জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: সহপাঠীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ, প্রক্টরকে অব্যাহতি
জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা: সহপাঠীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ, প্রক্টরকে অব্যাহতি। ছবি: সংগৃহীত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় সহপাঠী আম্মান সিদ্দিককে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে প্রক্টরিয়াল বডি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৬ মার্চ) ভোর ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফিরোজ আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুর কারণ হিসেবে তার সুইসাইড নোটে দেওয়া আইন বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের (১৪তম ব্যাচের) অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রায়হান সিদ্দিকি আম্মান (আইডি নং-বি ১৮০৫০১০১৬)-কে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সহায়তাকারী ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব দ্বীন ইসলাম-কে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রক্টরিয়াল বডি থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।’
বিজ্ঞপ্ততে আরও জানানো হয়, ‘উপাচার্য সাদেকা হালিম, কোষাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। এবিষয়ে জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ (৫) সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উল্লেখ্য কমিটি উক্ত ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক দ্রুত উপাচার্য মহোদয়ের নিকট প্রতিবেদন পেশ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।’
এদিকে ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার রাত ১০টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা।