ঢাবিতে বায়োটেকনোলজি সম্মেলন শুরু
‘ইনোভেটিভ বায়োটেকনোলজি ফর ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ১০ম আন্তর্জাতিক প্ল্যান্ট টিস্যু কালচার অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি সম্মেলন শুরু হয়েছে। এতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে।
শনিবার (১১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর প্ল্যান্ট টিস্যু কালচার এন্ড বায়োটেকনোলজি (বিএপিটিসিবি)-এর যৌথ উদ্যোগে ৩ দিনব্যাপী ওই সম্মেলন শুরু হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনকালে অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান নতুন নতুন উদ্ভাবনের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জীবপ্রযুক্তির সুযোগ-সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে খাদ্য নিরাপত্তা সূচকে বাংলাদেশ অসাধারণ সফলতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জীবপ্রযুক্তির নতুন নতুন উদ্ভাবন ও সাধারণ মানুষের কল্যাণে এর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে এই ধারাকে আরও এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সীমিত সম্পদের সভ্যবহারের মাধ্যমে পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে আধুনিক কৃষি ও জীবপ্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যের চাহিদা পুরণে কৃষিখাতের আরও ব্যাপক উন্নয়ন ঘটাতে হবে। ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়তে সমন্বিতভাবে কাজ করার জন্য উপাচার্য জীবপ্রযুক্তিবিদ, কৃষিবিদ এবং জীববিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএপিটিসিবির সভাপতি অধ্যাপক ড. রাখহরি সরকারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এবং শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম কবীর বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুর হোসেন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বিএপিটিসিবিএর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এমএমএ/