ইবি উপাচার্যের অডিও ফাঁস খতিয়ে দেখার আহ্বান
ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ের (ইবি) উপাচার্যের 'কণ্ঠসদৃশ' অডিও ফাঁসের ঘটনায় এমন অপ্রাসঙ্গিক ব্যক্তিগত আলোচনা জনসম্মুখে উঠে আসায় মর্মবেদনা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মনে করেন তারা।
বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তথা ইউজিসি, শিক্ষামন্ত্রী ও সরকারকে খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করেন তারা। শনিবার (৪ মার্চ) দুপুর দুটায় শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়। এসময় সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
লিখিত বক্তব্য সূত্রে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যের কন্ঠসদৃশ একাধিক স্পর্ষকাতর অডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়। পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষক সমিতি উপাচার্যের অবস্থান জানতে চেয়েছিল। ১৯ ফেব্রুয়ারি উপাচার্য শিক্ষক সমিতিকে অডিওগুলো তার ব্যক্তিগত আলাপচারিতা বলে জানান।
এ বিষয়ে উপাচার্যকে প্রযুক্তিগত সহযোগীতা প্রদানের আশ্বাস এবং আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করে সমিতির নেতারা। কিন্তু উপাচার্য অদ্যোবধি এ ধরণের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন কিনা তা তারা অবগত নয় বলে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়। তবে পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে একাধিক অডিও প্রচারিত হয়, যা সারাদেশে জনমনে নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে বলে বক্তব্যে বলা হয়।
এবিষয়ে সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এ ধরনের অপ্রাসঙ্গিক ব্যক্তিগত আলাপ জনসম্মুখে উঠে আসায় আমরা মর্মবেদনা বোধ করছি। এতে শিক্ষক সমাজ তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তথা ইউজিসি, শিক্ষামন্ত্রী ও সরকারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত বলে আমরা মনে করি।
এদিকে শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম জানান, এ বিষয়ে প্রেস রিলিজ করে জানিয়েছি, তাছাড়া সাংবাদিক সহ বিভিন্ন ফোরামকেও জানিয়েছি। অডিওটি আমার কিনা আমি বলতে পারবো না। এটি আমার হতেও পারে নাও পারে।
এএজেড