নতুন হলে উঠলেন সেই ফুলপরী, ক্লাস করবেন কাল
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলে নির্যাতিত ছাত্রী ফুলপরী ক্যাম্পাসে ফিরে নতুন হলে উঠেছেন। আজ রবিবার (১২ মার্চ) বাবার সঙ্গে গ্রামের বাড়ি পাবনা থেকে দুপুর ১২টায় ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। ক্যাম্পাসে পৌঁছে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে উঠেন।
ভুক্তভোগী ফুলপরী বলেন, আমার মধ্যে কেন জানি ক্যাম্পাসের প্রথমদিনের অনুভূতি কাজ করছে। খুব ভালো লাগছে। কাল থেকে ক্লাস করব। প্রশাসনের কাছে হল ও ক্যাম্পাসে আমার সার্বিক নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি।
ভুক্তভোগীর বাবা আতাউর রহমান বলেন, ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে এসেছি। প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তা দিয়েছে। মেয়ে আজ থেকে হলেই থাকবে। আজ ক্লাস করার সুযোগ হয়নি। আগামীকাল থেকে ক্লাস শুরু করবে।
এর আগে উচ্চ আদালত থেকে পছন্দের হল বরাদ্দের নির্দেশের পর গত ৪ মার্চ (শনিবার) ক্যাম্পাসে এসে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে বরাদ্দের জন্য আবেদন করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। পরে ওই হলের একটি কক্ষে তাকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। হল বরাদ্দ দেওয়া হলে সেদিন বাড়ি ফিরে যান তিনি।
এবিষয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিয়া মো. রাসিদুজ্জামান বলেন, আবেদন করার পর সেদিনই একটি কক্ষে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেদিন ওই কক্ষে কিছু মালামাল রেখে বাড়ি চলে যায় ওই ছাত্রী। আজ সে হলে উঠেছে। ক্যাম্পাসে এলে চিফ মেডিকেল অফিসারকে বলা হয়েছে তার স্বাস্থ্যগত বিষয় পরীক্ষা করতে। হলে এলে যেন কোনো ধরনের সমস্যায় না পড়তে হয় বিষয়টি দেখভাল করব। আমি ওই কক্ষের অন্যদের ডেকে কথা বলেছি যেন ওর কোনো সমস্যা না হয়।
এদিকে, গত ১২ ফেব্রুয়ারির পর থেকে প্রায় এক মাস শ্রেণিকার্যক্রমে অংশ নিতে পারেননি নির্যাতনের শিকার ছাত্রী। এই সময়ে তার সহপাঠীরা নিয়মিত ক্লাস করলেও ভুক্তভোগীকে বাড়ি থেকে ক্যাম্পাস ঘুরে বেড়াতে হয় নির্যাতনের বিচার পেতে। ফলে অন্যদের থেকে একাডেমিকভাবে পিছিয়ে পড়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর বিভাগ ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি ড. বখতিয়ার হাসান বলেন, আমরা ওই ছাত্রীর খোঁজ-খবর রাখছি। ওই ছাত্রী ক্লাসে এলে যেন কোনো ধরনের নিরাপত্তাজনিত সমস্যায় না পড়ে এবং কোনো ধরনের বিব্রত পরিস্থিতিতে পড়তে না হয় এ নিয়ে আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। এছাড়া গত মাসের ক্লাসে অংশ না নিলেও যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় আমরা বিষয়টি দেখব।
এসএন