জমে উঠেছে পুরান ঢাকার ইফতার বাজার

রমজানের দ্বিতীয় দিনে জমে উঠেছে পুরান ঢাকার ইফতার বাজার। বিধিনিষেধ নেই, করোনার চোখ রাঙানিও কম। তাই দুই বছর পর আবারও জমজমাট পুরান ঢাকার ইফাতারির বাজার। দোকানে বাহারি ইফতার সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।
তবে এবারে দামটা একটু বেশি হলেও কেনাকাটা চলছে ধুমছে। ব্যবসায়ীদের মতে, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বাড়ার কারণেই বেড়েছে ইফতার সামগ্রীর দাম। এদিকে প্রথমবারের মতো চকবাজারের ভ্রাম্যমাণ ইফতার বিক্রেতাদের আনা হচ্ছে ভ্যাটের আওতায়।
সোমবার (৪ এপ্রিল) রমজানের দ্বিতীয় দিনেই ইফতার বিক্রির দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ইফতার মানেই চকবাজারের লোভনীয় খাবার। এখানকার ইফতারের বাহারি নাম আর স্বাদের সুনাম মুখে মুখে। তাইতো রোজার প্রথম দিন থেকেই জমজমাট ঐতিহ্যবাহী এই ইফতার বাজার।
সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পুরান ঢাকার চকবাজার, জনসন রোড, ইংলিশ রোড়, কলতাবাজার, সুত্রাপুর বাজার, গেন্ডারিয়া ও ওয়ারী কাঁচাবাজারের আশেপাশের সড়ক ঘুরে দেখা যায়, নানা পদের খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।
দুপুরের আগে থেকে দোকানগুলোয় ইফতারের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি শুরু হয়। বিকাল থেকে শুরু হয় বেচাকেনা। চলে ইফতারের আগ পর্যন্ত।
চকবাজারের এসব ইফতার আয়োজন মোঘল ঐতিহ্যের ধারক। এখানে বিক্রি হয় মুরগি মুসাল্লম, বটি ও টিক্কা ও শামি কাবাব, কোফতা, চিকেন কাঠি, শিকের ভারী কাবাব, শাহী জিলাপি, নমকপোরা, সমুচাসহ নানা মুখরোচক খাবার।
এবার ইফতারের দাম বিগত বছরগুলোর চেয়ে বেশি বলে ক্রেতারা জানান। এদিকে বিক্রেতাদের দাবি, মাংসের দাম বাড়ায় আগের দামে হালিম দিতে পারছেন না তারা।
চকবাজারের ইফতারি কিনতে এসেছেন জাকির হোসেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন আমি এখান থেকে ইফতার নিয়ে যাই। তবে এবার দাম বেশি। ক্রেতা নজরুল মিয়া বলেন, চকবাজারের ইফতারের মজাই আলাদা। দাম বেশি হলেও উৎসাহ নিয়েই ইফতার কিনছেন অনেকে।
এদিকে চকবাজারের ভ্রাম্যমাণ ইফতার বিক্রেতাদের প্রথমবারের মতো ভ্যাটের আওতায় আনতে তালিকা করছেন রাজস্ব বোর্ড।
করোনায় গত দুই বছর একেবারেই খারাপ গেছে চকবাজারের ইফতারির বাজার। এবার পুষিয়ে নিচ্ছে ক্রেতা বিক্রেতারা।
কেএম/আরএ/
