কুবিতে সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
'বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি/চার্জ আদায়করণে সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার' বিষয়ক কর্মশালা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইনস্টিটিউটশনাল কোয়ালিটি এসুরেন্স সেল-এর (আইকিউএসি) আয়োজনে 'বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি/চার্জ আদায়করণে সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার' বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এমদাদুল হকের সঞ্চালনায় এবং আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. খলিফা মোহাম্মদ হেলালের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, কো-অর্ডিনেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
দেড় ঘন্টার এই কর্মশালাটি পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহারের উপযোগীতা, এর সুযোগ-সুবিধা এবং পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এ নিয়ে আইকিউএসি'র পরিচালক অধ্যাপক ড. খলিফা মোহাম্মদ হেলাল বলেন, 'এই কর্মশালাটি আমাদের জন্য অন্তত গুরুত্বপূর্ণ এইজন্যে যে, এখানে সেবা সহজীকরণ প্রক্রিয়া সোনালী পেমেন্ট গেটওয়ের টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। এখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তাদের ফি এবং চার্জ পরিশোধের প্রক্রিয়াকে দ্রুত এবং সহজতর করবে। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছি যে শিক্ষার্থীরা তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া ও বিভিন্ন সেমিস্টারের আবেদন প্রক্রিয়া সহজীকরণের জন্য দাবী জানিয়েছে। বিশেষ করে ১৯ টি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময় জটিলতা তৈরি হয়। এ নিয়ে আমরা উপাচার্য স্যারের সাথে কথা বলেছি। স্যারও বলেছেন আমরা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারি। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিগুলো দূরীকরণের লক্ষেই আমাদের এই উদ্যোগ।'
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান তার বক্তব্যে বলেন, "আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এরকম একটি অগ্রযাত্রার শরিক হতে পেরে আনন্দিতবোধ করছি। গত বছরের নয় আগষ্ট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ তম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সোনালী ব্যাংক পিএলসির সাথে এ নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বিশেষ করে ছাত্রদের সুযোগ সুবিধাগুলো বৃদ্ধির নিমিত্তে আমাদের কতৃপক্ষের একটি সচেষ্ট মনোনিবেশ থাকে। ছাত্ররা যদি তাদের কার্যক্রমগুলো সুন্দরভাবে করতে পারে তবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা অব্যহত থাকবে।"
তিনি আরও বলেন, "আমারা জানি যে ছাত্ররা ভর্তির সময় টাকা দেয়, রেজিষ্ট্রেশনের সময় টাকা দেয়, পরিক্ষার সময় টাকা দেয়। সেজন্য তাদের ব্যাংক, হল সহ বিভিন্ন জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করে সময় নষ্ট হয়। এই সমস্যাগুলো নিষ্পত্তির লক্ষ্যেই আমরা এই যুগোপযোগী সিদ্ধান্তটি নিয়েছি।"
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: হায়দার আলী বলেন, "এটা অন্তত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের জন্য। আমি প্রথমদিন এসে সবার সাথে বসেছিলাম, তখন সটুডেন্টরা বলেছিল, পরীক্ষার আগে তাদের দৌড়াদৌড়ি করে ভর্তির ফরম ফিলাপ করতে হয়। দৌড়াদৌড়ি যেন করতে না হয় সে জন্য তারা ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলেছিল। আমরা সেই সমস্যা সমাধানের জন্যই উদ্যোগটি নিয়েছি। পেমেন্ট গেটওয়ে বাংলাদেশে অনেকগুলো আছে। আমি সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বলবো, এখানে মধ্যবিত্ত, নিন্মবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে। আপনাদের ফি যেন প্রচলিত অন্যান্য গেটওয়েগুলোর থেকে বেশি যেন না হয়। এই কথাটা আপনারা ভেবে দেখবেন।"
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৯ আগস্ট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সোনালী ব্যাংকের সাথে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের সেবা প্রদান বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।