রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

তদন্ত ও শৃঙ্খলা বিধি ছাড়াই কুবির দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের বিষয়ে কেন্দ্রের পর এবার তৎপর হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও। শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তির পর দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সালমান চৌধুরী হৃদয়কে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কারের চিঠি দেয় রেজিস্ট্রার দপ্তর।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো শৃঙ্খলা বিধি না থাকার পরও 'উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী' বহিষ্কার করায় এ ব্যবস্থার পদ্ধতি ও ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা। আর শৃঙ্খলা বিধি পরবর্তী সিন্ডিকেটে পাশ করাবেন বলে জানিয়েছেন উপাচার্য। এদিকে কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই একই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিষয়ে পদক্ষেপ নিলেও শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন বলেন, 'তাঁদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিলাম। তাঁদের জবাব আমাদের কাছে যথাযথ মনে না হওয়ায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে, তখন হয় সাময়িক বহিষ্কার ওঠে যাবে, না হয় স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে'।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক বলেন, অস্বাভাবিক কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেই কেবল তার উপশম ঘটাতে তৎক্ষণাৎ সাময়িক বহিষ্কারের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এ বিষয়ে কোনো তদন্ত প্রতিবেদন যদি না থাকে, তাহলে ঘটনার এক মাস পর এসে সাময়িক বহিষ্কারের মতো পদক্ষেপ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ধারণা করবে যে কেউই। এছাড়া এ ঘটনার চূড়ান্ত পরিণতিইবা কে কখন নির্ধারণ করবে?

গত ৩০ জানুয়ারি রাতে ছাত্রলীগের ২০১৭ সালে বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহী সমর্থিত কয়েকজন কর্মী ও সাবেক ছাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে 'অবৈধভাবে' উঠতে গেলে তাঁদেরকে বাধা দেন তৎকালীন সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সমর্থিতরা।

এসময় সহকারী প্রক্টর অমিত দত্তের সঙ্গে ইলিয়াস সমর্থিত এনায়েত ও সালমানের বাগবিতণ্ডা ঘটে এবং উভয়পক্ষকেই উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়। এ ঘটনাকে প্রক্টরিয়াল বডির কর্তব্য পালনে বাধা, শিক্ষককে হেনস্থা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ দাবি করে উভয় নেতাকে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ।

এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের বিপরীতে এনায়েত ও সালমানের উত্তর গ্রহণযোগ্য হয়নি দাবি করে 'প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী' উভয় ছাত্রলীগ নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি অফিস আদেশে। কারণ দর্শানোর ওই নোটিশের পর সহকারী প্রক্টর অমিত দত্তের বিরুদ্ধে উপাচার্য বরাবর পাল্টা অভিযোগ দেন ঐ দুই শিক্ষার্থী।

অভিযোগপত্রে তাঁরা বলেন, ২০১৬ সালে কুবি ছাত্রলীগের অন্তঃকোন্দলে নিহত কাজী নজরুল ইসলাম হলের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত খুনি বিপ্লব চন্দ্র দাসসহ আরও কয়েকজন অছাত্র হলে ওঠার চেষ্টা করায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার ভীতি সৃষ্টি হয়।

এসময় শিক্ষক অমিত দত্ত অছাত্রদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উচ্চবাচ্য ও তাদের গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করেন। এ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানালে সেই শিক্ষক তাঁদেরকে মারতে তেড়ে আসেন এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তাঁরা।

একই ঘটনায় উভয় পক্ষ থেকে অভিযোগ গেলেও কোনো ধরনের তদন্ত কমিটি গঠন করেনি কর্তৃপক্ষ। বরং নিজেদের মতো করেই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেষ্টা করেও প্রশাসনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বরং অভিযোগকারী তথা প্রক্টরিয়াল বডির সুপারিশের ভিত্তিতেই উভয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

উপাচার্যঘেষা একজন শিক্ষক বলেন, মূলত অভিযোগকারী শিক্ষকরাই তাঁদেরকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছিল। উপাচার্য তাঁদের বাইরে যেতে পারেননি। সেজন্য বাদীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ থাকলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

