বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কড়া নিরাপত্তায় ইবি ক্যাম্পাসে ভুক্তভোগী, তদন্ত শুরু

ঘড়ির কাটা সাড়ে বারোটা ছুঁই ছুঁই। হঠাৎ সা' করে মেইন গেট ক্রস করল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস। ভেতরে বসে আছেন ভুক্তভোগী ফুলপরি খাতুন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর জয়শ্রী সেন, ভুক্তভোগীর বাবা ও মামা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে কড়া নিরাপত্তায় পুলিশ প্রশাসন। তড়িৎ গতিতে মাইক্রোবাস টিএসসিসি পার হয়ে বিবিএ ফ্যাকাল্টি হয়ে পশ্চিম দিকে চলে গেল। পরে শেষমেশ গাড়ি থামলো দেশব্যাপী আলোচিত ছাত্রলীগ নেত্রী কর্তৃক রোমহর্ষক নির্যাতনের ঘটনাস্থল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে।

আজ শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এসময় তদন্তের স্বার্থে ভুক্তভোগী ছাত্রী তার অভিভাবকসহ ঘটনার বর্ণনা দিতেই ক্যাম্পাসে ফিরেছেন বলে নিশ্চিত করেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শামসুল আলম। তিনি বলেন, 'তদন্তের স্বার্থে আমরা তাকে হলে ডেকেছি।'

পরে প্রভোস্টের কার্যালয়ে দীর্ঘক্ষণ যাবৎ সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। হল ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পৃথক পৃথকভাবে ভুক্তভোগীর বক্তব্য শোনেন। তার থেকে লিখিত অভিযোগও নেন বলে জানা গেছে।

এছাড়া ভুক্তভোগীকে নিয়ে যেসব রুমে তাকে নির্যাতন করা হয় সেখানে, ৩০৬ নং রুম এবং হল ডাইনিং পরিদর্শন করেন তদন্তে থাকা সদস্যরা। পরে তদন্ত কমিটির সঙ্গে বিকেল পাঁচটার দিকে হল থেকে বের হন ভুক্তভোগী ও তার অভিভাবক।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল, সদস্য অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী ও ড. মুর্শিদ আলম।

এছাড়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। হল কর্তৃক গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ড. আহসানুল হক, সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যান্য সদস্যরা। এছাড়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদসহ প্রক্টরিয়াল বডির অন্যান্য সদস্যরা।

এ বিষয়ে হল কর্তৃক গঠিত কমিটির আহবায়ক আহসানুল হক বলেন, আমরা আজ তদন্তের প্রথমদিন ভুক্তভোগীর সাথে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছি, তার বক্তব্য শুনেছি এবং তাকে নিয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। এছাড়া ঘটনা সম্পর্কে গণরুমগুলোতে অবস্থানকৃত মেয়েদের সঙ্গে কথা বলেছি।

এদিকে ঘটনার রাতের সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। হল কর্তৃপক্ষের কাছে এ ফুটেজ সংগ্রহের কথা জানতে চাইলে তারা তা প্রদানে অক্ষমতা প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে হলের হাউজ টিউটর ও হল কমিটির আহবায়ক আহসানুল হক বলেন, মূলত ঘটনাস্থলের সামনে কোন সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো নেই। হলের রুমগুলোর বাইরে এবং অফিসের দিকে নিরাপত্তার খাতিরে সিসিটিভি বসানো আছে। তবে ডাইনিংয়ের পাশে একটি সিসিটিভি আছে। টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে তা এখনও হাতে পাইনি। এ বিষয়ে আইসিটি সেলকে অবহিত করা হয়েছে।

এ দিকে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেখ হাসিনা হলের উদ্ভুত ঘটনার বিষয়ে কারোর নিকট কোনো তথ্য প্রমাণাদি থাকলে তা লিখিত আকারে বা সশরীরে কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডলের অফিসে সোমবার সকাল ১১ টার মধ্যে জমা দেয়ার জন্য বলা হলো। তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল বলেন, আমরা তদন্ত কমিটি মিটিং শুরু করেছি সকাল ৯টায়। তদন্তের সাপেক্ষে বিভিন্ন জায়গায় চিঠি দিয়েছি। প্রশাসন থেকে তদন্তের স্বার্থে উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। আমরা সরেজমিনে তদন্ত করতে হলে এসেছি। ঘটনাস্থলসহ চার জায়গায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি।

