ইডেনে ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ
ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নুজহাত ফারিয়া রোকসানা
রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নুজহাত ফারিয়া রোকসানার বিরুদ্ধে। তবে অভিযুক্ত রোকসানা মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে কলেজটির শহীদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাসের ৫০৬ নম্বর রুমে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী মহুয়া আক্তার।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বলেন, রোকসানা হলে সিট বাণিজ্য করেন। তিনি বাইরের মেয়েদের টাকার বিনিময়ে হলে রাখেন। তিনি এক রুমে ২০ জন করে মেয়ে রাখেন। টাকা নিয়ে আমাদের হলে তুললেও এখন পর্যন্ত সিট দেননি বরং আমাদের দিয়ে তার ব্যক্তিগত কাজ করান। তার কাজ করতে রাজি না হলে তিনি ছাত্রীদের বাজে ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমি প্রতিবাদ করায় আমার চুল ছিঁড়ে ফেলেছেন, স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে আঙুল ভেঙে দিয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে নিরাপদ জায়গায় অবস্থান নিয়েছি। আমি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
ছাত্রীনিবাসের একাধিক শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, রোকসানাকে এককালীন ৩০ হাজার টাকা দিয়ে একটি কক্ষে ওঠেন মহুয়া। এক বছর ধরে তিনি ওই কক্ষের মেঝেতে থাকেন (ফ্লোরিং)। সম্প্রতি একজনকে ওই কক্ষে আসনের (বেড) ব্যবস্থা করে দেন রোকসানা। মহুয়া এর প্রতিবাদ করলে তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে রোকসানা মহুয়ার ওপর ক্ষেপে যান। প্রথমে তিনি মহুয়াকে ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে পেটান। এরপর কক্ষে থাকা বঁটি নিয়ে মহুয়াকে ধাওয়া করেন। পরে অন্য ছাত্রী ও হল কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
তবে মারধরের বিষয় অস্বীকার করেছেন রোকসানা সাংবাদিকদের বলেন, সে আমার আদরের ছোট বোন, তাকে মারধর করা হয়নি। কথা-কাটাকাটি হয়েছে। পাশাপাশি থাকলে একটু কথা-কাটাকাটি হয় এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এদিকে এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বঙ্গমাতা ছাত্রীনিবাসের সুপার নাজমুন নাহারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সার্বিক বিষয়ে নাজমুন নাহার বলেন, তারা দু’জন একই কক্ষে থাকেন। শুনেছি তারা একজন অপরজনকে মারধর করেছে, আমি দুজনকে ডেকেছি। বিষয়টি সমাধান করব।
আরএ/