এসব বিষয়ে কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকের সাথে। বিষয়টি প্রশাসন সংশ্লিষ্ট হওয়ায় এবং উপাচার্যের বিরাগভাজন হওয়ার আশঙ্কায় দুই জনই নাম প্রকাশ করতে চাননি। তাঁদের একজন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়েতো কোনো শৃঙ্খলা বিধিও নেই। তাহলে কীসের ভিত্তিতে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তারা কোন মাত্রার অপরাধ করেছে, সেটা কীভাবে নির্ণয় করা হয়েছে-এ প্রশ্নগুলো সামনে আসা জরুরি।

তবে উপাচার্য বলেন, ঘটনা ঘটার পর আমি বিদেশ চলে যাই। আমরা গত রবি-সোমবারের দিকে দিকে তাঁদের বহিষ্কারের বিষয়ে মিটিংয়ে বসার কথা ছিল এবং সেদিনই বহিষ্কার করার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা কিভাবে যেন জানতে পারে যে আমরা তাঁদের বহিষ্কার করব এবং তাঁদেরকে যাতে বহিষ্কার করা না হয় সেজন্য সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের আপগ্রেডেশন বোর্ড চলাকালীন হামলা চালায়। এরপর তাঁরা মাফ চাইবে বলেছিল, কিন্তু মাফ চায়নি।

শৃঙ্খলা ভঙ্গের কোন বিধি অনুযায়ী তাঁদেরকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে? এর উত্তরে উপাচার্য বলেন, প্রক্টরের দায়িত্ব পালনে বাঁধা প্রদান কি শৃঙ্খলা বিরোধী না? গত সিন্ডিকেটে শৃঙ্খলা বিধির বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, পরবর্তী সিন্ডিকেটে আমরা সেটি পাশ করাব।

একই ঘটনায় অভিযোগকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধেও পাল্টা অভিযোগ আছে। তাঁর বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগেই একপাক্ষিক ব্যবস্থা নিতে পারেন কি না, এ বিষয়ে উপাচার্যকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি প্রতিবেদককে অনেকক্ষণ সময় দিয়েছেন দাবি করে আর মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সার্বিক বিষয়ে কথা হয় রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমানের সাথে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের একজন এবং দু‌ই বার প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি বলেন, প্রশাসন নিজ থেকে কখনো এ ধরনের শাস্তি দিতে পারে না। 'উচ্চপর্যায়' বা অন্য কিছু বলার কোনো সুযোগই নেই। এটা আইনের ভাষা হতে পারে না। যেকোনো বিষয়ে শাস্তি দিতে হলে অবশ্যই বিধি উল্লেখ করতে হবে।

অধ্যপক সৈয়দুর আরও বলেন, যেহেতু আমাদের কোনো শৃঙ্খলা বিধি নেই, সেহেতু প্রচলিত সরকারি বিধি অনুযায়ীই পদক্ষেপ নিতে হবে। অথবা তদন্ত কমিটি গঠণ করে তাঁদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কারণ দর্শানোর নোটিশের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারে মাত্র। এছাড়া যেহেতু শিক্ষকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এসেছে, তাঁর স্বার্থে হলেও তদন্ত প্রতিবেদন দরকার ছিল।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হায়দরাবাদে শনিবার (২০ এপ্রিল) এক বিশাল গণবিক্ষোভের আয়োজন করে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড (AIMPLB)।

এই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব দেন সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM) দলের প্রধান এবং হায়দরাবাদের প্রভাবশালী মুসলিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি এই আইনকে “সংবিধানের মূল চেতনার বিরুদ্ধে” উল্লেখ করে বাতিলের জোর দাবি জানান।

“এই আইন আমাদের ধর্মীয় ও সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করছে। যতদিন না এটি বাতিল করা হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলন চলবে,”— বলেন ওয়াইসি।

তিনি আরও জানান, ওয়াকফ বোর্ডে অ-মুসলিমদের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করায় মুসলিম সমাজে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এবং তা মেনে নেওয়া যায় না।

সম্প্রতি পাস হওয়া ওয়াকফ সংশোধনী আইন অনুসারে, অ-মুসলিমদেরও ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য করা সম্ভব হতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকেই এই বিরোধের সূত্রপাত। এই আইনকে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অধিকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন মুসলিম নেতারা।

এই ইস্যুতে ইতোমধ্যেই ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছে। আদালতে সরকার জানিয়েছে, মে মাসে মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত অ-মুসলিমদের ওয়াকফ বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।

