ইফতার বাজার মানেই পুরান ঢাকা

ঢাকার আভিজাত্য ইফতার বলতে পুরান ঢাকার ইফতারিকে বোঝায়। দুই বছরের দুঃসময়ের পর পুরান ঢাকার রাস্তায় সেই চেনা দৃশ্য। বুধবার (৬ এপ্রিল) রোজার চতুর্থ দিনেই পুরান ঢাকার এমাথা–ওমাথা ভরে উঠেছিল হরেক রকমের ইফতারি আইটেমে।
দেদারছে ইফতারে কিনছে রোজাদার ব্যক্তিরা। পল্টন থেকে ইফতারি কিনতে পুরান ঢাকায় এসেছেন মাকসুদ। তিনি বলেন, আমাদের বাসায় পুরান ঢাকার ইফতারি না হলেই হয় না।
মগবাজার থেকে পুরান ঢাকার ইফতারি কিনতে এসেছেন রাজিব হোসেন। তিনি বলেন, আমার আম্মা পুরান ঢাকার মেয়ে এজন্য প্রতিদিন পুরান ঢাকা থেকে ইফতারি কিনে নিয়ে বাসায় যেতে হয়।
ঢাকার বয়স ৪০০ বছরের বেশি হলে ঢাকার ইফতারির ইতিহাসও চার শতাব্দীর। সেই আদিকালে ইফতার করাকে বলা হতো ‘রোজা খোলাই’। রোজা খোলাই শব্দটি অনেক পাঠকের কাছে নতুন মনে হতে পারে, কিন্তু রমজান মাসে পুরান ঢাকার আদি বাসিন্দারা এই শব্দটির ব্যবহারে এখনও অভ্যস্ত আছে। রোজা খোলাই অর্থ ইফতার করা।
ইফতারি বানানোর রেওয়াজ পুরান ঢাকার প্রতি ঘরে ঘরে। তারপরও পুরান ঢাকার ইতিহাস বলে, ঢাকাইয়ারা সবসময় বাইরের খাবারে আকর্ষণ বোধ করে। সে কারণেই বাইরের ইফতারির টান সেই আদিকাল থেকেই চলে আসছে।
ইফতার ইতিহাস ও স্বাদের কথা বললে পুরান ঢাকার কথাই প্রথমে চলে আসে। রমজান মাসজুড়ে এই আদি জনপদে ইফতারির মেলা চলে; আক্ষরিক অর্থে না, বাস্তবিক মেলা।
পুরান ঢাকার ইফতার কিনতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এ এলাকায় এসে ভিড় করে সাধারণ মানুষ।
কেএম/
