যবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতা কর্তৃক সাংবাদিক হেনস্তার অভিযোগ
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শহীদ মসিয়ূর রহমান (শ.ম.র) হলে ছাত্রলীগ নেতা কর্তৃক সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২২ মে) দুপুর ২টার দিকে যবিপ্রবির শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের (পিইএসএস) ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ আল মাহমুদ ও ছাত্রলীগকর্মী বেলাল হোসেন সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি ও ডেইলি বাংলাদেশ পোস্টের যবিপ্রবি প্রতিনিধি মো. জহুরুল ইসলামকে মারধর করেন। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে হল প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম।
জানা যায়, একাডেমিক ভবন থেকে হলে যাওয়ার সময় হলের প্রধান ফটকে তাকে অবরুদ্ধ করা হয়। ঘটনার এক পর্যায়ে জহুরুলকে পাশের গেস্ট রুমে ডেকে নিয়ে গালাগালিসহ শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন পিইএসএস বিভাগ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ আল মাহমুদ ও ছাত্রলীগ কর্মী বেলাল হোসেন।
এর আগেও একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের জন্য বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হন আসিফ মাহমুদ। পাশাপাশি বেলাল হোসেনর নামেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে আইপিই বিভাগের শিক্ষার্থী ও ডেইলি বাংলাদেশ পোস্টের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, 'আমার ডিপার্টমেন্টে কিছু কাজ ছিল সেগুলো শেষ করে আনুমানিক দুপুর পৌনে ২টার দিকে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে আমার রুমে যাওয়ার জন্য হলে ঢুকতে যাই কিন্তু হলের কলাপসিবল গেট আটকানো দেখে গেট খুলে হলে ঢুকতে গেলে পেছন থেকে পিএসএস বিভাগ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ আল মাহমুদ ভাই ও বেলাল আমাকে ডাক দেয়। তাদের কাছে গেলে বলে-সিনিয়র ভাই ডাকলাম, শুরুতে ডাক শুনিস নাই কেনো? আমি শুনতে পাই নাই বললে আসিফ ভাই ও বেলাল হলের গেস্ট রুমে নিয়ে যেয়ে আমাকে শারিরীকভাবে হেনস্তা করে।'
এ প্রসঙ্গে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. আশরাফুজ্জামান জাহিদ বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রভোস্ট বডির সাথে মিটিং করে অফিসিয়ালি ব্যবস্থা নেব।’
সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু এটি অফিসিয়াল ব্যাপার। তাই প্রভোস্ট বডির সাথে আলোচনা করে ফুটেজ দেখানো হবে।
এ প্রসঙ্গে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সোহেল রানা বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
এ ব্যাপারে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, এই বিষয়ে আমার কাছে লিখিত কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনানুসারে ব্যবস্থা নেব।
এসআইএইচ