সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

তদন্ত ও শৃঙ্খলা বিধি ছাড়াই কুবির দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের বিষয়ে কেন্দ্রের পর এবার তৎপর হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও। শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তির পর দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সালমান চৌধুরী হৃদয়কে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কারের চিঠি দেয় রেজিস্ট্রার দপ্তর।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো শৃঙ্খলা বিধি না থাকার পরও 'উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী' বহিষ্কার করায় এ ব্যবস্থার পদ্ধতি ও ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা। আর শৃঙ্খলা বিধি পরবর্তী সিন্ডিকেটে পাশ করাবেন বলে জানিয়েছেন উপাচার্য। এদিকে কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই একই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিষয়ে পদক্ষেপ নিলেও শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন বলেন, 'তাঁদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিলাম। তাঁদের জবাব আমাদের কাছে যথাযথ মনে না হওয়ায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে, তখন হয় সাময়িক বহিষ্কার ওঠে যাবে, না হয় স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে'।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক বলেন, অস্বাভাবিক কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেই কেবল তার উপশম ঘটাতে তৎক্ষণাৎ সাময়িক বহিষ্কারের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এ বিষয়ে কোনো তদন্ত প্রতিবেদন যদি না থাকে, তাহলে ঘটনার এক মাস পর এসে সাময়িক বহিষ্কারের মতো পদক্ষেপ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ধারণা করবে যে কেউই। এছাড়া এ ঘটনার চূড়ান্ত পরিণতিইবা কে কখন নির্ধারণ করবে?

গত ৩০ জানুয়ারি রাতে ছাত্রলীগের ২০১৭ সালে বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহী সমর্থিত কয়েকজন কর্মী ও সাবেক ছাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে 'অবৈধভাবে' উঠতে গেলে তাঁদেরকে বাধা দেন তৎকালীন সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সমর্থিতরা।

এসময় সহকারী প্রক্টর অমিত দত্তের সঙ্গে ইলিয়াস সমর্থিত এনায়েত ও সালমানের বাগবিতণ্ডা ঘটে এবং উভয়পক্ষকেই উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়। এ ঘটনাকে প্রক্টরিয়াল বডির কর্তব্য পালনে বাধা, শিক্ষককে হেনস্থা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ দাবি করে উভয় নেতাকে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ।

এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের বিপরীতে এনায়েত ও সালমানের উত্তর গ্রহণযোগ্য হয়নি দাবি করে 'প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী' উভয় ছাত্রলীগ নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি অফিস আদেশে। কারণ দর্শানোর ওই নোটিশের পর সহকারী প্রক্টর অমিত দত্তের বিরুদ্ধে উপাচার্য বরাবর পাল্টা অভিযোগ দেন ঐ দুই শিক্ষার্থী।

অভিযোগপত্রে তাঁরা বলেন, ২০১৬ সালে কুবি ছাত্রলীগের অন্তঃকোন্দলে নিহত কাজী নজরুল ইসলাম হলের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত খুনি বিপ্লব চন্দ্র দাসসহ আরও কয়েকজন অছাত্র হলে ওঠার চেষ্টা করায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার ভীতি সৃষ্টি হয়।

এসময় শিক্ষক অমিত দত্ত অছাত্রদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উচ্চবাচ্য ও তাদের গায়ে হাত তোলার চেষ্টা করেন। এ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানালে সেই শিক্ষক তাঁদেরকে মারতে তেড়ে আসেন এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তাঁরা।

একই ঘটনায় উভয় পক্ষ থেকে অভিযোগ গেলেও কোনো ধরনের তদন্ত কমিটি গঠন করেনি কর্তৃপক্ষ। বরং নিজেদের মতো করেই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেষ্টা করেও প্রশাসনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বরং অভিযোগকারী তথা প্রক্টরিয়াল বডির সুপারিশের ভিত্তিতেই উভয় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

উপাচার্যঘেষা একজন শিক্ষক বলেন, মূলত অভিযোগকারী শিক্ষকরাই তাঁদেরকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছিল। উপাচার্য তাঁদের বাইরে যেতে পারেননি। সেজন্য বাদীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ থাকলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

এসব বিষয়ে কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকের সাথে। বিষয়টি প্রশাসন সংশ্লিষ্ট হওয়ায় এবং উপাচার্যের বিরাগভাজন হওয়ার আশঙ্কায় দুই জনই নাম প্রকাশ করতে চাননি। তাঁদের একজন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়েতো কোনো শৃঙ্খলা বিধিও নেই। তাহলে কীসের ভিত্তিতে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তারা কোন মাত্রার অপরাধ করেছে, সেটা কীভাবে নির্ণয় করা হয়েছে-এ প্রশ্নগুলো সামনে আসা জরুরি।

