'নেতিবাচক সংবাদের শিরোনাম হতে চাই না'
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে একটি দিনের জন্যও দেশের কোন ক্যাম্পাস রাজনৈতিক সহিংসতায় বন্ধ হয়নি। ছাত্রলীগ সবসময় ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার জন্য কাজ করেছে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করেছে। কিন্তু মাঝেমাঝে অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য আমরা নেতিবাচক সংবাদের শিরোনাম হয়। আমরা আর নেতিবাচক সংবাদের শিরোনাম হতে চাই না।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে র্যাগিং ও যৌন নির্যাতন বিরোধী র্যালি পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনি, বনি আমিন, আরিফুল ইসলাম খান, রাকিবুল ইসলাম ও মামুন উর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হুসাইন মজুমদার সহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।
সমাবেশে সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, আমরা সবসময় র্যাগিং ও যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে। এই ধরনের কাজকে আমরা কোনো ভাবে সমর্থন করিনা। এছাড়া আমি আমার ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীকে বলতে চাই আপনারা শিক্ষার্থীদের সহায়ক হয়ে কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করুন ছাত্রলীগ সবসময় মানুষের উপকারে কাজ করে। এবং র্যাগিং ও সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাই।
সভাপতি ফয়সাল সিদ্দীকি আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে র্যালিটি সংগঠনটির দলীয় টেন্ড থেকে শুরু হয়। এসময় তারা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বটতলায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। পরে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে র্যাগিং ও যৌন নির্যাতন বিরোধী লিফলেট বিতরণ করেন।
এরআগে সোমবার রাতে ইবি ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে ক্যাম্পাসের আবাসিক হল এলাকায় মশাল মিছিল করেছে ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ।
এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান সুইট বলেন, সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কর্মীদের হাতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা র্যাগিংয়ের নামে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমরা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। পাশাপাশি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিংয়ের ঘটনায় অভিযুক্তদের ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি জানাই। যদি তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কার করা না হয়, তাহলে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনে যাব।
এএজেড