জাবিতে প্রথমবারের মতো ‘ঘুড়ি উৎসব’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রথমবারের মতো ‘ঘুড়ি উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিলুপ্তপ্রায় গ্রাম-বাংলার আবহমানকালের ঐতিহ্য ঘুড়ি উড়ানোর আনন্দ বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার এ উৎসবটির আয়োজন করে।
বুধবার (১৫ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক বান্নাহ ঘুড়ি উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন। উৎসবে ঘুড়ি উড়ানোর আনন্দ উপভোগ করতে উপস্থিত হন দর্শনার্থীরাও।
ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতায় ৫টি দল অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি দলে তিনজন প্রতিযোগী ছিল। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের (৫১ ব্যাচ) শিক্ষার্থী সজিব আহমেদ। উৎসব শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
গ্রামীণ শৈশবের ঐতিহ্যকে বর্তমান প্রজন্মের মাঝে বাঁচিয়ে রাখতে এবং ঘুড়ি উড়ানোর আনন্দ উপভোগ করতে প্রতিবছরই আয়োজনের ধারা অব্যহত রাখবে বলে আশাবাদী আয়োজকরা।
উদ্বোধনী বক্তব্যে ওমর ফারুক বান্নাহ বলেন, শৈশবে খোলা আকাশের নিচে ঘুড়ি উড়ানোর আনন্দ ছিল অফুরন্ত। স্কুল-কলেজ পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নানা ব্যস্ততায় ঘুড়ি নিয়ে দৌড়ানোর সময় হয়ে উঠে না কারও। গ্রাম-বাংলার এই আবহমান ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের এই আয়োজন। আমরা মানুষের সাড়া পেয়েছি। আশা করছি প্রতিবছর এই আয়োজনের ধারা অব্যাহত রাখতে পারব।
ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রণকারী সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শাওদা অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, সর্বশেষ ঘুড়ি উড়িয়ে ছিলাম যখন কলেজে পড়তাম তখন। এতদিন পরে ঘুড়ি উৎসবে ঘুড়ি উড়াতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।
ঘুড়ি উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে আসা দর্শনার্থী কনৌজ কান্তি রায় বলেন, বসন্তকালে ছোটবেলায় অনেক ঘুড়ি উড়িয়েছি কিন্তু ঘুড়ি উৎসব কখনো দেখিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বসন্তের বাতাসে খোলা আকাশে ঘুড়ি উড়তে খুবই ভালো লাগছে।
এসজি