কুবিতে প্রক্টরের কার্যালয়েই ছাত্রলীগের দু’পক্ষের হাতাহাতি
ভর্তি পরীক্ষার্থীদেরকে সেবা দিতে বুথ বসানোকে কেন্দ্র করে প্রক্টরের কার্যালয়ে প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বুথ স্থাপনের জন্য আবেদন করে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ। বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকেই ডাকেন প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী। আলাচনার একপর্যায়ে হল শাখার নেতাদের সমর্থিত অংশ অছাত্ররা প্রক্টর অফিসে আসার বিষয়ে কথা তোলেন। এসময় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সালমান চৌধুরী হৃদয় ও নতুন কমিটিতে পদপ্রত্যাশী কাউসার হোসেনের মাঝে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। যা পরবর্তীতে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।
এ বিষয়ে সালমান চৌধুরী হৃদয় বলেন, আমি প্রক্টরকে প্রশ্ন করেছিলাম-বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে কী করে? এসময় কাউসার উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং আমাকে ঘুষি মারে।
তবে কাউসারের দাবি, তিনি বিকাল বেলা বিভাগীয় কাজে ক্যাম্পাসে গেলে সালমান, মাসুম, পলাশ, পাপন, শান্তসহ আরও অনেকে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে তিনি প্রক্টরের কাছে অভিযোগ দিতে গেলে তারা আবার সেখানে উপস্থিত হয়ে কাউসারকে বহিরাগত সম্বোধন করে আক্রমণ করে বসে।
তবে কারও কাছ থেকে কোনো অভিযোগপত্র পাননি দাবি করে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমার কাছে কারও কোনো অভিযোগপত্র আসেনি। একই স্থানে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ বুথ বসাতে গেলে তাদের মাঝে উচ্চবাচ্য হয়। পরে আমরা আলোচনা করে সমাধান করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যেই হাতাহাতি ঘটে। এ বিষয়ে ২০ মে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ব্যবস্থা নেব।
এসজি