সকাল থেকেই যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী

গরমের তীব্রতা বেড়েছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৩৭ ডিগ্রি। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যানজটও বেড়েছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে। গণপরিবহনে চলা মানুষ ঘেমে নেয়ে একাকার হচ্ছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থেকে নষ্ট হচ্ছে লাখো মানুষের কর্মঘণ্টা।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন আটকে থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে অনেকে বাস থেকে নেমে হাঁটা শুরু করছেন। তবে এতে বেশি সমস্যায় পড়েন বয়স্ক ব্যক্তি, নারী, শিশু ও রোগীরা। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) ঢাকার সড়কে এমনই তীব্র যানজটে পড়েছেন নগরবাসী।
এদিন সকাল থেকে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সব বিষয়ে ক্লাস শুরু হয়েছে। দুই বছর পর আজ থেকে প্রাক-প্রাথমিকেও শ্রেণিকক্ষে ক্লাস শুরু হয়েছে।
আর এদিনই রাজধানীতে তীব্র যানজটের কবলে পড়েছেন নগরবাসী। রাজধানীর ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, পান্থপথ, শাহবাগ পল্টন, মহাখালী বাড্ডা গুলশান ও সাতরাস্তাসহ আশেপাশের এলাকায় প্রচণ্ড যানজট দেখা গেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংলগ্ন এলাকাগুলোতে যানজটের চিত্র ছিল চোখে পড়ার মতো।
দীর্ঘ যানজটের কারণে সকাল থেকেই রাস্তায় গাড়ি যেন থমকে ছিল। অনেকে হেঁটেই পৌঁছেছেন গন্তব্যস্থলে ।
পল্টন এলাকার অফিসগামী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাসার মিরপুরে। রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় শুধু গাড়ি দাঁড়িয়ে, আসতে অনেক কষ্ট ও সময় লেগেছে। শুনেছি স্কুল-কলেজ খুলছে এজন্য রাস্তায় নাকি অনেক জ্যাম হয়েছে।’
স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও যানজট বেশি ছিল আজ। তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে যানবাহন।
যানজটের কারণে অনেক অফিসগামী মানুষ সঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছাতে পারেননি।কথা হয় আজিমপুর গার্লস স্কুলের ছাত্রী স্নেহা সুলতানার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাসা খিলগাঁও। সেখান থেকে প্রতিদিন স্কুলে আসি আজ রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল। অনেক দিন পর স্কুল খুলেছে এজন্য রাস্তায় যানজট হয়েছে।’
কথা হয় এলিফ্যান্ট রোডে পথচারী জাকির হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় ভয়াবহ যানজট সকাল থেকে হেঁটে পথ চলছি।’
শাহবাগ মোড়ে কথা হয় রাকিব হোসেনের সঙ্গে। তিনিও বলেন, ‘মোহাম্মদপুর থেকে পায়ে হেঁটে শাহবাগে এসেছি। রাস্তায় ব্যাপক যানজট।’
আজিমপুর ভিকারুন্নেসা নুন স্কুলের সামনে কথা হয় আসমা নামের এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে এসেছি রাস্তায় প্রচুর জ্যাম এখন আনতে যাচ্ছি।’
উদয়ন স্কুলের ছাত্র রেজওয়ান বলেন, ‘মালিবাগ থেকে স্কুল এ এসেছি মায়ের সঙ্গে। সকালে অনেক কষ্ট হয়েছে কারণ রাস্তায় প্রচুর জ্যাম ছিল। যার কারণে অনেক সময় লেগেছে।’
পল্টন এলাকার অফিসগামী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাসা মিরপুরে। রাস্তার পতিটা জায়গায় আজ গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে, আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে। শুনেছি স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার কারণে রাস্তায় অনেক জ্যাম হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা হয় এলিফ্যান্ট রোডে ট্রাফিক সার্জেন্ট মইনুল ইসলামের সঙ্গে তিনি বলেন, মঙ্গলবার এদিকের মার্কেট বন্ধ থাকে। রাস্তায় কাল থেকে কিছুটা যানজট ছিল কারণ আশেপাশে অনেক স্কুল রয়েছে। স্কুলের প্রথম দিন হওয়ায় মনে হয় যানজট বেশি মনে হচ্ছে।
আজিমপুর বাস স্ট্যান্ডের ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. রাজু বলেন, ‘প্রতিদিনই কমবেশি রাস্তায় যানজট থাকে। তবে আজ মঙ্গলবার। এ কারণে হয়তো কম হওয়ার কথা ছিল কিন্তু স্কুল খোলায় বেশি মনে হচ্ছে।’
কথা হয় গুলশান ট্রাফিক পুলিশের সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখন একটু যানজট কম সকাল থেকে বেশ যানজট ছিল। কারণ এসব এলাকায় অনেক স্কুল আছে হয়তো এ কারণে রাস্তায় বেশি যানজট তৈরি হয়েছিল। এখন কম আছে।’
কেএম/এমএমএ/
