মারা গেলেন কোটা আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ জবি শিক্ষার্থী সাজিদ
নিহত জবি শিক্ষার্থী ইকরামুল হক সাজিদ। ছবি: সংগৃহীত
কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের শিক্ষার্থী ইকরামুল হক সাজিদ মারা গেছেন। দীর্ঘ ১০ দিন রাজধানী ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে মারা যান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরী। সাজিদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ট্রেজারার বলেন, সাজিদের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। ছেলেটা আর আমাদের মাঝে নেই। ওর বাবা-মা এই শোক কীভাবে সামলাবে? তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
নিহত সাজিদ গত ৪ আগস্ট মিরপুরে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। একপর্যায়ে মিরপুর ২ নম্বর এলাকায় হঠাৎ পুলিশের একটি গুলি তার মাথার পেছনে লাগে। মাথা ভেদ করে বুলেটটি তার চোখের পেছনে আটকে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিএমএইচ হাসপাতালের নেয়া হয়। ডাক্তাররাও বলেছিলেন সাজিদকে বাঁচানো কষ্ট হয়ে যাবে তাদের জন্য। সে তার নিজের আত্মশক্তির বিশ্বাসে বেঁচে ছিলো বলেও জানিয়েছিলেন তারা।
সাজিদের মৃত্যুতে দিশেহারা তার পরিবার। আন্দোলনে থাকা অবস্থায় মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল সাজিদের। তখন সাজিদ বলেছিলেন, ‘চিন্তা করো না মা, আমার কিছু হবে না’।
এদিকে সাজিদের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই দায়ীদের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা আমাদের ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিতে পারি না। সাজিদের মৃত্যুতে জড়িত সকলের বিচার চাই আমরা। সাজিদের হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।