তবে উপাচার্য বলেন, ঘটনা ঘটার পর আমি বিদেশ চলে যাই। আমরা গত রবি-সোমবারের দিকে দিকে তাঁদের বহিষ্কারের বিষয়ে মিটিংয়ে বসার কথা ছিল এবং সেদিনই বহিষ্কার করার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা কিভাবে যেন জানতে পারে যে আমরা তাঁদের বহিষ্কার করব এবং তাঁদেরকে যাতে বহিষ্কার করা না হয় সেজন্য সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের আপগ্রেডেশন বোর্ড চলাকালীন হামলা চালায়। এরপর তাঁরা মাফ চাইবে বলেছিল, কিন্তু মাফ চায়নি।

শৃঙ্খলা ভঙ্গের কোন বিধি অনুযায়ী তাঁদেরকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে? এর উত্তরে উপাচার্য বলেন, প্রক্টরের দায়িত্ব পালনে বাঁধা প্রদান কি শৃঙ্খলা বিরোধী না? গত সিন্ডিকেটে শৃঙ্খলা বিধির বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, পরবর্তী সিন্ডিকেটে আমরা সেটি পাশ করাব।

একই ঘটনায় অভিযোগকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধেও পাল্টা অভিযোগ আছে। তাঁর বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগেই একপাক্ষিক ব্যবস্থা নিতে পারেন কি না, এ বিষয়ে উপাচার্যকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি প্রতিবেদককে অনেকক্ষণ সময় দিয়েছেন দাবি করে আর মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সার্বিক বিষয়ে কথা হয় রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমানের সাথে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের একজন এবং দু‌ই বার প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি বলেন, প্রশাসন নিজ থেকে কখনো এ ধরনের শাস্তি দিতে পারে না। 'উচ্চপর্যায়' বা অন্য কিছু বলার কোনো সুযোগই নেই। এটা আইনের ভাষা হতে পারে না। যেকোনো বিষয়ে শাস্তি দিতে হলে অবশ্যই বিধি উল্লেখ করতে হবে।

অধ্যপক সৈয়দুর আরও বলেন, যেহেতু আমাদের কোনো শৃঙ্খলা বিধি নেই, সেহেতু প্রচলিত সরকারি বিধি অনুযায়ীই পদক্ষেপ নিতে হবে। অথবা তদন্ত কমিটি গঠণ করে তাঁদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কারণ দর্শানোর নোটিশের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে পারে মাত্র। এছাড়া যেহেতু শিক্ষকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এসেছে, তাঁর স্বার্থে হলেও তদন্ত প্রতিবেদন দরকার ছিল।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

এবার মেহেদি হাসান ও বিপ্লব কুমার চাকরি থেকে বরখাস্ত

যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার ও ট্রাফিকের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদি হাসান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিএমপি) পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) বিপ্লব কুমার সরকার ও ডিএমপির ট্রাফিকের (দক্ষিণ) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদি হাসানকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে জারিকৃত সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণির সই করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড গোয়েন্দা-দক্ষিণ) বিপ্লব কুমার সরকার এবং ডিএমপির ট্রাফিকের (দক্ষিণ) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান গত বছরের ৬ আগস্ট থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে মৌখিক বা লিখিতভাবে অবহিত না করে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।

সেহেতু, বিপ্লব কুমার সরকার এবং এস এম মেহেদী হাসানকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ২ (চ) বিধি অনুযায়ী ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

Header Ad
Header Ad

এমসি কলেজ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় জামায়াত আমিরের দায় স্বীকার  

সিলেট নগরীর সোবাহানীঘাট এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের বোর্ড রুমে তালামীযে ইসলামিয়া ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে বৈঠক হয়। ছবিঃ সংগৃহীত

সিলেটের এমসি কলেজে ছাত্রাবাসে তালামীযে ইসলামিয়ার এক কর্মীকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রশিবিরের কিছু কর্মী জড়িত বলে জানিয়েছে জামায়াত ইসলামী।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর সোবাহানীঘাট এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের বোর্ড রুমে তালামীযে ইসলামিয়া ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন জামায়াতের সিলেট মহানগরের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “ফেইসবুকে একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে সেখানে (এমসি কলেজে) যে বাড়াবাড়িটুকু হয়েছে, আমাদের দৃষ্টিতে সেখানে ছাত্রশিবিরের কিছুসংখ্যক কর্মী এটার সঙ্গে জড়িত এবং যেটা করেছে সেটা অন্যায়ভাবে করেছে এবং সেটা দুঃখজনক। আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাই। দুঃখপ্রকাশ করছি।”

শিবির ও তালামীযকে একই আদর্শের সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দুটি সংগঠনই আমাদের হৃদয়ের ভালোবাসার সংগঠন। আমরা পরস্পরই ইসলামী সংগঠন, আমরা দেশ ও জাতির ভালো চাই। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হলে বিরোধীপক্ষ উপকৃত হবে। ভবিষ্যতে আর কোনো এ ধরণের ভুলবুঝাবুঝি তৈরি হলে আমরা পরস্পর বসে এ ব্যাপারে মীমাংসার দিকে যাব। কোন কর্মীও যেনো বাড়াবাড়ি না করে।”

