ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি কাটাতে বাড়ির পথে ছুটছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ঈদের আনন্দ পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে ছুটি নিয়ে যাচ্ছে হলের কর্মচারীরাও। যেহেতু স্টাফরা ঈদের ছুটি নিচ্ছে তাই খাবার ডাইনিং, ক্যান্টিনে রান্না না হওয়া, পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন, পানি উঠানোসহ জরুরি সেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে।
আবাসিক হলের একাধিক ছাত্রী জানান, হলের স্টাফ মামা-খালারা ছুটি নিয়ে যাচ্ছে। ঈদের ছুটিতে নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার লোক থাকবে না। তাই এখন হলে থেকে লাভ নেই। এর চেয়ে ভালো বাড়ি গিয়ে পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া।
সোমবার(১৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের দুইটি আবাসিক হলে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১ম ছাত্রী হলের প্রায় ৯০ শতাংশ ছাত্রী ইতিমধ্যে হল ছেড়ে ঈদ কাটাতে বাড়ি চলে গেছে। একই দৃশ্য দেখা যায় বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলে। তবে টিউশন ও একাডেমিক কাজে কয়েকজন ১৮/১৯ এপ্রিল পর্যন্ত হলে থাকবে বলে লিখিত চিঠিতে প্রভোস্টদের কাছে আবেদন জানিয়েছে বলে জানা গেছে। একটি চিঠিতে এক ছাত্রী লিখেন, থিসিসের কাজে তাকে আগামী ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত হলে থাকতে হবে। এ নিয়ে অনুমতি চেয়ে প্রাধ্যক্ষ বরাবর আবেদন জানিয়েছে তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম ছাত্রী হলের এ ব্লকের ৩য় বর্ষের এক শিক্ষার্থী জানান, ঈদ বাড়িতে কাটাবো। ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে বাড়ি চলে যাচ্ছি। আর হলের স্টাফ, কেন্টিনের লোকজন ও কর্মচারীদেরও ঈদ আছে। এরা সারা বছর আমাদের সার্ভিস দিয়েছেন। ঈদে তাদের ছুটি দরকার। তারাও পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটাবে।
এদিকে ঈদের দুই দিন পর হলের ক্যান্টিন-ডাইনিংসহ সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন ১ম ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমিন। এর পাশাপাশি ২৮ এপ্রিল থেকে বেগম সিরাজুন্নেসা হলেও এসব কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি।
প্রভোস্টরা আরও জানান, হল অফিসিয়ালি বন্ধ নয়। যেহেতু স্টাফরা ঈদের ছুটিতে যাচ্ছে আর ডাইনিং- ক্যান্টিনের স্টাফ, ক্যান্টিন বয়-বাবুর্চি এরাও ছুটি নিয়েছে। কারো ঈদের আনন্দ তো আমরা বন্ধ করতে পারি না। তাই হলের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্ন ঘটতে পারে। আর ছাত্রীরা নিজ নিজ পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটাতে বাড়ি চলে যাচ্ছে।
এ ছাড়াও ৩০ এপ্রিল থেকে যথারীতি ক্লাস-পরীক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান।
এসআইএইচ