দায়িত্বশীল ডিজিটাল নাগরিক গঠনে জাবিতে বিতর্ক প্রতিযোগিতা
দেশের তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্বশীল ডিজিটাল নাগরিক হতে সহায়তা করা এবং তাদের মাঝে গঠনমূলকভাবে স্বাধীন মত প্রকাশের চেতনা গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)’র সহ-অর্থায়নে, ডিনেট এবং ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম যৌথভাবে 'ফস্টারিং রেসপন্সিবিল ডিজিটাল সিটিজেনশিপ টু প্রমোট ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন ইন বাংলাদেশ' প্রকল্প এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
বিতর্ক প্রতিযগিতায় অংশ নেন বিভিন্ন বিভাগ থেকে বাছাইকৃত ৪টি দলে মোট ১২ জন শিক্ষার্থী এবং দর্শক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগ থেকে শিক্ষকসহ প্রায় ২০০ জনের অধিক শিক্ষার্থী। দর্শকদের জন্যও সেশনে রাখা হয় আকর্ষণীয় কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন।
আয়োজনের শুরুতেই এফআরডিসি প্রকল্প পরিচালক আসিফ আহমেদ তন্ময় বলেন, আমরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে তরুণ সমাজকে ডিজিটাল নাগরিকশিপ শিক্ষার ধারণা সম্পর্কে সবাইকে পরিচিত করার উদ্যোগ নিয়েছি। আর এই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই আজকের বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন। আমরা মনে করি এই জ্ঞানের চর্চা থেকেই শিক্ষার্থীরা অনলাইনে স্বাধীন ও গঠনমূলক উপায়ে মত প্রকাশ উদ্বুদ্ধ হবে এবং তাদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে সহায়তা করবে।
ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাইরা নিজাম বলেন, এফআরডিসি প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা মুক্তচিন্তার বিকাশ ও অনলাইনে ইতিবাচক চর্চার জন্য সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এই প্রচেষ্টার একটি অংশ হিসেবে আজকের আয়োজিত এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা ক্যাম্পাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বিতর্ক প্রতিযোগিতা মনের জানালার উন্মেষ ঘটানোর জন্য উত্তম একটি মাধ্যম। আজকের এই আয়োজনে বিতর্ক প্রতিযোগী এবং উপভোগকারী দর্শকদের সাধুবাদ জানাই এমন একটি ভালো উদ্যোগে যুক্ত হবার জন্য।
প্রতিযোগিতায় দুই ধাপে বিতর্কের আয়োজন করা হয়। প্রথম ধাপের দুই বিজয়ীর মাঝে চূড়ান্ত পর্বের বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। চূড়ান্ত পর্বের বিষয় ছিল- ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভালোর চেয়ে ক্ষতিই বেশি নিয়ে আসে’। প্রতিযোগিতায় তাদের অসাধারণ বাগ্মিতায় বিজয়ী হন- মো. সাব্বির হোসেন, জাহানারা জবা এবং ফরিদা আক্তার ফারজানা। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারকের ভূমিকা পালন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মো. তারিকুল ইসলাম ও সহকারী অধ্যাপক মৃধা মো. শিবলী নোমান।
প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী ঘোষণা, পুরস্কার বিতরণী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বশির আহমেদের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে এ আয়োজন শেষ হয়।
এসজি