ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে কুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থী-ছাত্রদল সংঘর্ষ চলছে, আহত অন্তত ১০

ছবি: সংগৃহীত
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৪টা ৪৫) চলছিল।
সকালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের অভিযোগ, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে রাজনীতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে, শিক্ষার্থীদের মারধর করছে এবং মাইক কেড়ে নিচ্ছে। এক পর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়।
এরপর, শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। দুপুরের দিকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা একত্রিত হয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। শিক্ষার্থী মুজাহিদ ও উৎপল বলেন, "ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হামলা, উসকানি ও মাইক কেড়ে নেওয়ার কারণে অন্তত ১৮ জনকে আজীবন বহিষ্কার এবং তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে।"
তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে:
- কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে তা সরকারি অধ্যাদেশে অন্তর্ভুক্ত করা।
- রাজনৈতিক কার্যক্রমে সহায়তাকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
- ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা জোরদার করতে পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনা।
শিক্ষার্থীরা বিকেল ৫টার মধ্যে এসব দাবি মেনে নেওয়ার জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
