শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ক্যাম্পাসে যেমন কাটল নবীনদের প্রথম দিন

উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে শিক্ষার্থীরা তাদের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য একটু একটু করে স্বপ্ন বুনতে শুরু করে। স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেন তারা। কত রাত না ঘুমিয়ে পার করে দেন শুধু স্বপ্নকে ছোঁয়ার জন্য। আসন স্বল্পতার কারণে অনেকে স্বপ্নকে ছুঁতে পারে আর অনেকের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়।

যারা সফল হন তাদের জন্য ক্যাম্পাস জীবনের প্রথম দিনটি থাকে চিরস্মরণীয় হয়ে। ভীষণ আবেগ নিয়ে প্রথম দিনে ক্যাম্পাসে আসেন নবীন শিক্ষার্থীরা। প্রথম দিনটিকে ঘিরে নানা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় তাদের। তেমনি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কয়েকজন নবীন শিক্ষার্থী জানালেন নিজেদের ক্যাম্পাস জীবনের প্রথম দিনের অনুভূতির কথা।

শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আহমেদ সামিয়া বলেন, শত প্রত্যাশা আর স্বপ্ন বোনা সেই কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হয়ে যেদিন প্রথম পদচারণ করলাম, সেই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনের অনুভূতি ছিল এক আকাশ ছোঁয়া সমপরিমাণ আনন্দের। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার প্রথম দিন সকাল সকাল ক্যাম্পাসের লাল বাসে করে ক'জন ব্যাচমেটের সঙ্গে চলে আসলাম বহুল প্রতীক্ষিত ক্যাম্পাসে। বাস থেকে নেমেই এক পলকে পুরো ক্যাম্পাসটা চোখের আয়ত্বে আনলাম, বিশ্বাসই হচ্ছিল না যে আমি আমার কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার পাবলিকিয়ানদের মাঝে একজন পাবলিকিয়ান হিসেবে দাঁড়িয়ে আছি।

তিনি বলেন, এ যেন এক স্বপ্ন ছিল। এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ব্যাচমেট বন্ধু পেছন থেকে ডাকল শুনতেই পেলাম না। তারপর আমরা ক'জন আমাদের শিক্ষা প্রশাসন ডিপার্টমেন্টের দিকে রওনা দিলাম। যাত্রাপথে আমার ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যগুলো যেমন- ক্যাম্পাসের বিশাল আয়তনের খোলা মাঠ, আড্ডা দেওয়া বা অবসর সময় কাটানোর জন্য 'শান্তিনিকেতন', কেন্দ্রীয় মসজিদ, চারদিকের সবুজের ছায়াঘেরা দৃশ্যগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে উপভোগ করলাম। তারপর চেয়ারম্যান স্যারের নির্দেশে ক্লাসরুমে গিয়ে পৌঁছালাম সবাই। ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে আগত ব্যাচমেটদের সঙ্গে পরিচিত হলাম। এরপর শামসুল আরেফিন স্যারের ক্লাসের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ১ম ক্লাস শুরু করলাম। তিনি আমাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

তিনি আরও বলেন, ক্লাসের শেষে আমাদের সিনিয়র ভাইয়া এবং আপুদের সঙ্গে পরিচিত হই। প্রথমে অনেক ভয় এবং আতঙ্কিত ছিলাম কারণ নতুন জায়গা, নতুন পরিবেশ, সব নতুন মুখ, মানিয়ে নিতে পারব কি না। কিন্তু না! আমাদের ভাইয়া আপুদের কথা শুনে মনে হলো ভয়ের কিছুই নেই। তারা যথেষ্ট ভালো এবং বন্ধুত্বপূর্ণ। আমাদেরকে অনেক দ্রুতই তারা ছোট ভাই-বোনের মতো আপন করে নিয়েছে। তারপর শান্তিনিকেতনে ভাইয়া আপুদের সঙ্গে চা, আড্ডা দিয়েছি। পরে নোবিপ্রবির সেই লাল বাসে করে বাসার উদ্দেশে রওনা দিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় যে একটি পরিবার থেকে কম নয় বরং বেশি, সেটি আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক এবং সিনিয়র ভাইয়া-আপুদের স্নেহ ও আন্তরিকতা না দেখলে বুঝতেই পারতাম না। এখন তাদের থেকেই পথনির্দেশনা নিয়ে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে চাই, শিখতে চাই কীভাবে নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করতে হবে। সবশেষে বলতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন জীবনের এক স্মৃতিমাখা দিন, যা সারা জীবন এক অনন্য অনুভূতি হয়ে গচ্ছিত থাকবে।

সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আলম ইশা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনটি ছিল এক নতুন জীবনের সূচনালগ্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দিনটার আনন্দ আকাশ ছোঁয়ার মতো ছিল আমার কাছে। শত প্রত্যাশা আর স্বপ্ন বোনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেখানকার একজন শিক্ষার্থী হয়ে যেদিন প্রথম পদাচারণ করলাম, সে এক দারুণ অনুভূতি ছিল। রীতিমতো প্রত্যেকটা শিক্ষার্থী যুদ্ধক্ষেত্র পাড়ি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অংশ হয়ে উঠে। আর তা যদি হয় নিজের স্বপ্নে লালিত প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় 'নোবিপ্রবি' তাহলে তা আনন্দের এক অসীম মাত্রা যুক্ত করে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনে আমিও সব নবীনের মতো নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ হিসেবে আবিষ্কার করতে পেরেছিলাম। অবশ্য এই আনন্দের সঙ্গে কিছুটা ভয়ের মিশ্রণও ছিল। নতুন জায়গা, নতুন মানুষ। মনে হচ্ছিল পুকুর থেকে হয়তো মহাসমুদ্রে পড়ে গেলাম। কিন্তু এ ভয়ের অনেকটাই অবসান ঘটে গেল যখন নিজের ডিপার্টমেন্টের ক্লাস রুমে যাই এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অপরিচিত মুখগুলো আপন করে নিচ্ছিল আমায়।

তিনি আরও বলেন, প্রথম দিনে শিক্ষকদের সঙ্গে অভিজ্ঞতার কথা বলতে গেলে খুবই সুন্দর। আমাদের উপাচার্য স্যার নবীনদেরকে একজন প্রকৃত ভালো মানুষ হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। অনেককেই আবার প্রথম বছর হেলায় না কাটানোর কথা বলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রীতিনীতি তুলে ধরেন। বিশ্ববিদ্যালয় যে একটি পরিবার থেকে কম নয় বরং বেশি, সেটা বুঝতে পারি যখন বড় ভাইয়া আপুদের সঙ্গে আলাপ হয়। পরিশেষে বলতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনটি আমার কাছে ছিল খুবই আনন্দের যা এক নতুন অভিজ্ঞতার সঞ্চার করে। এই দিনটি আমার এক নতুন জীবনের সূচনা করে।

শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী সুবর্ণা ফেরদৌস জাহান বলেন, এক যুগ আমরা পড়াশোনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছেছি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকমণ্ডলী ও বড় ভাইয়া এবং আপুদের অতিথি পরায়ণতা যেন পরিবারের কথা মনে করিয়ে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন নিয়ে সবারই অনেক প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা থাকে। এই দিনটিতে আমি অনেক বেশি উত্তেজিত ছিলাম। কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গে আমি একটু কষ্টেও ছিলাম। জীবনে এই প্রথম আমি আমার মায়ের আদর গায়ে না মেখে ঘর থেকে বাইরে যাব।

তিনি বলেন, দিনটি ছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি। সকালে উঠেই নামাজ পড়েছিলাম। তারপর যেহেতু মা নেই তাই আমাকেই রান্না করতে হয়েছে। তারপর তৈরি হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলাম। এরপর আমার বিভাগে গিয়ে শ্রেণিকক্ষে বসেছিলাম। তখন শ্রেণিকক্ষে সবেমাত্র কিছু সংখ্যক বন্ধু-বান্ধবী এসেছিল। আর আমাদের সবার ক্লাসরুম চিনতে ভুল হয়েছিল। আমাদের আইসিটি ক্লাস ছিল তাই ক্লাসটি ল্যাব রুমে হয়েছিল। যখনি জানতে পেরেছি ক্লাস রুমটা ল্যাবরুমে হবে তখনই আমরা সবাই মিলে ৪১২নং রুমে চলে যাই। কিছুক্ষণ পর বিপ্লব মল্লিক স্যার ও সিয়াম স্যার এসে আমাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। স্যারদের ক্লাসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল আমরা যেন তাদের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করি এবং তারা সেই প্রশ্নের উত্তর দেবে।