এর আগে বুধবার রাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান রিয়াদকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠে ছাত্র শিবিরের বিরুদ্ধে।

আহত রিয়াদ আনজুমানে তালামীযে ইসলামীয়া নামের একটি রাজনৈতিক সংগঠনের এমসি কলেজ শাখার সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।

এদিকে, রোববার রাতে সিলেট মহানগর জামায়াতের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃষ্ট অনাকাঙ্খিত ঘটনার আপোষ নিষ্পত্তি হয়েছে। কয়েকজন ছাত্রের মধ্যে সংঘটিত অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি নিয়ে তৃতীয় পক্ষের অবৈধ ফায়দা হাসিল ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে এক মতবিনিময় সভা করেন সিলেট জামায়াত ও আঞ্জুমানে আল ইসলাহ নেতৃবৃন্দ।"

“সভায় সংঘটিত অনাকাঙ্খিত ঘটনার ব্যাপারে নিন্দা জানানো হয় ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়। এছাড়া ইসলামী সংগঠনগুলোর মধ্যে ঐক্য সুদৃঢ় করা, পরস্পর উস্কানী ও উত্তেজনামূলক বক্তব্য পরিহারের আহ্বান জানানো হয়। দুই পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট ঘটনায় ৩য় পক্ষ যাতে অবৈধ ফায়দা হাসিল করতে না পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়। ”

মতবিনিময় সভায় জামায়াত নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান এবং জেলা জামায়াত নেতা ও সাবেক দক্ষিণ সুরমা উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা লোকমান আহমদ।

আঞ্জুমানে আল ইসলাহ নেতৃবৃন্দের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- মাওলানা রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী ফুলতলী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, এডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকীব, হাফিজ নাজমুল হুদা, মাওলানা জৈন উদ্দিন ও কাজী বুরহান উদ্দিন।

এদিকে, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মো. ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে রাতে ছাত্রশিবির সিলেট মহানগর শাখা সভাপতি শাহীন আহমদ ও সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম সাজু যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।

ছাত্রশিবির মহানগর শাখার প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক নাঈম হোসাইন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, “সিলেটের এমসি কলেজে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাতে শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক দ্বন্দ্বে হাতাহাতির ঘটনায় কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু স্থানীয় রাজনৈতিক মহল ফায়দা হাসিল করতে ছাত্রশিবিরের ওপর দায় চাপিয়ে আসছে। রোববার সন্ধ্যায় মহানগর জামায়াতের আমির ফখরুল ইসলামের প্রদত্ত বক্তব্য আমাদের নজরে আসে। আমরা তার এই বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ”

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, “শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক দ্বন্দ্বকে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারের মাধ্যমে ছাত্রশিবিরে ওপর দায় দিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা ইতোমধ্যে দেশবাসীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সিলেট মহানগর জামায়াতের আমিরও এ অপপ্রচার দ্বারা বিভ্রান্ত হয়েছেন বলে মনে করছেন তারা। তারা অবিলম্বে এ বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য আহ্বান জানান।”

Header Ad
Header Ad

লালমনিরহাটে জামাত-শিবিরের কলেজ দখলের চেষ্টা

ছবিঃ সংগৃহীত

লালমনিরহাটের হাতিবান্দা মডেল কলেজ দখলের অপচেষ্টা চালিয়েছে জামাত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। তবে স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের দ্রুত হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে একদল জামাত-শিবির কর্মী কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। তারা লাঠিসোটা নিয়ে কলেজ প্রশাসনের ওপর হামলার চেষ্টা চালায় এবং কলেজের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।

এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। তবে প্রশাসনের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়েছে।

কলেজের এক কর্মচারী জানান, জামাত-শিবিরের কর্মীরা তাকে বেধড়ক মারধর করেছে।

এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, "যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, তাদের অবশ্যই গ্রেপ্তার করা হবে। এখানে একটি সংঘবদ্ধ মব তৈরির চেষ্টা চলছিল, যা আমরা প্রতিহত করেছি।"

তিনি আরও জানান, "অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলছে। তবে নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেটিও নিশ্চিত করা হবে।"

এ ঘটনায় কয়েকজন শিবির কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিহত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এবার মেহেদি হাসান ও বিপ্লব কুমার চাকরি থেকে বরখাস্ত
এমসি কলেজ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় জামায়াত আমিরের দায় স্বীকার  
লালমনিরহাটে জামাত-শিবিরের কলেজ দখলের চেষ্টা
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার  
এলিফ্যান্ট রোডের একটি বাসা থেকে ঢাবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
চ্যানেল ‘চ্যানেল ওয়ান’ সম্প্রচারে বাধা নেই  
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভাঙার অভিযোগ  
‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে নিউজল্যান্ডের বিপক্ষে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ
আ:লীগ পাচার হওয়া অর্থ দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা  
বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২০০ ভরি সোনা ছিনতাই    
চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা
সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার
নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল
দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!
জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা
ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফর ও স্টারলিংক চালুর আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার