সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ক্যাম্পাসে যেমন কাটল নবীনদের প্রথম দিন

উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে শিক্ষার্থীরা তাদের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য একটু একটু করে স্বপ্ন বুনতে শুরু করে। স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেন তারা। কত রাত না ঘুমিয়ে পার করে দেন শুধু স্বপ্নকে ছোঁয়ার জন্য। আসন স্বল্পতার কারণে অনেকে স্বপ্নকে ছুঁতে পারে আর অনেকের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়।

যারা সফল হন তাদের জন্য ক্যাম্পাস জীবনের প্রথম দিনটি থাকে চিরস্মরণীয় হয়ে। ভীষণ আবেগ নিয়ে প্রথম দিনে ক্যাম্পাসে আসেন নবীন শিক্ষার্থীরা। প্রথম দিনটিকে ঘিরে নানা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় তাদের। তেমনি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কয়েকজন নবীন শিক্ষার্থী জানালেন নিজেদের ক্যাম্পাস জীবনের প্রথম দিনের অনুভূতির কথা।

শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আহমেদ সামিয়া বলেন, শত প্রত্যাশা আর স্বপ্ন বোনা সেই কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হয়ে যেদিন প্রথম পদচারণ করলাম, সেই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনের অনুভূতি ছিল এক আকাশ ছোঁয়া সমপরিমাণ আনন্দের। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার প্রথম দিন সকাল সকাল ক্যাম্পাসের লাল বাসে করে ক'জন ব্যাচমেটের সঙ্গে চলে আসলাম বহুল প্রতীক্ষিত ক্যাম্পাসে। বাস থেকে নেমেই এক পলকে পুরো ক্যাম্পাসটা চোখের আয়ত্বে আনলাম, বিশ্বাসই হচ্ছিল না যে আমি আমার কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার পাবলিকিয়ানদের মাঝে একজন পাবলিকিয়ান হিসেবে দাঁড়িয়ে আছি।

তিনি বলেন, এ যেন এক স্বপ্ন ছিল। এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ব্যাচমেট বন্ধু পেছন থেকে ডাকল শুনতেই পেলাম না। তারপর আমরা ক'জন আমাদের শিক্ষা প্রশাসন ডিপার্টমেন্টের দিকে রওনা দিলাম। যাত্রাপথে আমার ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যগুলো যেমন- ক্যাম্পাসের বিশাল আয়তনের খোলা মাঠ, আড্ডা দেওয়া বা অবসর সময় কাটানোর জন্য 'শান্তিনিকেতন', কেন্দ্রীয় মসজিদ, চারদিকের সবুজের ছায়াঘেরা দৃশ্যগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে উপভোগ করলাম। তারপর চেয়ারম্যান স্যারের নির্দেশে ক্লাসরুমে গিয়ে পৌঁছালাম সবাই। ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে আগত ব্যাচমেটদের সঙ্গে পরিচিত হলাম। এরপর শামসুল আরেফিন স্যারের ক্লাসের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ১ম ক্লাস শুরু করলাম। তিনি আমাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

তিনি আরও বলেন, ক্লাসের শেষে আমাদের সিনিয়র ভাইয়া এবং আপুদের সঙ্গে পরিচিত হই। প্রথমে অনেক ভয় এবং আতঙ্কিত ছিলাম কারণ নতুন জায়গা, নতুন পরিবেশ, সব নতুন মুখ, মানিয়ে নিতে পারব কি না। কিন্তু না! আমাদের ভাইয়া আপুদের কথা শুনে মনে হলো ভয়ের কিছুই নেই। তারা যথেষ্ট ভালো এবং বন্ধুত্বপূর্ণ। আমাদেরকে অনেক দ্রুতই তারা ছোট ভাই-বোনের মতো আপন করে নিয়েছে। তারপর শান্তিনিকেতনে ভাইয়া আপুদের সঙ্গে চা, আড্ডা দিয়েছি। পরে নোবিপ্রবির সেই লাল বাসে করে বাসার উদ্দেশে রওনা দিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় যে একটি পরিবার থেকে কম নয় বরং বেশি, সেটি আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক এবং সিনিয়র ভাইয়া-আপুদের স্নেহ ও আন্তরিকতা না দেখলে বুঝতেই পারতাম না। এখন তাদের থেকেই পথনির্দেশনা নিয়ে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে চাই, শিখতে চাই কীভাবে নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করতে হবে। সবশেষে বলতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন জীবনের এক স্মৃতিমাখা দিন, যা সারা জীবন এক অনন্য অনুভূতি হয়ে গচ্ছিত থাকবে।

সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আলম ইশা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনটি ছিল এক নতুন জীবনের সূচনালগ্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দিনটার আনন্দ আকাশ ছোঁয়ার মতো ছিল আমার কাছে। শত প্রত্যাশা আর স্বপ্ন বোনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেখানকার একজন শিক্ষার্থী হয়ে যেদিন প্রথম পদাচারণ করলাম, সে এক দারুণ অনুভূতি ছিল। রীতিমতো প্রত্যেকটা শিক্ষার্থী যুদ্ধক্ষেত্র পাড়ি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অংশ হয়ে উঠে। আর তা যদি হয় নিজের স্বপ্নে লালিত প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় 'নোবিপ্রবি' তাহলে তা আনন্দের এক অসীম মাত্রা যুক্ত করে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনে আমিও সব নবীনের মতো নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ হিসেবে আবিষ্কার করতে পেরেছিলাম। অবশ্য এই আনন্দের সঙ্গে কিছুটা ভয়ের মিশ্রণও ছিল। নতুন জায়গা, নতুন মানুষ। মনে হচ্ছিল পুকুর থেকে হয়তো মহাসমুদ্রে পড়ে গেলাম। কিন্তু এ ভয়ের অনেকটাই অবসান ঘটে গেল যখন নিজের ডিপার্টমেন্টের ক্লাস রুমে যাই এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অপরিচিত মুখগুলো আপন করে নিচ্ছিল আমায়।

তিনি আরও বলেন, প্রথম দিনে শিক্ষকদের সঙ্গে অভিজ্ঞতার কথা বলতে গেলে খুবই সুন্দর। আমাদের উপাচার্য স্যার নবীনদেরকে একজন প্রকৃত ভালো মানুষ হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। অনেককেই আবার প্রথম বছর হেলায় না কাটানোর কথা বলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রীতিনীতি তুলে ধরেন। বিশ্ববিদ্যালয় যে একটি পরিবার থেকে কম নয় বরং বেশি, সেটা বুঝতে পারি যখন বড় ভাইয়া আপুদের সঙ্গে আলাপ হয়। পরিশেষে বলতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনটি আমার কাছে ছিল খুবই আনন্দের যা এক নতুন অভিজ্ঞতার সঞ্চার করে। এই দিনটি আমার এক নতুন জীবনের সূচনা করে।

শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী সুবর্ণা ফেরদৌস জাহান বলেন, এক যুগ আমরা পড়াশোনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছেছি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকমণ্ডলী ও বড় ভাইয়া এবং আপুদের অতিথি পরায়ণতা যেন পরিবারের কথা মনে করিয়ে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন নিয়ে সবারই অনেক প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা থাকে। এই দিনটিতে আমি অনেক বেশি উত্তেজিত ছিলাম। কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গে আমি একটু কষ্টেও ছিলাম। জীবনে এই প্রথম আমি আমার মায়ের আদর গায়ে না মেখে ঘর থেকে বাইরে যাব।

তিনি বলেন, দিনটি ছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি। সকালে উঠেই নামাজ পড়েছিলাম। তারপর যেহেতু মা নেই তাই আমাকেই রান্না করতে হয়েছে। তারপর তৈরি হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলাম। এরপর আমার বিভাগে গিয়ে শ্রেণিকক্ষে বসেছিলাম। তখন শ্রেণিকক্ষে সবেমাত্র কিছু সংখ্যক বন্ধু-বান্ধবী এসেছিল। আর আমাদের সবার ক্লাসরুম চিনতে ভুল হয়েছিল। আমাদের আইসিটি ক্লাস ছিল তাই ক্লাসটি ল্যাব রুমে হয়েছিল। যখনি জানতে পেরেছি ক্লাস রুমটা ল্যাবরুমে হবে তখনই আমরা সবাই মিলে ৪১২নং রুমে চলে যাই। কিছুক্ষণ পর বিপ্লব মল্লিক স্যার ও সিয়াম স্যার এসে আমাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। স্যারদের ক্লাসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল আমরা যেন তাদের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করি এবং তারা সেই প্রশ্নের উত্তর দেবে।

