টিপু হত্যার আসামি ধরতে অভিযানে ডিবি
রাজধানীর শাহজাহানপুরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু। এ সময় দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলি চালান, যার কারণে রিকশায় থাকা বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া আফরান জামাল প্রীতিও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
এ ঘটনায় আসামিদের ধরতে নড়েচড়ে বসেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জানা যায়, এ হত্যার খুনিদের ধরতে অভিযানে নেমেছে র্যাব-পুলিশ-সিআইডি।
শনিবার (২৬ মার্চ) রাতে ডিবি পুলিশের এক কর্মকর্তা ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, খুব তাড়াতাড়ি টিপু হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হবে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডিবি পুলিশ এ মামলাটি নিয়ে বিভিন্ন তদন্তে নেমেছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, টিপুর রাজনৈতিক শত্রু বা তার সঙ্গে কাদের দ্বন্দ্ব ছিল সব ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, তবে এ বিষয়ে শিগগিরই ভালো খবর জানাতে চাই আমরা ।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, টিপু হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। এর পেছনে কারা, নাটের গুরু কারা, কারা ঘটিয়েছে, সবকিছুই খোলসা করে গণমাধ্যমে জানানো হবে। তবে যারাই এ ঘটনায় জড়িত থাকুক না কেন?, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
তবে এটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড কি না, সে বিষয়ে এখনই মন্তব্য করতে চাননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ হত্যাকাণ্ডের পর বৃহস্পতিবার রাতেই ডিএমপির শাজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে। তবে এখনো এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ বলছে, যে ব্যক্তি গুলি করেছেন, তিনি পেশাদারের চেয়েও পেশাদার। মাত্রা ২০ সেকেন্ডে ১২ রাউন্ড গুলি ছোড়েন খুনি। প্রকাশ্যে ব্যস্ত সড়কে এত কম সময়ে এতগুলো গুলি ছোড়া খুব সহজ ব্যাপার না। হত্যাকারীর ছোড়া ১২ রাউন্ড গুলির ১০টি জাহিদুল ইসলাম টিপুর গলা, বুক, পেট, কাঁধ, পিঠ, কোমরসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিদ্ধ হয়।
কেএম/আরএ/