 

ছবি: সংগৃহীত

ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন, যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।

বিরোধীদের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও বিলটি ভারতের পার্লামেন্টের দুই কক্ষে পাস হয়েছে। আন্দোলন এখন হায়দরাবাদ ছাড়িয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।

টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানায়, মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের আহ্বানে এবং ওয়াইসির নেতৃত্বে এই আন্দোলন ক্রমেই সারা ভারতব্যাপী শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনের রূপ নিচ্ছে।

ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে, তা শুধু রাজনৈতিক নয়, ধর্মীয় এবং সাংবিধানিক অধিকার নিয়েও গভীর প্রশ্ন তুলেছে। এখন দেখার বিষয়, আদালতের রায়ে এবং গণআন্দোলনের চাপে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়।

সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড

Header Ad
Header Ad

ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। রোববার (২০ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১২টার দিকে গরম পানির গলির একটি বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধরা হলেন- কুলসুম আক্তার (২৫), রিয়াজ হোসেন (২১), কামরুন্নেসা রোজিনা (৪৫)। তাদের সবার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরা উপজেলায়। বর্তমানে ফকিরাপুল এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী ইব্রাহিম খলিল বলেন, আজ দুপুরের দিকে রান্না করার সময় বিস্ফোরণে আহত হন তারা। পরে আমরা প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসি। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, আজ দুপুরের দিকে ফকিরাপুল থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারীসহ তিনজনকে বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তাদের চিকিৎসা চলছে। দগ্ধের পরিমাণ পরে জানাবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।

Header Ad
Header Ad

আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা

ছবি: সংগৃহীত

মুসলিম বিশ্বের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ ভেঙে সেখানে ইহুদি মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করছে দখলদার ইসরায়েলের অবৈধ বসতিস্থাপনকারীরা। হিব্রু ভাষার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এ নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করছে তারা। বিষয়টি সামনে আসতেই ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র ও প্রবাসী মন্ত্রণালয় এ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক্স প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে ফিলিস্তিনি মন্ত্রণালয় জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার আহ্বান জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, এ পরিকল্পনাকে তারা ইসলামিক এবং খ্রিস্টান পবিত্র স্থানগুলোর বিরুদ্ধে এক ধরনের ‘পদ্ধতিগত উসকানি’ হিসেবে দেখছে।

জেরুজালেমের ‘স্ট্যাটাস কু’ অনুযায়ী, আল-আকসা প্রাঙ্গণে অমুসলিমদের প্রার্থনা নিষিদ্ধ হলেও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানে ইহুদিদের প্রবেশ এবং ধর্মীয় কার্যক্রম বেড়েছে। এখন তারা সেখানে থার্ড টেম্পল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে, যা অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা ছড়াতে পারে।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে অন্তত ৬৪ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের অধিকাংশই গাজা সিটি ও উত্তর গাজার বাসিন্দা। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) বর্তমানে রাফা শহরের কাছে ঘাঁটি গেড়ে সামরিক তৎপরতা চালাচ্ছে।

হামাস জানিয়ে দিয়েছে, তারা আর কোনও অন্তর্বর্তী যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয়। সংগঠনের সিনিয়র নেতা খলিল আল-হায়া শুক্রবার এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, তারা একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তির ভিত্তিতেই আলোচনা করতে চায়, যার আওতায় গাজা যুদ্ধের অবসান, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি এবং গাজার পুনর্গঠন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েলি সরকার নিজেদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে আংশিক চুক্তিগুলো ব্যবহার করছে এবং সব জিম্মিকে বলি দিতে প্রস্তুত।

ইতোমধ্যে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত দেড় বছরে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫১ হাজার এবং আহতের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজারে পৌঁছেছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে, কারণ অনেকেই এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।

এই অব্যাহত মানবিক সংকটে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ বাড়ছে, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনও সম্ভাবনা এখনো দেখা যাচ্ছে না।

সূত্র: রয়টার্স, আলজাজিরা

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
হাতিরঝিলে যুবদল নেতার ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে
আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
বিয়ের আসরে কনের বেশে শাশুড়ি, থানায় হাজির বর
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, রাস্তায় হাজারো মানুষ
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রাও