তিনি আরও বলেন, আমি স্যারদেরকে দুটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিলাম প্রথমটি ছিল, 'আমাদের প্রত্যেকের জীবনে অনেক হতাশা আছে। জীবনে কী এমন হতাশা আছে যার জন্য কষ্ট লাগে?' দ্বিতীয় প্রশ্নটি ছিল, 'আমি যেহেতু শিক্ষা বিভাগে অধ্যয়নরত আছি তাহলে আমি কি এই বিভাগে পড়ে শিক্ষামন্ত্রী হতে পারব?' দুটি প্রশ্নের জন্যই আমি করতালি পেয়েছি যেটা আমাকে আমার জীবনের স্বপ্নপূরণের জন্য অনেক সাহায্য করবে। এরপর আমাদের দ্বিতীয় ক্লাস বিপুল স্যার নিয়েছিল। তিনি আমাদেরকে অধ্যায়নরত বিভাগ সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন। যেখান থেকে আমি আমার ক্যারিয়ার সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি এবং আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এভাবে আমাদের প্রথম দিনের দুটি ক্লাস সমাপ্ত হয়েছিল। তারপর আমরা বড় ভাইয়া আপুদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছি। তাদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো আমার জীবনে সব সময় স্মৃতি হয়ে থাকবে এবং আমি কখনই ভুলব না। দিন শেষে আমার জীবনে এটি সেরা মুহূর্ত ছিল।

এসজি

Header Ad
Header Ad

ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক রেষারেষি নিয়ে যা বললেন রিজভী

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে রাজনৈতিক রেষারেষি দৃশ্যমান হয়েছে। তবে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে রাজনৈতিক রেষারেষি কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার দুপুরে পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী রিকশাভ্যান অটোচালক দল।

ছাত্রশিবিরের করা মধুর ক্যান্টিনের সংবাদ সম্মেলন নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির বলে, ছাত্রদলের মধ্যে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের প্রতিচ্ছবি দেখছি। কে কখন নিষিদ্ধ হয় আমরা জানি না। এখন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ কি না আমরা জানি না। ছাত্রশিবিরকেও আমরা নিষিদ্ধ হতে দেখেছি একসময়। আমরা এটাও জানি, ছাত্রশিবিরের এখনকার অনেক নেতা ছাত্রলীগের মধ্যে অবস্থান করে অনেক পদ-পদবিও পেয়েছেন। অনেকেই ছাত্র শিবিরকে বলে গুপ্ত ছাত্রলীগ এর উত্তর তারা কি করে দিবেন? এগুলোর তো অনেক প্রমাণ অনেক তালিকা অনেক নাম আমাদের কাছে আছে। অবান্তর কথা কেন আপনারা বলছেন? কিসের জন্য এ সমস্ত কথা বলে আজকে গণতান্ত্রিক শক্তির মধ্যে এই বিভাজন তৈরি করছেন? আপনারা এই কারণে করছেন যে নিজেরা কিছু করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা করা যায় কিনা। কিন্তু এটা হবে না।

জিয়াউর রহমান কিংস পার্টি গঠন করেছেন- কেউ এমন কথা বলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনভাবে সংবাদপত্র পাঠ করা যদি গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত হয়ে থাকে তাহলে সেটির মহানায়ক জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানের প্রতি সিপাহী এবং জনগণের সমর্থন ছিল। যিনি রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য।গণতন্ত্রের মহানায়ক ছিলেন জিয়াউর রহমান। যারা একাত্তরের পরবর্তী সময়ে নিষিদ্ধ ছিলেন, তার উদারতার কারণে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছেন। এই রাজনৈতিক দলটি যখনই সুযোগ পেয়েছে বিএনপিকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করেছে। এটা আমরা প্রতিনিয়ত দেখেছি।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সরকার প্রধান বললেন ছাত্ররা দল করতেই পারে। হ্যাঁ, আমরা যদি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস করি তাহলে করতে পারে। কিন্তু যাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলা হচ্ছে তাদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করা উচিত। তিনি আরও বলেন, এই দেশে যেমন ইসলামী সংস্কৃতি কালচার আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস এটাকে যেমন মুছে দেয়া যাবেনা যেটার চেষ্টা শেখ হাসিনা বার বার করেছেন। ইসলামী সংস্কৃতি, ইসলামের প্রতি বিশ্বাস আল্লাহর উপর বিশ্বাস এটাতো জিয়াউর রহমান নিয়ে এসেছিলেন সংবিধানে। শেখ হাসিনা নানাভাবে চেষ্টা করেছেন এটা মুছে ফেলার। আবার এটাও মনে রাখতে হবে আমাদের দেশের জাতীয় সংস্কৃতির নানা অঙ্গ আছে নানা বৈচিত্র আছে এটাকেও মুছে ফেলা যাবে না।কেন চট্টগ্রামে বসন্ত বরণ বন্ধ করা হয়েছে কার নির্দেশে হয়েছে? নাটক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে চট্টগ্রামে।আমাদের পার্টি হচ্ছে প্রত্যেকটি ধর্মের সবাই তার মত প্রকাশ করবেন প্রত্যেকটি ধর্ম সম্প্রদায় তার ধর্মের মত চর্চা করবেন।

