দীর্ঘায়িত হতে পারে গ্যাস সংকট

চলমান গ্যাস সংকট আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। খোদ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঘোষণাতেও বলা হয়নি কবে এই সংকট দূর হতে পারে। মন্ত্রণালয় বলছে, ‘দ্রুততম সময়ের’ মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঘোষণায় বলা হয়েছে, বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ডে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো কোনো এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপের সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে কিছু কিছু গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটছে।
ফলে কোনো কোনো এলাকায় সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে আশঙ্কা করে মন্ত্রণালয় বলছে, অভিজ্ঞ প্রকৌশলীরা রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের কাজ করে যাচ্ছেন। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সুনির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারছেন না কবে এই সংকট দূর হবে। তবে পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, সংকট সমাধানে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।
দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্রগুলোর অন্যতম বিবিয়ানার ৬টি কূপ থেকে উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সংকট তৈরি হয়েছে। এই ৬টি কূপ থেকে শনিবার রাতে গ্যাস উত্তোলনের সময় বালি উঠতে শুরু করে। তাই উত্তোলনকাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সরবরাহ ব্যবস্থায়।
রাজধানীর ঢাকার মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া, রায়েরবাজার, ধানমন্ডি, শংকর, কাঁঠালবাগান, কালাবাগান, রামপুরা, ওয়ারী, মগবাজার, বনশ্রী, গোপীবাগ, মিরপুর, ইস্কাটনসহ আরও কিছু এলাকায় গ্যাসের সংকট রয়েছে।
এছাড়া আগারগাঁও, শেওড়াপাড়া, কাফরুল, আদাবর, আজিমপুর, লালবাগ, সিদ্ধেশ্বরী, ক্রিসেন্ট রোড, জিগাতলা, শ্যামলী, কল্যাণপুর, এলিফ্যান্ট রোড, গ্রিন রোড, মতিঝিল, সেগুনবাগিচা, নারিন্দা এলাকায় গতকাল গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে।
আরইউ/আরএ/
