ঢাবি সিনেটে গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে আওয়ামীপন্থীদের নিরঙ্কুশ জয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থক গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ’-এর প্রার্থীরা পূর্ণ প্যানেলই নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন। এ ছাড়া মোট ভোটের ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
রবিবার (১৯ মার্চ) বিকাল পৌনে ৪টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
২৫টি আসনের ২৫টিতেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির প্যানেল গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আশফাক হোসেন, তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৯৭৬ ভোট।
এ ছাড়া, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী, তিনি পেয়েছেন ১১ হজার ৮৩৩ ভোট এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ডা. নুজহাত চৌধুরী, তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৬০ ভোট।
চলতি বছরে সিনেটে গ্রাজুয়েটদের জন্য নির্ধারিত প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ২৫.৬৩ শতাংশ ভোটার। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৫৯,৩২০, এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১৫ হাজার ২০২ জন।
ঘোষিত ফলাফলে অনুযায়ী যারা নির্বাচিতরা হলেন, অধ্যাপক অসীম কুমার সরকার, এম আর এম মনজুরুল আহসান বুলবুল, এএইচএম এনামুল হক চৌধুরী, এইচএম বদিউজ্জামান, এস এম বাহলুল মজনুন, অধ্যাপক জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ, নিজাম চোধুরী, মীর্জা মো. আব্দুল বাছেত, মুহাম্মদ শফিক উল্যা, অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল বারী, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, ডা. মোহাম্মদ হোসেন, অধ্যাপক এম অহিদুজ্জামান, মো. আতাউর রহমান প্রধান, অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন, ডা. মো. কামরুল হাসান মিলন, অধ্যাপক মো. নাসিরুদ্দীন মুন্সী, মো. মুরশেদুল কবীর, রঞ্জিত কুমার সাহা, অধ্যাপক শারমিন মূসা, অধ্যাপক সাবিতা রিজওয়ানা রহমান, অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার।
এর আগে তিন ধাপে ঢাকার বাইরে ৪ মার্চ ২৯টি, ১১ মার্চ ৯টি এবং ১৪ মার্চ ৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া, সর্বশেষ ধাপে গত শনিবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব, নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন এবং শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এই নির্বাচনে নির্বাচনে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার (আওয়ামীপন্থী) গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ তাদের ২৫ জনের পূর্ণ প্যানেল অংশ নেন। সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করা টীম অপরাজেয় নয়টি পদে প্রার্থী দেয়। অন্যদিকে বিএনপিপন্থীরা এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও ; ২৫ সদস্যের স্বতন্ত্র প্যানেল তৈরি করে প্রার্থীদের হয়রানিসহ নানা অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন জামায়াতে ইসলামীপন্থীরা।
এমএমএ/