ভুক্তভোগীর বক্তব্য ঘন্টাব্যাপী শুনেছি। এছাড়া গণরুমের মেয়েদের বক্তব্য শুনেছি। সোমবার সকাল ১০ টায় তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের ডেকেছি। প্রক্টরিয়াল বডিকে ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা প্রদানে সর্বোচ্চ নির্দেশনা দিয়েছি। সবমিলিয়ে তদন্তের কাজে অনেকদূর এগিয়েছি।

ভুক্তভোগী ফুলপরি খাতুন বলেন, আমি এখন নিরাপদে আছি। তদন্ত কমিটি সেদিনের ঘটনার বর্ণনা শুনেছে এবং ৪-৫ পেজের আমার স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ নিয়েছে। আজ আবার বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। পরবর্তীতে তদন্তের স্বার্থে আবার ডাকলে আসবো। আমি দোষীদের সর্বোচ্চ বিচার চাই।

ভুক্তভোগীর বাবা আতাউর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছেন সুষ্ঠু তদন্তের পর ন্যায়বিচার করা হবে। আমরা এখন বাড়ি পৌছানো পর্যন্ত নিরাপদে আছি। আমি চাই দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক যেন এমন ঘটনা দেশে তথা সমস্ত বিশ্বে আর না ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, সারাদিন ভুক্তভোগীর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদানে যা যা করণীয় আমরা তাই করেছি। দুপুরে মেয়েটি তার পরিবারসহ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। সন্ধ্যার আগে বক্তব্য প্রদান শেষে তিনি ও তার পরিবার নিরাপদে বাড়ি ফিরে গেছেন। হাইকোর্টের তদন্ত কমিটির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি আইন প্রশাসন দেখবেন।
এএজেড

Header Ad

ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের ঘটনা কিছু মহল ভুলভাবে তুলে ধরছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিকে জানিয়েছে, চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়ার চেতনার পরিপন্থি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে সকল ধর্মের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান যে সম্প্রীতি রয়েছে এবং সরকারের যে অসাম্প্রদায়িকতার প্রতিশ্রুতি ও প্রচেষ্টা রয়েছে ভারতের বিবৃতিতে তা প্রতিফলিত হয়নি। বাংলাদেশে জনগণের ওপর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি চলে আসছিল তা সমাপ্ত করার বিষয়ে সরকারের যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞা রয়েছে এবং সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘুদের একই নজরে দেখার যে দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, ভারতের বিবৃতিতে সে বিষয়টি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে যে বিবৃতি দিয়েছে, তা সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। অত্যন্ত হতাশা ও গভীর দুঃখের সঙ্গে সরকার উল্লেখ করছে যে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করার পর কিছু মহল ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। ভারতের এ ধরনের ভিত্তিহীন বিবৃতি শুধু ভুল তথ্য ছড়ানো নয়, বরং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়া চেতনার পরিপন্থি।

বাংলাদেশ সরকার সকল ধর্মের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে উল্লেখ্য করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করছে যে প্রত্যেক বাংলাদেশির তার ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে, নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, বজায় রাখা বা পালন করার বা বাধা ছাড়াই মতামত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। সকল নাগরিকের বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকারের একটি দায়িত্ব। গত মাসে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা পালনের মাধ্যমে এটি আবারও প্রমাণিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার বিচার বিভাগের উপর হস্তক্ষেপ করে না জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার বিচার বিভাগের কাজে হস্তক্ষেপ করে না। আর চিন্ময় দাসের বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিবৃতিতে উল্লেখ্য করা হয়, চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যে কোনো মূল্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য কর্তৃপক্ষ বন্দর নগরীতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

Header Ad

আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে সংঘটিত বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ এবং আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত সোয়া ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

মিছিলে শিক্ষার্থীদের ‘সাইফুল হত্যার বিচার চাই, করতে হবে করতে হবে’, ‘উকিল মরে আদালতে, এই সরকার কি করে’, ‘হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, উগ্রবাদের ঠাঁই নাই’, ‘উগ্রবাদের আস্তানা,ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ফ্যাসিবাদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সমাবেশে বক্তারা চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলাকে জাতীয় নিরাপত্তা ও বিচার ব্যবস্থার জন্য চরম হুমকি বলে অভিহিত করেন। তারা আইনজীবী সাইফুল ইসলামের নির্মম হত্যাকাণ্ডের দ্রুত এবং সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।

তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আব্দুর রশীদ জিতু বলেন, আমরা সম্প্রীতি নিয়ে এদেশে বসবাস করতে চাই। কিন্তু একটি পরাজিত শক্তি দিল্লিতে বসে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চক্রান্ত করছে। আমার ভাই সাইফুলকে চট্টগ্রামের আদালত চত্বরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এই হত্যার তীব্র নিন্দা জানাই। যারা বাংলাদেশের সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।

দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী জি এম এম রায়হান কবির বলেন, চট্টগ্রামের সন্ত্রাসী হামলা শুধু একটি হত্যাকাণ্ড নয় বরং এটি মানবতার ওপর আঘাত। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীরা সবসময় ন্যায় ও মানবতার পক্ষে অবস্থান করেছে। আজকের এই মিছিল তারই উদাহরণ। আমরা কোনো উগ্রবাদী শক্তিকে বাংলাদেশে মাথা তুলতে দেব না।

Header Ad

ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার

ছবি: সংগৃহীত

ক্রমশ উত্তেজনা বাড়াচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। টানা আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। মাঝে এই যুদ্ধে কিছুটা ধীরগতি দেখা গেলেও সম্প্রতি হামলা বেশ জোরদার করেছে রাশিয়া।

মূলত ইউক্রেনে এখন আগের যেকোনও সময়ের তুলনায় দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে রুশ সৈন্যরা। এমনকি গত এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান আয়তনের এলাকা ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করে নিয়েছে রাশিয়া।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ান বাহিনী ২০২২ সালের আক্রমণের প্রথম দিনগুলোর চেয়ে ইউক্রেনে বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে অগ্রসর হচ্ছে বলে বিশ্লেষক এবং যুদ্ধ ব্লগাররা মঙ্গলবার জানিয়েছেন।

গত মাসে রুশ সৈন্যরা লন্ডনের আয়তনের সমান অর্ধেক এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন তারা।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার সেনাবাহিনী এর আগে কখনেও এতো দ্রুত ইউক্রেনের অঞ্চলগুলোতে অগ্রসর হয়নি।

মূলত টানা আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিকে সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের একাধিক দেশ।

বিশেষ করে অস্ত্র দেওয়ার পাশাপাশি দেশটিকে ব্যাপকভাবে সামরিক তহবিলও জুগিয়ে এসেছে ওয়াশিংটন। তবে এরপরও যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। আর এমন অবস্থায় সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার গভীরে আঘাত হানার জন্য ইউক্রেনকে মার্কিন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম বলছে, যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করে সেই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করার অনুমতি দেওয়ার পর চলমান এই যুদ্ধটি সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।

রাশিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউজ গ্রুপ এজেন্টস্টভো এক প্রতিবেদনে বলেছে, “ইউক্রেন-অধিকৃত অঞ্চলের মধ্যে আয়তনের দিক থেকে নতুনভাবে সাপ্তাহিক ও মাসিক রেকর্ড স্থাপন করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার সেনাবাহিনী গত সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রায় ২৩৫ বর্গ কিলোমিটার (৯১ বর্গ মাইল) দখল করেছে, যা ২০২৪ সালের জন্য একটি সাপ্তাহিক রেকর্ড।”

এর আগে চলতি বছর জুলাই মাসে রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনে দ্রুত অগ্রসর হতে শুরু করে। ওপেন সোর্স মানচিত্র অনুসারে, এরপর থেকেই রাশিয়ার অগ্রগতি ত্বরান্বিত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা শুরু করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে প্রায় ১২ হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আড়াই বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া— চারটি প্রদেশের আংশিক দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী।

এই চার প্রদেশের রাশিয়ার দখলে যাওয়া অংশের সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের এক-পঞ্চমাংশ। অবশ্য যুদ্ধরত এই দুই দেশের কেউই তাদের নিজস্ব ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য প্রকাশ না করলেও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হতাহতের সংখ্যা কয়েক লাখ বলে অনুমান করছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল
ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার
লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ২২
স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ২২ দিন পর নওগাঁ যুবদল নেতার মৃত্যু
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিবৃতি
সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার: আসিফ মাহমুদ
সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনের প্রস্তাব বিএনপির
বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে চলল পরীক্ষামূলক ট্রেন