আগামীতে সংস্কৃতিচর্চায় কোনো বাঁধা আসবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের যতো সাংস্কৃতিক কর্মসূচি রয়েছে, সবই পালিত হবে। কোনটাই বন্ধ হবে না। পরিকল্পিতভাবে আমাদের সংস্কৃতি বন্ধ করা যাবে না৷

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আব্দুস সালাম।

Header Ad
Header Ad

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন

রমজানে সরকারি অফিস চলবে ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা

সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অফিস ছুটি নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। ছবি: সংগৃহীত

এবার রোজার মাসে সরকারি, আধা–সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা–স্বায়ত্তশাসিত অফিসের জন্য সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অফিস ছুটি নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।

দুপুর সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত থাকবে জোহরের নামাজের বিরতি।

রোজায় অফিস সূচি নির্ধারণ করে আজ সোমবার পরিপত্র জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বর্তমানে সকাল ৯টায় অফিস শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বাংলাদেশে আগামী ২ মার্চ থেকে রোজা শুরু হতে পারে। রোজা শুরুর দিন থেকে সরকারি অফিসে নতুন সূচি শুরু হবে।

পরিপত্রে জানানো হয়েছে, রোজার মাসে সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অফিসের এই সময়ের মধ্যে দুপুর সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত জোহরের নামাজের বিরতি থাকবে।

তবে ব্যাংক, বিমা, হাসপাতাল, ডাকঘর, রেলওয়ে ও অন্যান্য স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান নিজস্ব পদ্ধতিতে অফিস সূচি নির্ধারণ করবে।

Header Ad
Header Ad

দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা লক্ষ্য করছি যে, স্থানীয় সরকার সংস্কার সংস্থার কিছু সুপারিশ জনগণের প্রতিনিধিত্বের মৌলিক ধারণার বিরোধী। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও অবনতি হচ্ছে। যদিও আমরা একটি পরিবর্তনের সময় পার করছি, তবে এই রূপান্তর প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করা উচিত নয়। জাতীয় নির্বাচন সময়মতো আয়োজন করা জরুরি এবং দেশের স্বার্থে আমাদের আবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”

সোমবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।

স্ট্যাটাসে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “এখনো এক বছর হয়নি, আমরা বাংলাদেশে জীবনের সবচেয়ে বড় বিজয় অর্জন করেছি। সবচেয়ে স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। এই পরিবর্তনের জন্য আমরা অনেক প্রাণ দিয়েছি, বড় মূল্য দিতে হয়েছে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমরা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়ে আসছি। আমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার চাই, তবে এই সংস্কার জনগণের প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই হতে হবে, যারা দেশের মানুষের মনোভাব বোঝেন।”

মির্জা ফখরুলের এই বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পরও রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং জাতীয় নির্বাচনের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, দলটি দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে এবং তারা জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক রেষারেষি নিয়ে যা বললেন রিজভী
রমজানে সরকারি অফিস চলবে ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা
দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
সাভারে কাপড়ের কারখানায় আগুন, পুড়ে ছাই কাপড় ও কার্টন
বিয়ের ছবি প্রকাশ করলেন মেহজাবীন চৌধুরী
রিলিফের আশায় অনেক বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হচ্ছে: সিইসি
যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন বিশ্বনবী (স.)
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে নির্দেশনা দিলেন সেনাপ্রধান
সাজেকে ৭ রিসোর্ট ও কটেজে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী(ভিডিও)
১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার
বাংলাদেশ থেকে আসা বিদ্বেষী বার্তায় অসন্তুষ্ট নয়াদিল্লি: জয়শঙ্কর
কক্সবাজারে বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে দুর্বৃত্তদের হামলা, নিহত ১
আমাদের ব্যর্থতা আছে অস্বীকার করার উপায় নেই: আসিফ নজরুল
মিঠাপুকুরে ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও কুশপুত্তলিকা দাহ
এবার মেহেদি হাসান ও বিপ্লব কুমার চাকরি থেকে বরখাস্ত
এমসি কলেজ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় জামায়াত আমিরের দায় স্বীকার  
লালমনিরহাটে জামাত-শিবিরের কলেজ দখলের চেষ্টা
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার  
এলিফ্যান্ট রোডের একটি বাসা থেকে ঢাবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
চ্যানেল ‘চ্যানেল ওয়ান’ সম্প্রচারে বাধা নেই