নারী কনস্টেবলকে মারধর করে টাকা ছিনতাই, ঢাবি শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার আজহা ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
এক নারী পুলিশ কনস্টেবলকে মারধর করে ছিনতাইকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে আজহা নামে শিক্ষার্থীকে ছিনতাই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গ্রেপ্তার আজহা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী। ফজলুল হক মুসলিম হলে থাকেন তিনি। ভুক্তভোগীর মামলায় ইতোমধ্যে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় একই শিক্ষাবর্ষের আরও পাঁচজনের জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের মনোয়ার হোসেন সোহাগ, ইতিহাস বিভাগের তৌফিক আজীম, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের রিয়াদ হোসেন, সংগীত বিভাগের মোর্তজা হাসান খান ও উর্দু বিভাগের বিপ্লব।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে নারী কনস্টেবল জেসমিন তার ছোট ভাইকে নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘুরতে আসেন। তারা যখন শিখা চিরন্তন ভাস্কর্যের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন ছয়জন এসে তাদের ঘিরে ধরেন। তার ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। জেসমিনের হাতের ব্যাগ ধরেও তারা টানাটানি করেন, তবে তা নিতে পারেননি। এদের একজনকে জেসমিন ধরে ফেলেন এবং চিৎকার দেন। বাকিরা পালিয়ে যান।
শাহবাগ থানা সূত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জের একটি থানায় কর্মরত জেসমিন। পেশাগত পরিচয় দেওয়ার পরও আজহা ও তার সহযোগীরা জেসমিন ও তার ছোট ভাইকে হেনস্তা করেন। এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা কনস্টেবলের গায়ে হাত তোলেন এবং সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। আজহাকে ওই নারী কনস্টেবল ধরে ফেলেন এবং শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করেন। এ ঘটনায় বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন জেসমিন। আটক আজহার স্বীকারোক্তি অনুসারে বাকি পাঁচজনের নামও এজাহারে যুক্ত করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, যারা এ ধরনের কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো টলারেন্স। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়ে এসব কাজ কীভাবে করে! মামলাটি ডিবির কাছে যাবে। এদিকে জেসমিন প্রক্টর অফিস বরাবর একটি দরখাস্ত দেবেন। দরখাস্ত ও এজাহার অনুযায়ী আমরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থা নেব।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাজিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী পুলিশ সদস্য জেসমিন লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে আমরা ওই শিক্ষার্থীকে আটক করি। এছাড়াও ঢাবির অভিযুক্ত অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা রয়েছেন তাদের খুব দ্রুতই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।