প্রাধ্যক্ষ নিয়োগে সম্মতি নিয়েও দেওয়া হয়নি দায়িত্ব, উপাচার্যের ব্যাখ্যা চান কুবি শিক্ষক
ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব নেয়ার জন্য রেজিস্ট্রার পরিচয়ে সম্মতি নেয়ার পর অন্য আরেকজন শিক্ষককে প্রাধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব দেয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ভুক্তভোগী শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে তিন কার্যদিবসের মধ্যে এই ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়েছেন। সেই সাথে এই ঘটনা তার জন্য অপমানজনক বলে তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম ড. কামরুন নাহার। তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পদে কর্মরত আছেন। রবিবার (২০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর দেয়া ড. কামরুন নাহারের এক চিঠি থেকে বিষয়টি জানা যায়।
চিঠিতে ড. কামরুন নাহার উল্লেখ করেন, 'গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যা আনুমানিক ৬ টায় আমাকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পরিচয় দিয়ে বর্তমান রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার ফোন করেন এবং শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট হিসেবে আমাকে নিয়োগের বিষয়ে মতামত জানতে চান। রেজিস্ট্রার পরিচয়ে ফোন করায় আমি নিশ্চিত হই যে, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল সিদ্ধান্ত এবং আমি এতে সম্মতি প্রদান করি। কিন্তু গত ১৭ অক্টোবর জানতে পারি উক্ত পদে মোসা: শাহীনুর বেগম (সহকারী অধ্যাপক, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়) শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। আমাকে প্রস্তাব দিয়ে, আমার সম্মতি নিয়ে আমার স্থানে অন্য কাউকে কেন নিযুক্ত করা হলো তার স্পষ্ট ও সন্তোষজনক ব্যাখ্যা পরবর্তী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রত্যাশা করছি। বিষয়টি আমার জন্য অত্যন্ত অপমানজনক। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি।'
এ ব্যাপারে ড. কামরুন নাহার বলেন, 'আমি চিঠিতে সবকিছু উল্লেখ করেছি। নতুন করে কিছু বলার নেই।'
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, 'আমরা প্রশাসন থেকে এই ব্যাপারে কয়েকজনের সাথে কথা বলেছি। কথা বলা মানেই দিয়ে দেয়া নয়। আমরা আগ্রহের ব্যাপারটি দেখার জন্য জিগ্যেস করেছিলাম। জিগ্যেস করা মানেই দিয়ে দেয়া নয়। উনি বাদেও আরো কয়েকজন শিক্ষককে একইরকমভাবে জিগ্যেস করা হয়েছিল।'