তিনি আরও বলেন, আমি স্যারদেরকে দুটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিলাম প্রথমটি ছিল, 'আমাদের প্রত্যেকের জীবনে অনেক হতাশা আছে। জীবনে কী এমন হতাশা আছে যার জন্য কষ্ট লাগে?' দ্বিতীয় প্রশ্নটি ছিল, 'আমি যেহেতু শিক্ষা বিভাগে অধ্যয়নরত আছি তাহলে আমি কি এই বিভাগে পড়ে শিক্ষামন্ত্রী হতে পারব?' দুটি প্রশ্নের জন্যই আমি করতালি পেয়েছি যেটা আমাকে আমার জীবনের স্বপ্নপূরণের জন্য অনেক সাহায্য করবে। এরপর আমাদের দ্বিতীয় ক্লাস বিপুল স্যার নিয়েছিল। তিনি আমাদেরকে অধ্যায়নরত বিভাগ সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন। যেখান থেকে আমি আমার ক্যারিয়ার সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি এবং আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এভাবে আমাদের প্রথম দিনের দুটি ক্লাস সমাপ্ত হয়েছিল। তারপর আমরা বড় ভাইয়া আপুদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছি। তাদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো আমার জীবনে সব সময় স্মৃতি হয়ে থাকবে এবং আমি কখনই ভুলব না। দিন শেষে আমার জীবনে এটি সেরা মুহূর্ত ছিল।

এসজি

Header Ad

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা

ফাইল ছবি

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচদিনে আবহাওয়া পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

Header Ad

অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের

ছবি: সংগৃহীত

গত অক্টোবর মাসে দেশজুড়ে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৩৪টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮৭৫ জন। এরমধ্যে ৪৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮১৫ জন। একই সময়ে রেলপথে ৬৩টি দুর্ঘটনায় ৭৬ নিহত, ২৪ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ১৯টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ৩৬ জন আহত এবং ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

এছাড়া এই সময়ে ১৩৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত, ২৩৯ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩০.৫৩ শতাংশ, নিহত ৩৪.৩১ শতাংশ ও আহত ২৯.৩২ শতাংশ।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। সংগঠনটি বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়, আঞ্চলিক, অনলাইন এবং ইলেক্ট্রনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথের সংগঠিত দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৪৯ চালক, ১৩৭ পথচারী, ৫১ পরিবহন শ্রমিক, ৭৩ শিক্ষার্থী, ১৮ শিক্ষক, ৭৬ নারী, ৬২ শিশু, ৫ চিকিৎসক, ৯ সাংবাদিক এবং ১৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে ৬ জন পুলিশ সদস্য, ৩ সেনা সদস্য, ১ আনসার সদস্য, ১২৪ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১১৭ জন পথচারী, ৫৮ জন নারী, ৫১ জন শিশু, ৪৯ জন শিক্ষার্থী, ৩২ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৫ জন শিক্ষক, ৪ জন চিকিৎসক, ৬ জন সাংবাদিক, ১৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৬৩১টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৪.৪১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২.৫০ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৮.৫৪ শতাংশ বাস, ১৭.৯১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৩.৯৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৬.৬৫ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.০২ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৯.৪৮ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫.২৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৪.৭৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৯.৫১ শতাংশ বিবিধ কারণে, ০.২৫ শতাংশ ট্রেন যাববাহনে সংঘর্ষ। এবং চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.৭৫ শতাংশ।

সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— দেশের সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশের অনুপস্থিতি সুযোগে আইন লঙ্ঘন করে যানবাহনের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় এবং অতি বৃষ্টির কারণে সড়কের মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়া; এসব গর্তের কারণে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টানিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানোকে।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে— জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মত ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযতভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেফটি অডিট করা; মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা।

Header Ad

গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব

ছবি: সংগৃহীত

আর মাত্র তিন পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানায় পর্দা উঠবে গ্লোবাল সুপার লিগের প্রথম আসরের। বৈশ্বিক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোর চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে উইন্ডিজ ক্রিকেট আয়োজন করছে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ, আর এই টুর্নামেন্টের জন্য তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিবকে দলে ভিড়িয়েছে স্বাগতিক গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এই টাইগার পেসার।

এর আগে বাংলাদেশ সময় বুধবার দুপুরে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন সাকিব। এরপর গায়ানায় সাকিবকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় ফ্যাঞ্চাইজিটি। নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্ট করে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে গ্লোবাল সুপার লিগ কতৃপক্ষ।

চোটের কারণে এই আসরে সাকিবের খেলা নিয়ে এতদিন অনিশ্চয়তায় ভুগছিলেন সাকিব। কিন্তু গত সোমবার ফিটনেস টেস্ট দিয়ে সেই অনিশ্চিয়তা দূর করেছেন তিনি। যার ফলে বিসিবির কাছ থেকে এই লিগে খেলার অনুমতি পান সাকিব।

রংপুর রাইডার্স ও গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সসহ টুর্নামেন্টটিতে অংশ নেবে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্স, ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ার ও অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলা ভিক্টোরিয়ান ক্রিকেট দল।

টুর্নামেন্টটির প্রথম রাউন্ডে প্রতিটি দলই একে অপরের মুখোমুখি হবে। পাঁচ দলের মধ্য থেকে চার দল যাবে সেমিফাইনালে। এরপর আগামী ৭ ডিসেম্বর হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