রমজানের প্রথম দিনের চেয়েও যানজট বেশি আজ

রাজধানীতে রমজানের দ্বিতীয় দিন প্রথম দিনের থেকে বেশি যানজট দেখা গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। রমজানে স্কুল, কলেজ খোলা থাকায় যানজট বেশি হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।
সোমবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, সায়েন্সল্যাব এলিফ্যান্ট রোড, শাহবাগ, মতিঝিল, পল্টন, গুলিস্তান, ফার্মগেট, গুলশান মোড়, বনানী, বাড্ডা, লিংরোড, কুড়িল বিশ্বরোড, উত্তরাসহ পুরো নগরীতেই দেখা গেছে যানজট। স্বল্প দূরত্বের পথ অতিক্রম করতে দীর্ঘ সময় সিগন্যালে আটকে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের।
মহাখালীর যাত্রী রবিন হোসেন বলেন, আজ রাজধানীতে অনেক যানজট। রোজা রেখে যানজটে চলাচল করতে অনেক কষ্ট হয়।
নিউমার্কেট থেকে মিরপুর যাচ্ছেন পথযাত্রী সবুজ। তিনি বলেন, রমজানের দিনেও রাস্তায় যানজট। একদিকে রোজা অন্যদিকে যানজট। রোজা রেখে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। এ সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত। সরকার পদক্ষেপ নিলে মানুষের ভোগান্তি কমতো।
কারওয়ান বাজার মোড়ে কথা হয় গণমাধ্যমকর্মী স্বপন আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, গুলশান থেকে আসতে গিয়ে আজ আমার বারোটা বেজেছে। রাজধানীতে অনেক যানজট।
বাংলামোটর থেকে বাড্ডাগামী পথচারী জাকির হোসেন বলেন, ভেবেছিলাম রমজানে একটু যানজট কম হবে। এখন দেখি প্রচণ্ড যানজট।
মালিবাগে কথা হয় মোহাম্মদপুরের যাত্রী সুমন মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, এমনিতেই মালিবাগে যানজট থাকে। ভেবেছি রমজান একটু যানজট কম হবে কিন্তু রমজানের শুরুতেই রাস্তায় যানজট লেগে আছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর মোড়ে মোড়ে যানবাহনের চাপ সমালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের। জ্যামে আটকা পড়ে বিরক্ত যাত্রীরা। তারা বিভিন্নভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তারা অপেক্ষায় রয়েছেন কখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
আজিমপুর বাস স্ট্যান্ডে কথা হয় অফিসগামী যাত্রীদের সঙ্গে। তারা জানিয়েছেন, আজ দ্বিতীয় রমজান প্রথম দিনের থেকে রাস্তায় যানজট বেশি। এ গরমে রোজাদারদের যানজটে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেক কষ্ট হয়ে যায় অফিস করতে। যানজটের কারণে একদিকে তারা যেমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, অন্যদিকে তারা অফিসে কর্মঘণ্টা নিয়ে সংকটে পড়ছেন।
অফিসগামী মানুষের অভিযোগ, যানজটের কারণে প্রতিদিন অফিসে যেতে দেরি হওয়ায় অফিসের বস অথবা কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। রমজানে অফিসের সময় কমিয়ে আনা হয়েছে তার পরেও যানজটের কারণে অতিরিক্ত সময় অফিস করতে হচ্ছে। অফিসগামী যাত্রীরা বলেন, যদি যানজটের কবলে পড়তে না হতো সময়মতো অফিসে যাওয়া যেত, তাহলে এ চাপ নিতে হতো না।
নিউমার্কেটে কথা হয় অফিসগামী যাত্রী ঝুমুরের সঙ্গে। তিনি বলেন, তাড়াতাড়ি যাতে অফিসে যেতে পারি এজন্য আগেভাগেই বের হয়েছি।
ট্রাফিক পুলিশের একাধিক সদস্য জানান, দুপুরের পর অথবা সন্ধ্যা নাগাদ ইফতারের আগেই স্বাভাবিক হয়ে আসবে যানজট পরিস্থিতি। তাদের দাবি, প্রতি রমজানে রাজধানীতে কিছুটা যানজট তৈরি হয়। সেটা ইফতারের আগেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
কাকরাইলে ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট রায়হান হোসেন বলেন, আজ দ্বিতীয় রমজান, গতকাল একটু যানজট ছিল যার কারণে মানুষ আজ আগে ঘর থেকে বের হয়েছে। এজন্য হয়তো একটু যানজট বেশি মনে হচ্ছে।
মহাখালীতে ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মুনসুর বলেন, অফিস টাইমে সবসময় যানজট থাকে। তার কারণ হলো ঠিক মতো রাস্তার লেন যদি ব্যবহার না করেন, তাহলে এ যানজট দেখা দেয়। এ ছাড়া গতকালের তুলনায় আজ দ্বিতীয় রমজানে রাস্তায় একটু যানজট বেশি বলে মনে হচ্ছে।
কেএম/এসএন
