি বাজার, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং সেক্টর-১০ এ পানি উন্নয়ন বোর্ড সংলগ্ন রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে কাঠ, বাঁশ রাখায় তিনটি মামলায় মোট সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় ফুটপাতে রাখা মালামাল অপসারণ করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-১) এই অভিযান পরিচালনা করেন।
অঞ্চল-৪ এর আওতাধীন ১৪নং ওয়ার্ড এলাকায় মো. আবেদ আলী আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। প্রায় ২২টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেষ্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে। সবার ঢাকা অ্যাপে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়।
একটি দোকানে ট্রেড লাইসেন্স না থাকায় স্থানীয় সরকার (ঢাকা সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯ এর ৯২(৩) ধারায় একটি মামলায় তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং প্রায় ২০০ মিটার ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়েছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও ভেজাল খাদ্যদ্রব্যর বিরুদ্ধে হোটেল মালিক ও জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসজনিত রোগের (কোভিড-১৯) বিস্তার রোধকল্পে জনসাধারণকে সতর্ক করাসহ প্রায় ১৫০টি মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন ৫৩ নং ওয়ার্ডে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে বাজার মনিটরিং করেন। এ সময় দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য পাওয়া যাওয়ায় তিনটি মামলায় বিশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একই সঙ্গে মাইকিং করে মূল্য তালিকা অনুযায়ী পণ্য বিক্রির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক ও সচেতন করা হয়।
আরইউ/এমএমএ/
