রাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ, দোকানে আগুন
বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাস সুপারভাইজারসহ স্থানীয়রা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিনোদপুর গেটে এ সংর্ঘষ শুরু হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তা এখনো চলমান রয়েছে। শিক্ষার্থীরা বিনোদপুরে কয়েকটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেন।
রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ৪ শিক্ষার্থী গুরুতর অবস্থায় ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অন্যরা আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রাথমিকভাবে আহতের পরিচয় জানা যায়নি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এরইমধ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ঘটনাস্থলে গেছেন বলে জানা গেছে। তবে সংঘর্ষ এখনো থামেনি।
জানা গেছে, বগুড়া থেকে মোহাম্মদ বাসে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আলামিন আকাশ। বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে গাড়ির চালক শরিফুল ও সুপারভাইজার রিপনের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় আকাশের।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট এসে আবারও সুপারভাইজারের সঙ্গে ঝামেলা বাধে তার। তখন স্থানীয় এক দোকানদার এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হন এবং স্থানীয় দোকানদারদের উপর চড়াও হন।
একপর্যায়ে স্থানীয়রা একজোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ধাওয়া করে। এসময় দায়িত্ব পালনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ২ জন সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। শিক্ষার্থীরা বিনোদপুরে কয়েকটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কাজ করছে।
এসজি